কায়েতপাড়ায় রফিক আতঙ্ক

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে এখানে সন্ত্রাসীরা বাধার সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এই ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা থাকাতে ইতোমধ্যে বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরও প্রভাবশালী বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক গ্রুপের লোকজন সুষ্ঠু ভোটে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোটাররা। উল্লেখ্য, বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীতি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম রফিক। এবার তিনি তার ভাইয়ের জন্য দলীয় প্রতীক চেয়ে ব্যর্থ হন। এবং ক্ষুব্ধ হয়ে দলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি তার ভাইকে নৌকার বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে নিজেও নেমে পড়েন প্রচারণায়। তার সাথে যুক্ত হয়েছিলেন কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাও। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগ রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমানসহ ১৫ জনকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করে। এদিকে সূত্র জানায়, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান্য এলাকায় যেমন তেমন, নাওড়া এলাকাতে নৌকাকে পরাজিত করার সকল রকমের চেষ্টা তদবির ও জোর করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এখানকার সাধারণ ভোটারদের টাকা ও হুমকি ধামকি দিয়ে আনারসে ভোট দিতে বাধ্য করার চেষ্টা চলছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। সূত্র বলছে, নাওড়া হচ্ছে রফিকুল ইসলাম রফিকের নিজস্ব এলাকা। এখানেই তার বাড়ি। ফলে সাধারণ ভোটারদের উপর তার প্রভাবটাও বেশি। কেননা, এই এলাকাতে সাধারণ মানুষ রফিকের বিরুদ্ধে কথা বলার সক্ষমতা রাখেন না বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা বলছেন, কার ঘাড়ে কয়টা মাথা যে রফিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলবে মানুষ! সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার ভোটকে কেন্দ্র করে নাওড়া এলাকার ভোটারদের নানা কৌশলে ভয় ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে রফিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে। এখানে যে কোনো মূল্যেই হোক নৌকাকে পরাজিত করাটাই তাদের ব্রত। অথচ নৌকার লোক পরিচয়ে, নৌকার ছায়ায়, দয়াতে আজকের রফিকুল ইসলাম হয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আক্ষেপ ও হতাশা ব্যাক্ত করেন। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থেকে একজন ডিম বিক্রেতা আজ শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অথচ সেই ব্যক্তিই আজ নৌকাকে ডুবাতে সবরকম চেষ্টা তদবির চালাচ্ছেন। এরা আসলে কখনই নৌকার পক্ষের লোক কখনই ছিলেন না। নিজেদের সুবিধার্থে এরা আওয়ামী লীগার সেজেছিলেন। হয়তো সামনে অন্য কোনো দল ক্ষমাতাসীন হলে তারাও সেই দলের সব থেকে প্রিয়ভাজন, বড় নেতা হয়ে যাবেন। এদিকে স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, কায়েতপাড়ায় বিজিবি ও র্যাব রয়েছে। এতে করে কিছুটা হলে স্বস্তি রয়েছে তাদের মাঝে। কিন্তু এরমধ্যেও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ইউনিয়নের নাওড়া এলাকা। এখানে ভোট কেন্দ্র দখল করাসহ সাধারণ ভোটারদের চাপপ্রয়োগ করা হতে পারে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই এলাকাটিতে বিশেষ নজর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তা না হলে ভোটের দিন বড় রকমের কোনো না কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে এমন আশঙ্কা ভোটারদের মাঝে।
Leave a Reply