আ’লীগের বিরোধে ঘি ঢালা হচ্ছে!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে ঘিরে জেলা আওয়ামী লীগের বিরোধে ঘি ঢালছেন কেন্দ্রীয় নেতারা এমন অভিযোগ আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে কাজ করতে এসে কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ দলের সাংসদ কিংবা নেতাদের নেতাদের নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের চলমান বিরোধ বিরোধ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের কিছু বক্তব্য-মন্তব্য নিয়ে জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ নিজেকে নৌকার মালিক ভাবতে শুরু করেছেন। আগামীতে কাকে নৌকা দিবেন আর কাকে নৌকা দিবেন না সে বিষয় নিয়েও প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। আর কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষপাতমূলক বক্তব্যের কারণে দলীয় প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীও দলীয় সাংসদ শামীম ওসমানকে গডফাদার হিসেবে আখ্যায়িত করে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীর সাথে সংশ্লিষ্টদের মতে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং নাসিকের মেয়র প্রার্থীর এমন বক্তব্য দেয়া মোটেও ঠিক হয়নি। নির্বাচনের সময় এমন বক্তব্য দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিরোধ আরো একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষপাতিত্বের কারণেই মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী সাংসদ শামীম ওসমানকে গণমাধ্যমের সামনে গডফাদার বলতে সাহস পেয়েছেন। এক সপ্তাহ আগে যাকে বড় ভাই এবং দলীয় সাংসদ বলেছেন, সেই আইভী এক সপ্তাহ পর সেই সাংসদকে গডফাদার বলে আওয়ামী লীগের বিভাজন বৃদ্ধি করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় নেতা এবং মেয়র প্রার্থীর এমন বক্তব্য-মন্তব্য সমুচিন হয়নি। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিরোধ নিয়ে স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতারা দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন তা এবারের নির্বাচনে প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগের তৃনমূলের মতে, যেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বিবাদমান দুই গ্রুপকে এক করে, এক মঞ্চে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন, তা না করে উল্টো দলীয় সাংসদ শামীম ওসমান এবং অনুগত নেতাদের বিরুদ্ধচারণ করে দলকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এসব করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। আর এসব নেতাদের বিতর্কীত বক্তব্যের কারণে দলীয় প্রার্থীর ক্ষতি ডেকে আনছেন কিনা এ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিরোধ মিটাতে নাসিক নির্বাচন সহায়ক এবং মোক্ষম সময়। এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই জেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ মিটানো এখন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
Leave a Reply