Home » প্রথম পাতা » সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়

ওরা স্থানীয় কাউকে নেতা হতে দিবে না

০১ ডিসেম্বর, ২০২১ | ১০:১২ পূর্বাহ্ণ | ডান্ডিবার্তা | 184 Views

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট

‘ফতুল্লা নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে’ মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, যে মানুষ জীবনে নৌকা বলে নাই। তাকে নৌকা এনে দেওয়া হচ্ছে। তবে, তাকে আমি স্বাগত জানাই, তিনি যেন প্রধানমন্ত্রীর একজন কর্মী হতে পারে। আর যদি তিনি সেটি না হতে পারেন এবং যারা তাকে নৌকা এনে দিলেন, তাদের বিচারের ভারও নেতাকর্মীদের উপর রইলো। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে সদর উপজেলার আলীগঞ্জ ক্লাবের উদ্যোগে উইনার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই কথা বলেন। এই সময় তিনি যে ষড়যন্ত্র চলছে তার পেছনে একটি পক্ষকে ইংগিত করে অতীতের আরও অনেক ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন। আইভী বলেন, ষড়যন্ত্র কিন্তু আজকের না। অনেক আগের থেকেই এমন ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ৯১ সালে দলের সাতজনকে তারা জেল খাটিয়েছিলো। যাদের একজন এই জাহাঙ্গীর আলম অন্যজন ছিলেন হকি তারকা রহমত উল্লাহ ভাই। চাষাড়ায় বড় ভাইয়েরা দোকান ভাঙচুর করে এদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রর্থনা তাদের এই সাজা থেকে বের হতে হয়েছিলো। চাষাড়ার একটি পক্ষকে ষড়যন্ত্রকারি হিসেবে ইংগিত করে মেয়র আরও বলেন, সবসময় তারা দলের মানুষকে বেশি নির্যাতন করে। আওয়ামী লীগ করা এমন অনেক লোককে তারা নির্যাতন করেছে। এখানে বসা আপনাদের নেতা পলাশ, তাকেও তারা ডান্ডাবেরি পরিয়েছিলো। কিন্তু যারা নেত্রীর প্রতি আস্থা রাখে, শেষপর্যন্ত তারাই বিজয়ী হয়। আপনারা পলাশকে ফতুল্লার নেতা বানাতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি আজকে সারা বাংলাদেশের নেতা হয়ে গিয়েছে। এই নেতার নেতৃত্বে আপনারা সবাই একত্রে থাকবেন এবং সকল ধরণের অন্যায়কে রুখে দিবেন। তিনি বলেন, পলাশকে কথা দিয়েছিলাম, মাঠ রক্ষায় শেষদিন পযর্ন্ত তোমার পাশে থাকবো। পলাশকে নিয়ে একদিন পরিকল্পনা মন্ত্রীর কাছে গেলাম, তাকে বললাম এরকম একটা সুন্দর মাঠ বাংলাদেশে আর কয়টা পাবেন। মিছিল ও মিটিং করতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী যাবে কোথায় বক্তৃতা দিবে। কোনো কিছুতেই এখানে বিল্ডিং করতে পারবেন না। সাথে সাথে উনার সেক্রেটারিকে ডেকে এনছিলেন এবং বললেন পুনরায় এটা তদন্ত করা হোক। এর দুইদিন পর গনর্পুর্তবিভাগের সকল ইঞ্জিনিয়াররা সিটি করপোরেশনে এসেছিলো। আমি পলাশকে জানিয়েছিলাম। দফায় দফায় আলোচনা হওয়ার পরেই পরবর্তীতে ডিসি ডেকে নিয়ে এই মাঠ করলেন। তিনি আরও বলেন, হুমকি ধামকি সব জায়গাতে আছে। হুমকি ধামকির সম্মুখিন হয়েছি আমার শেখ রাসেল পার্ক করতে গিয়ে। আমার কয়েকজন কর্মীকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। পার্ক করতে দিবে না বলেছে ২০০ টাকা খরচ করে এখানে মতিঝিল বানানো হবে। হাওয়া ও বিশুদ্ধ বাতাস খেতে দিবে না মানুষকে। সেদিন বলেছিলাম শত চেষ্টা করেও আমাকে রুখতে পারবেন না। সেখানে অনেক সুন্দর একটা মাঠ হয়েছে আরও অনেক কিছু হ”েছ। আপনারা গেলেই দেখতে পারবেন। আমার এলাকার অনেক মাঠ রক্ষা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আদমজীর মাঠটা রক্ষা করতে পারি নাই, তথন সংসদ সদস্য ছিলো শামীম ওসমান। উনি একটা শব্দ করেন নাই। ওই বিশাল মাঠটি হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিলো। সাবেক কিছু খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করেছিলো। আমি সে সময় পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি সে জায়গায় লেক করেছি আপনারা ঘুরে আসতে পারেন। সেই জায়গা নিয়েও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাকে রুখতে পারবে না। আইভী বলেন, একদিন এই মাঠে বলেছিলাম আপনারা প্রস্তাব করেন নতুন করে একটা পৌরসভা গঠন করেন। দেখেন সদরের উপজেলার নির্বাচন হতে দিচ্ছে না, ওইখানে আজাদ বিশ্বাসকে বসিয়ে রেখেছে হাতের পুতুল, যা বলবে তাই। ওরা স্থানীয় কোনো নেতাকে ওইখানে দাঁড়াতে দিবে না। স্থানীয় নেতাদেরকেও দাঁড়াতে দিবে না। কারন তাদের কমান্ড কেউ মানবে না। এর জন্য তারা নারায়নগঞ্জে নেতা তৈরি করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় উপজেলায়ও করতে থাকে। সুপরিকল্পিতভাবে পলাশকে কিভাবে সরানো যায়, যাতে সে এমপি নির্বাচন না করতে পারে সেজন্য বিভিন্ন ছক আঁকা হচ্ছে। আপনারা মাঠ যেভাবে রক্ষা করেছেন আপনাদের নেতাকে ঠিক ওইভাবে রক্ষা করবেন।

Comment Heare

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *