জাপা ঠেকাতে মাঠে না’গঞ্জ আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আবারও নৌকা-লঙ্গল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। আগামীতে লাঙ্গলকে আর ছাড় দিতে চাচ্ছে না আওয়ামী লীগ। বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হওয়া দ্বন্ধ কখনো সভামঞ্চে ঝড় ওঠে, কখনো চায়ের টেবিল গরম হচ্ছে। আবার কেউ কেউ এই দ্বন্ধকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ব্যস্ত রয়েছে। নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে লাঙ্গলকে ছাড় না দেয়ার বিষয়টি। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা দাবি তুলেছেন আগামীতে যেন এ জেলায় লাঙ্গল দেয়া না হয়। নেতারাও আর ছাড়া দিতে চাচ্ছে না। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। আওয়ামীলীগের দক্ষিণ মেরুর একাধিক নেতার মতে আগামী নির্বাচনে সদর-বন্দর আসন কোন অবস্থাতেই আওয়ামীলীগ ছাড় দিবে না। এ লক্ষ্যে তারা ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে। সদর-বন্দর আসনে নৌকাকে শক্তিশালী করতে বন্দরে তারা নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করছে। পাশাপাশি শহরেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের লাঙ্গলের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে। যে কারণে মহানগর আওয়ামীলীগের প্রধান শক্তি নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী আগামী কমিটিতে তার অনুসারিদের সংখ্যা গরিষ্ট পদ দিতে কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। আর এ কারণেই মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রকাশ্য সমাবেশে লাঙ্গলের প্রার্থীকে ব্যালট ছিনতাইয়ের মাধ্যমে বিজয়ী করার কথা বলার পরও জাতীয়পার্টির পক্ষ থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা কোন প্রকার মন্তব্য করেনি। এছাড়াও গতকাল শুক্রবার বন্দরের একটি অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল বলেন, ক্ষমতায় লাঙল না ক্ষমতায় নৌকা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আমরা নৌকা দাবি করব। আমরা নারায়ণগঞ্জের কোন আসন লাঙ্গলের জন্র ছাড় দেব না। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিরোধ দীর্ঘদিনের হলেও এই বিরোধ এবার জাতীয় পার্টির সাথেও দেখা দিয়েছে। গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে লাঙ্গল ও নৌকার প্রার্থীতা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পরেন আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির নেতারা। এই বিরোধকে ঘিরে বন্দরের রাজনীতিতে উত্তাপ উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। যার রেশ এখনো কাটেনি। বন্দরের ইস্যুতে শুরু হওয়া বিরোধে জড়িয়ে পরেন জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা। বিশেষ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বিরোধে জড়িয়ে পরেন। এই বিরোধ ছুঁয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদেরও। বাদ জায়নি সাংসদ কিংবা নাসিকের মেয়রও। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ নিজ দলের প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। ফলে বন্দরের বিরোধের আগুন নদী পার হয়ে মহানগর এবং জেলায় ছড়িয়ে পরেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা লাঙ্গলকে আর ছাড়া দিতে চাচ্ছে না। আগামী নির্বাচনে সবগুলো আসন নৌকা চাচ্ছেন। লাঙ্গলকে আর ছাড়া দেয়া হবে না বলেও একাধিক নেতা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে জানিয়েছেন। আর এসব বিষয় নিয়ে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির মাধ্যে দুরত্ব দেখা-দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতাদের দাবি, লঅঙ্গল এবং নৌকা কে কাকে দিবে তা নির্ধরন করবেন হাই কমান্ড। আমরা এখানে বসে যতোই বক্তব্য দিয়ে গলা ফাটাই না কেন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এবং সময়ই বলে দিবে লাঙ্গল পাবে না নৌকা পাবে।
Leave a Reply