খুনের ঘটনায় ৬ বন্ধু গ্রেফতার

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লার ইসদাইরে ছুরিকাঘাতে নিহত ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৬) হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা মাধব চন্দ্র দাস বাদী হয়ে দশ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হলো ফতুল্লা থানার ইসদাইর বাজার এলাকার মোঃ মিঠুর ছেলে ইয়াসিন (১৬), ইসদাইর উকিলের বাড়ীর লিটন দাসের ছেলে পিয়াশ দাস (১৬), বলয় চন্দ্র রায়ের ছেলে রিপন (১৭), উজ্জল চন্দ্র দাসের ছেলে রুদ্র চন্দ্র দাস (১৬), বিমল চন্দ্র শিলের ছেলে অন্তু চন্দ্র শীল (১৬), শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে জয় চন্দ্র দাস (১৭), প্রান্তোষের ছেলে প্রভাত (১৬), একই এলাকার তুহিন (২১), ফয়সাল (২১) ও হিমেল (১৯)। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর একমাত্র ছেলে ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৬) ফতুল্লা থানার ইসদাইরস্থ রাবেয়া স্কুলে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। গত সোমবার রাতে বাদীর ছেলে নিজ বাসায় বসে লেখাপাড়া করছিল। রাত ৮ টার দিকে ছেলের সহাপাঠি রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস বাসায় এসে তাদের অপর এক সহপাঠির জন্মদিনের গিফট কেনার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে বের করে। রাত সাড়ে আটটার দিকে রাবেয়া স্কুলের সামনে রাস্তায় পৌছালে নিহতের সহাপাঠি শ্রী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস সহ অভিযুক্ত আসামী সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন হাতে ছোড়া চাকু, সুইচ গিয়ার চাকু, লোহার পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে নিহত ধ্রুবকে এলোপাথারী মারপিট করিতে থাকে। এক পর্যায়ে হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে ধ্রুবকে এলোপাথারী পেটাতে থাকে। এমন সময় অভিযুক্ত ইয়াসীন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ধ্রুবকে ছুরিকাঘাত করে। ফলে রাস্তায় পরে যায় ধ্রুব। সংবাদ পেয়ে বাদীর ছোট ভাই মিঠুন চন্দ্র দাস ও তুষার তাকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) কর্তব্যরত চিকিৎসক ধ্রুব কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বাদী সহ স্বজনেরা ধ্রুবকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে রাত সোয়া দশটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনার পরপর ছয়জন কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ফতুল্লা থানার ইসদাইর এলাকার মোঃ মিঠুর ছেলে ইয়াসীন (১৫), ইসদাইর উকিল বাড়ীর লিটন দাসের ছেলে পিয়াস দাস (১৫), ইসদাইর বটতলার বিমল চন্দ্র শীলের ছেলে অন্ত চন্দ্র শীল (১৫), পূর্ব ইসদাইর বুড়ির দোকানের বলয় চন্দ্রের ছেলে রিপন, ইসদাইর বাজার এলাকার শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে জয় চন্দ্র দাস (১৭) ও বুড়ির দোকান এলাকার উজ্জল চন্দ্র দাসের ছেলে রুদ্র চন্দ্র দাস (১৬)। ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিয়াজুল হক দিপু জানায়, নিহত স্কুল ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ এজাহারনামীয় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
Leave a Reply