ঘুরে আসতে পারেন সিলেট ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর টলটলে স্বচ্ছ নীল জলরাশি

সোহেল রানা
ভোলাগঞ্জ সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানিগঞ্জে অবস্থিত। ভোলাগঞ্জের আরেকপাশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু উঁচু পাহাড়। সেই পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণার পানির প্রবাহ ধলাই নদের উৎস। সবুজ পাহাড়, মেঘের হাতছানি আর বর্ষার পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসা সাদা পাথর ধলাই নদের বুকে মিলে মিশে সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। এই নদের উৎস মুখের পাথরের জায়গাটুকু ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট বা “সাদা পাথর” নামে পরিচিত। এক নৈসর্গিক প্রেমময় মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে! সাদা পাথরের বিছানা দিয়ে কলকল শব্দে বয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা শীতল ঝরনা।টলটলে স্বচ্ছ নীল জলরাশি। উপরে শরতের শুভ্র মেঘে ঢাকা নীলাম্বরী। উঁচু পাহাড়ে সবুজের মায়াজাল! ঘটঘট শব্দ করে ইঞ্চিন নৌকা ভিড়ে ধু-ধু বালু চরে। অদূরেই প্রতিবেশি পাহাড়ের পাদদেশে সাদা কাঁশফুলের হাতছানি।সাদা পাথরের বিছানা দিয়ে কলকল শব্দে বয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা শীতল ঝরনা। যা মিশে যাচ্ছে ধলাই নদের উৎস মুখে। সাদা পাথর, উঁচু পাহাড় আর ধলাইয়ের স্বচ্ছ নীল জলরাশি মিলে.
সিলেটকে ৩৬০ পীর-আউলিয়ার দেশ বলা হয়। মাজার-মসজিদ নানা স্থাপনা রয়েছে এখানে। আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রাচুর্যেও ভরা সিলেট বিভাগ। চা-বাগান, জলমগ্ন বুনো বন, পাথুরে নদী, পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝরনা, দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি হাওরসহ পুরো বিভাগে জুড়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সব পর্যটনকেন্দ্র। এরমধ্যে নয়নাভিরাম ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর। সিলেট শহর পার হলেই চোঁখ ধাঁধানো সবুজের হাতছানি। যাত্রার সঙ্গী হয় ছোট-বড় টিলার মতো পাহাড়গুলোকে মুড়িয়ে রাখা চা-বাগান, নীলাকাশ, সবুজ ক্ষেত, ছোট-বড় নদী খাল।
শহরের আম্বরখানা থেকে দো-তলা বিআরটিসি বাসে করে সাদা পাথরকে আলিঙ্গন করার উদ্দেশ্যে যাত্রা। বিআরটিসি বাসের দো-তলায়বিআরটিসি ছাড়াও সাদা পাথর নামে আরেকটি পরিবহন রয়েছে। ৬০ টাকা বিনিময়ে ৫০ মিনিটেই ধলাইয়ের উৎসমুখ সাদা পাথরে। কেউ চাইলে রির্জাভ সিএনজি অটোরিকশাতেও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে খরচ গুণতে হবে বেশি।
Leave a Reply