টেন্ডার ছাড়াই সরকারী পণ্য বিক্রির নামে প্রতারনা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
টেন্ডার ছাড়াই সরকারী পণ্য বিক্রির আশ্বাস দিয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের ২নং বিআইডব্লিওটি-এর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও মেকানিক্স ওয়ার্কার মো: আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে। এতে তিনি ব্যবহার করতেন তার বানানো কিছু ভুয়া দরপত্র কাগজ। সেই কাগজ দেখিয়ে তিনি প্রতারণা করে আসেছন দীর্ঘদিন যাবত। প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরত চাইলে দেই দিচ্ছি করে টালবাহানা করে আসছে মাসের পর মাস। ভুক্তভোগী ও ঐ অফিসের একাধিক কর্মচারী জানায়, ২নং বিআইডব্লিওটি-এর পুরাতন ব্যাটারি, জাহাজের প্লেট, টিন, এঙ্গেল নিলামে বিক্রির ভুয়া দরপত্র দেখিয়ে মাল দেওয়ার কথা বলে অগ্রীম টাকা নিত শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: আক্তার হোসেন। এরপর মাল চাইতে গেলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মাল না দিয়ে উল্টো হুমকি দেখিয়ে আসছে আক্তার হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এমনকি মালামাল না পেয়ে তাদের দেওয়া অর্থ ফেরত চাইতে গেলেও হুমকি দেয় আক্তার হোসেন। এতে নি:স্ব হয়ে পড়েছে অনেক ভুক্তবোগী। এমনই একজন ভুক্তভোগী সোলেমান বুলবুল। তিনি বলেন, প্রতারক আক্তার হোসেন আমাকে পুরাতন ব্যাটারি, জাহাজের প্লেট, টিন ও এঙ্গেল বিক্রির ভুয়া দরপত্র দেখিয়ে মাল দেওয়ার কথা বলে। তারপর আমার কাছে সিকিউরিটি বাবদ কিছু টাকা চাইলে আমি তাকে দলিল করে অগ্রীম সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দেই। পরে মাল বুঝে নিতে গেলে সে আমাকে মাল না দিয়ে উল্টো হুমকি দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ করি কিন্তু কোন সমাধান পাইনি। এছাড়া সে আমাকে টাকা নেওয়ার ভিত্তিতে একটি চেক দিয়ে ছিল। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে দেখি উক্ত চেকের অ্যাকাউন্টে কোন টাকা নেই। পরবর্তীতে তিনি এ ব্যপারে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আরেক ভুক্তভোগী কবির হোসেন বলেন, আক্তার আমাকে এস্ক্রাফ মালের একটি ভুয়া দরপত্র নোটিশ দেখিয়ে বলেন, তার কাছে বেশ কিছু এস্ক্রাফ মালমাল রয়েছে। এর ভিত্তিতে তাকে আমি স্ট্যাম্প করে অগ্রিম চার লক্ষ টাকা দেই। কিন্তু মাল চাইতে গেলে সে আমাকে মাল দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। একপর্যায়ে আমার দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে নানা রকম হুমকি দিতে থাকে। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি তারা ২ নং বিআইডব্লিওটি এর শ্রমিক ইউনিয়নের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এরা ভুয়া দরপত্র দেখিয়ে এভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া স্বপন ও শামীম নামে আরও দুই ভুক্তভোগীর কাছ থেকেও একই কায়দায় তিন লক্ষ টাকা নেয়। এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, আমরা সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply