অধিগ্রহণ হচ্ছে নদীর জমি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিএস পর্চায় ধলেশ্বরী নদী। এসএ ও আরএস পর্চায় উঠেছে ব্যক্তি মালিকানায়। এখন সেই জমি অধিগ্রহণ করে সরকারের থেকে হাতিয়ে নিতে চাইছে অতিরিক্ত অর্থ। পঞ্চবটি-মুক্তারপুর সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা একটি কমিটি গঠন করে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করছেন, ‘অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ’। পঞ্চবটি-মুক্তারপুর অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণ আদায় সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনের সিনামুন রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক হালিম সিকদার ও সদস্য সচিব মো. নাজির সিকদারের নেতৃত্বে প্রায় সাড়ে ৩শ’ জন এই নদীর জমির ক্ষতিপূরণ চাইছেন। মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ৩৫০৩/২০০৯নং রীট পিটিশনের রায়ে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুয়ায়ী, ‘নদীর জমির মালিক রাষ্ট্রের জনসাধারণের পক্ষে সর্বদাই সরকার এবং নদীর জমির শ্রেণি পরিবর্তনযোগ্য নয় ও বন্দোবস্তযোগ্য নয়।’ কমিটির আহ্বায়ক হালিম সিকদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জমি গুলোর এসএ ও আরএস পর্চায় জমিরি মালিক আমরা। সিএস পর্চায় নদী উল্লেখ আছে, কিন্তু সেখানে নদী নেই। যেহেতু এটি একটি জাতীয় প্রকল্প, এক্ষেত্রে আমরা সরকারকে সহযোগীতা করতে চাই। আমাদের তিনটা দাবি। প্রথমত, আমাদের জমির বাজার অনুযায়ী ন্যায্য মূল্য চাই, এসএ ও আরএস পর্চা অনুযায়ী জমির মালিকার নামজারির সমাধান চাই। এই বিষয়ে আমাদের জেলা প্রশাসক মহোদয় সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলে, যেখানে যা করা উচিৎ তা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অন্য কোনপন্থায় জমিগুলো অধিগ্রহণ করার যদি কোন পরিকল্পনা থাকে, তাহলে এটি অন্যায় হবে।’ এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কামাল সিকদার, গিয়াসউদ্দিন, সোহাগ সিকদার প্রমূখ। প্রসঙ্গত, ‘পঞ্চবটি-মুক্তারপুর সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে নারায়ণগঞ্জ জেলার অধিনে ৮৩২টি পরিবারের ৩৫ দশমিক ৬০৮ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়। গত ২২ সালের ২৭ জুন ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে ৩১ দশমিক ৬৯২৫ একর জমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমতি দেওয়া হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর অধিগ্রহণের অনুমতি পাওয়া জমিতে ৭ ধারায় নোটিশ জারি করা হলে তাঁর প্রেক্ষিতে ৫২০টি আপত্তি জেলা প্রশাসকের নিকট জমা পরে।
Leave a Reply