কাশীপুরে নারী মেম্বার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতারণা অভিযোগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গত কাশীপুর ইউয়িন পরিষদ নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। সেই নির্বাচন থেকেই সকলে তাকে আইনজীবী হিসেবে জানতেন। কেননা নির্বাচনী পোস্টারে তিনি ‘এডভোকেট’ ব্যবহার করেছিলেন। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। নিজ এলাকার মানুষের কাছে তিনি এডভোকেট মরিয়ম আপা নামেই পরিচিত। তিনি নিজেও বছরের পর বছর পরিচয় দিয়ে বেড়ান এডভোকেট হিসেবেই। অথচ আইনজীবী সমিতির রেজিস্ট্রারে তাঁর নামই নেই। এমন প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে কাশীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মরিয়ম আক্তারের বিরুদ্ধে। যিনি এবার এ ইউনিয়নটির ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কাশীপুর ৮নং ওয়ার্ডের বাবুরাইলের শেষ মাথায় মোহাম্মদ শামছুল হক মাস্টারের মেয়ে মরিয়াম আক্তার। বিয়ে হয়েছে ৭নং ওয়ার্ডের দেওভোগের মো. নাছির উদ্দিন মোল্লার সাথে। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নিজেকে পরিচয় দিতে চাইছেন নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের এডভোকেট হিসেবে। প্রচারপত্রেও মরিয়ম আক্তার নামের আগে বড় করে লিখছেন ‘এডভোকেট’। তাঁর উপরে ছোট করে লেখা ‘শিক্ষানবীশ’। ৫ বছর পূর্বেও একই ভাবে পরিচয় দিয়ে এই ওয়ার্ডে নির্বাচন করেছিলেন মরিয়ম। স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি বলেন, আমরা সকলেই উনাকে এডভোকেট মরিয়ম আপা নামেই জানি। তিনি এডভোকেট কি না, সেটাতো জানি না। তবে, নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্যাদিতে কোথাও ‘এডভোকেট’ মরিয়ম আক্তার বা ‘শিক্ষানবীশ এডভোকেট’ মরিয়ম আক্তার লেখা নেই। সেখানে প্রার্থীর নামের স্থানে শুধু ‘মরিয়ম আক্তার’ নামটিই লেখা। নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির রেজিষ্টার খাতায় দেখা গেছে, মরিয়ম আক্তার নামের কেউ তাদের সদস্য নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কি ভাবে নিজেকে এডভোকেট বা শিক্ষানবীশ এডভোকেট লিখছেন। এ প্রশ্নের উত্তরে ‘বড় ভাই আইনজীবী’ দাবি করে মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘আমি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এলএলবি পাশ করে শিক্ষানবীশ হিসেবে সিনিয়র আইনজীবীর অধিনে রয়েছি। আমি নামের আগে তাই শিক্ষানবীশ এডভোকেট লেখেছি। আমার শিক্ষানবীশ কার্ডও রয়েছে। আমি এডভোকেট হওয়ার চেষ্টায় আছি। উনাদের তালিকায় আমার নাম না থাকলে উনাদের ব্যাপার।’ এ ব্যাপারে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাহবুবুর রহমান জানান, ‘রেজিষ্টার খাতায় মরিয়ম আক্তার নামের কোন এডভোকেট পাওয়া যায়নি। মরিয়ম আক্তার নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির কোন সদস্য নয়। আইনজীবী সমিতির সদস্য না হলে তিনি নিজেকে এডভোকেট বা শিক্ষানবীশ হলেও কেউ শিক্ষানবীশ এডভোকেট লেখতে পারবে না।
Leave a Reply