চন্দনশীলে উজ্জীবিত শামীম শিবির

ডান্ডিবার্তা | সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ ৯:৫৭

আবদুর রহিম

জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল। আর এই খবরে শামীম ওসমান পন্থী নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। বোদ্ধা মহলের মতে, এক চন্দন শীলেই উজ্জীবিত শামীম শিবির। সূত্র বলছে, এটা সাংসদ শামীম ওসমানের কারিশমা। চন্দন শীল উত্তর পন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত।  এছাড়া তিনি সাংসদ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবেও সবার কাছে পরিচিত। ছাত্র জীবন থেকে এক সঙ্গে রাজনীতি করে আসছেন। আওয়ামী লীগ করার কারণে বোমা হামলায় দু’পা হারিয়েছেন তিনি। সূত্র জানায়, এবারের জেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিতে জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেনসহ দলের একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু,  দল চন্দন শীলকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে  শতভাগ আশাবাদী ছিলেন। দলের সমর্থনের জন্য কেউ থেমে ছিলেন না। যে যার মতো করে লবিং করেছিলে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে।এ দৌড়ে বাদ যায়নি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকও। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এ পদের জন্য পর্দার আড়ালে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। অনেক খেলা খেলেছেন একাধিক নেতা। তবে শেষ খেলাটা শামীম ওসমান খেলেছেন। শামীম সেনাদের মতে, চন্দন শীলের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে সাংসদ শামীম ওসমানের বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। আর এটাকেই বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। চন্দন শীল যিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদের পাশাপাশি জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অফিসে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণ কালের ভয়াবহ বোমা হামলার শিকার হয়ে দু’টি পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতাদের একজন হচ্ছেন চন্দন শীল। তিনি দলের জন্য নিবেদিত এবং পরীক্ষিত। এদিকে, চন্দনের মনোনয়নে দলের একটি পক্ষ চুপসে গেছেন। নারায়ণগঞ্জে নতুন করে রাজনৈতিক সমীকরণ শুরু হয়েছে। এই সমীকরণে রয়েছে আগামী দিনের রাজনীতি, কমিটি গঠন এবং জাতীয় নির্বাচন।