ক্ষমতা মানুষের জন্য লড়াই করবে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ শামীম ওসমানর সহধর্মীনি ও জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি বলেছেন, আমরা স্বপ্ন দেখি উন্নত নারায়ণগঞ্জের। আমরা স্বপ্ন দেখিনা শুধু, সেগুলো যাতে বাস্তবে রূপান্তর করতে পারি সেই দোয়াই করবেন আপনারা। আমরা আজকাল মানুষকে দেখি যে, মানুষ ক্ষমতার জন্য যা নয় তাই করছে। একদিন এমন আসবে যে ক্ষমতা মানুষের জন্য লড়াই করবে। যে যোগ্য সেই ক্ষমতা পাবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে সদর উপজেলার ইউএনও’র বিদায় ও নতুন ইউএনও’র বরণ অনুষ্ঠানে সালমা ওসমান লিপি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। সালমা ওসমান লিপি বলেন, আসলে বিদায় জানাতে আসাটা কষ্টকর। আবার কাউকে ওয়েলকাম করাটাও আনন্দের, আজ দুটোই আমাদের মাঝে আছে। আমাদের বিদায়ী ইউএনও আরিফা জুহুরাকে আমি অনেক স্নেহ করি। আমি সবার কাছ থেকে শুনেছি, আরিফা সত্যিকারের একজন ভালো মানুষ। মানুষ এক জায়গায় যে বেশি দিন থাকে না, এটা তো খুব ছোট ব্যাপার, পৃথিবীতেই তো বেশিদিন থাকে না। তিনি বলেন, আমরা আজ আরিফাকে বিদায় জানাচ্ছি, আমার অসম্ভব মন খারাপ হচ্ছে। বিগত দিনে যারা ইউএনও হিসেবে এসেছিলেন তাদের যখনই নিজের পরিবারের একজন সদস্যই মনে করা শুরু করি, তখনই তাদের বিদায়ের খবর এসে যায়। আমার দোয়া আরিফা সাফল্য অর্জন করুক, ও ডিসি হয়ে নারায়ণগঞ্জে আসুক। মন খারাপ হবেই, কিন্তু উপরে উঠত গেলে মন খারাপ হবেই। আমি স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের সদর উপজেলার নতুন নির্বাহি কর্মকর্তাকে। সদর উপজেলার কোন পদে আমি নেই, তবুও দেখা যায় এখানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সাহেব থেকে আমি বেশি উপস্থিত হচ্ছি। হয়তো ওনার সাহায্যের জন্য ওনার কাজই করছি। আমার মনে হয় আমি এই উপজেলার টিমের একজন মেম্বার হয়ে গিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমার এই জিবনে আমাকে কেউ কোন পদ পদবি দেক বা না দেক, আমি সানুষের পাশে সব সময়ই থাকবো। আমি যেন মানুষের দুঃখে দুঃখিত হয়ে তাদের জন্য কিছু করতে পারি, সেটাই আমার জন্য অনেক বড়। আমি এর আগেও চেষ্টা করেছি, বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে যখন কোন দুর্যোগ আসে, তখন আমি পৌছানোর চেষ্টা করি আমার সামর্থ অনুযায়ী। সেখানে কিন্তু ভোট চাওয়ার কোন বিষয়ই নেই। এই শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) আমাদের একটি টিম চলে যাবে পঞ্চগড়ে। সেখানে প্রচন্ড শীত, আমি কিছু কম্বলের ব্যবস্থা করেছি, ওরা সেখানে গিয়ে সেগুলো দিয়ে আসবে। সেই কম্বল পেয়ে সেখানের মানুষের মন থেকে যে দোয়াটা বের হবে, সেটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।
Leave a Reply