আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিকে এখন সকলেরই চোখ। আর নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যস্ত থাকলেও সেই সাথে তারাও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জেলার পাঁচটি আসনে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সময় পার করছের সাকে এমপিরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রূপগঞ্জ আসনে বিএনপির সাবেক এমপিরা কেউ বেঁচে নেই। সর্বশেষ সাবেক এমপি মতিন চৌধুরীও ইতিমধ্যে মরহুম হয়ে গেছেন। আড়াইহাজার আসনে সাবেক বিএনপি এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। অতীতে তিনবার এমপি থাকার সুবাদে এলাকায় তিনি প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। উপজেলা সদরে অবস্থিত সফর আলী ভুইয়া কলেজটি তার সময়েই সরকারী হয়েছিল। কর্মীবান্ধব হিসেবেও তার সুনাম রয়েছে। এলাকাবাসী ও কর্মীদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সোনারগাঁ আসনে বিএপির সাবেক এমপি সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম চার বার এখানে এমপি থাকার সুবাদে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এলাকাবাসী এবং কর্মীদের সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে বলা হয় জেলার সবচেয়ে চৌকষ রাজনীতিবিদ। আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি এক বছর ধরে মাঠে সরব। এলাকার জনগণ এবং কর্মীদের সঙ্গেও তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছেন। আগামী নির্বাচনে যদি তিনি মনোনয়ন পান, তাহলে তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী দোর্দন্ড প্রতাপশালী আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে মোকাবেলা করতে হবে। তবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের প্লাসপয়েন্ট। তিনি ইতিপূর্বে (২০০১ সালের নির্বাচনে) বিপুল ভোটে শামীম ওসমানকে পরাজিত করেছিলেন। সদর-বন্দর আসনের সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম তিনবার এ আসনে এমপি ছিলেন। তার আগে এ আসনে এমপি ছিলেন তার পিতা মরহুম হাজী জালালউদ্দিন। দু’পুরুষ ধরে বিএনপির রাজনীতি করায় এলাকায় তার একটি ভোটব্যাঙ্ক গড়ে উঠেছে। ক্লিন ইমেজের অধিকারী এড. কালামকে মানুষ শান্তশিষ্ট ও ভদ্র বলে জানে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিগত ‘৯০ সালের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন দুটি নির্বাচনে বিএনপি এ জেলার ৫টি আসনের পাঁচটিতেই জয়ী হয়েছে। এ কারণে প্রতিটি আসনেই বিএপি সমর্থক পকেট ও ভোটব্যাঙ্ক গড়ে উঠেছে। চারটি আসনে বিএনপির সাবেক এমপিরা বেশ জনপ্রিয় ও কর্মী বান্ধব। তবে, শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসেন কিনা তা নিয়ে এখনো যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বিএনপির দাবি সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনের ব্যবস্থা করেই তারা নির্বাচনে অংশ নিবেন। যাতে জনগণ সঠিক ভাবে নিজের ভোট প্রয়োগ করতে পারে।
Leave a Reply