চাঁদাবাজদের ফুটপাত দখলের পাঁয়তারা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যস্ততম শিমরাইল মোড়ে ফের ফুটপাত দখলের পাঁয়তারা করছেন স্থানীয় চাঁদাবাজ, মার্কেটগুলোর মালিক এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা। এ জন্য তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে তদবির চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্যস্ততম শিমরাইল মোড়ে স্থায়ী যানজট নিরসনকল্পে এবং যানবহনের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ইতিপূর্বে একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ফুটপাতের ছোট-বড় দোকান উচ্ছেদ করে যানচলাচল স্বাভাবিক করে। এতে এ মহাসড়কে যানজট নিরসন হয়। বঞ্চিত হয় ফুটপাতে অবৈধভাবে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনকারী চাঁদাবাজরা। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ফের মহাসড়কের ফুটপাত দখল করার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, অর্থ বা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে ফের ফুটপাত দখল। এরই অংশ হিসেবে ২৬ অক্টোবর হকার্স লীগ নেতা সেলিম রেজার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করা হয় হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ও ফুটপাতে হকারদের বসতে দেওয়ার দাবিতে। বিক্ষোভ চলাকালীন ওই শ্রমিক লীগ নেতার নেতৃত্বে হকাররা হাইওয়ে পুলিশের উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন। ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ বাধা পাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে হকার্স লীগ নেতা ও একাধিক মামলার আসামি সেলিম রেজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতা হাইওয়ের শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই মশিউর আলমকে ফোন করে গ্রেফতারকৃত হকার্স লীগ নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদবির চালায়। প্রতি মাসে ফুটপাত থেকে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করা চিহ্নিত চাঁদাবাজ, রাজনৈতিক নেতা ও হাইওয়ের পাশের কয়েকটি মার্কেটের মালিকরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফুটপাত দখলের তদবির এবং পুলিশকে অর্থ দিয়ে ম্যানেজের চেষ্টায় নেমেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি সাজ্জাদ করিম খান বলেন, শিমরাইলে মহাসড়ক ও ফুটপাতের উচ্ছেদকৃত জায়গায় আর কোনো দোকানপাট বসতে দেওয়া হবে না এবং কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না।
Leave a Reply