তেল পাচার সিন্ডিকেট সক্রিয়!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লার তেল সেক্টর এখন তের পান্ডার হাতে চলে গেছে। দিন ও রাতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে চোরাই তেলের ব্যবসা। টোকাই থেকে শুর” করে রাজনৈতিক দলের ক্যাডারও এখন চোরাই তেলের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পরেছে। ভাগ ভাটোয়ারার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে ফতুল্লার তেল সেক্টর। ফতুল্লার মেঘনা ও যমুনা ডিপোর তেল সেক্টর নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। পাশাপাশি ডিপোর বেশ কিছু কর্তা-ব্যাক্তিরাও জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে। রাতের আধারে নদীতে তেল পাচারে কিছু জাহাজ শ্রমিকও সহায়তা করে থাকে। অনেক সময় রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা জাহাজ শ্রমিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মী কওে জ্বালাণী তেল দিতে বাধ্য করছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। অপর একটি সূত্রে জানাগেছে, ফতুল্লার ফাজিলপুর, ধর্মগঞ্জ, চাষাঢ়া ও কেরানীগঞ্জের কাউটাইল এলাকার প্রায় শতাধিক ব্যাক্তি তেলপাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিংবা ম্যানেজ করেই তেল পাচার হচ্ছে বলে মেঘনা ও যমুনা ডিপোর সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের অভিযোগ। একই অবস্থা বিরাজ করছে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা ডিপোতেও। স্থানীয় ক্যাডারদের কাছে জিম্মী রয়েছে এই ডিপো। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক সিন্ডিকেট এই ডিপোর চোরাই তেলের ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে। বিমানের জ্বালানী তেল সরবরাহকারী এই ডিপোর তেল পাচারের কারনে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তবে জ্বালানী তেল পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে সচেতন মহল। বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, ফতুল্লার মেঘনা-যমুনা ডিপোর জ্বালানী তেল ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে পাচার করছে ফাজিলপুরের শীর্ষ তেল পাচাকারী ও ফতুল্লা পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসী পাভেল ও তার বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া পাভেল তার ভাই বাবু, কবরীর ক্যাডার ফাজিলপুরের খাঁজা মাঈনুদ্দিন, পঞ্চবটির মাসুদ, রানা, কুট্টি, ফতুল্লার টুন্ডা মামুন, ইকবাল চৌধুরী, র”বেল চৌধুরী, কেরানীগঞ্জের মান্নান, কৌকার মাঝি আবু। আর এসব তেল পাচারকারীদের নানা ভাবে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী এক শিল্পপতির ভাতিজার বির”দ্ধে। এদের মধ্যে বাপ্পি, পাভেল, খাজা ও স্বপন সরদার প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার করে তেল পাচার করছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে। যদি আজমেরী ওসমান বার বার বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, তার নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে তার দায়দায়িত্ব তার নয়। এছাড়া আজমেরী ওসমান এসব অপরাধীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতেও বলেছেন। অপরদিকে, ফতুল্লার নদী ও সড়ক পথের সবচেয়ে বড় তেলপাচারকারী হিসেবে নাম উঠে এসেছে ফতুল্লার ইকবাল চৌধুরী ও তার ভাই র”বেল চৌধুরীর বির”দ্ধে। তারা নানা কৌশলে ফতুল্লার নদী ও সড়ক পথে জ্বালানী তেল পাচার করছে বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। ইকবাল চৌধুরী শুধু ফতুল্লার মেঘনা ও যমুনা ডিপোরই তেল পাচারে জড়িত নয়, সে সিদ্ধিরগঞ্জে পদ্মা ডিপোর তেল পাচারের সাথেও জড়িত রয়েছে বলে ভিন্ন সূত্রে জানগেছে। ইকবাল চৌধুরী ও তার ভাই রুবেল তেলপাচারে ফতুল্লার গর”র হাট, ফতুল্লা লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাট ব্যবহার করছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে। ফতুল্লার মেঘনা ও যমুনা ডিপোর তেল পাচারের সাথে আওয়ামীলীগের পাশাপাশি বিএনপির একাধিক ব্যাক্তি পর্দার আড়াল থেকে শেল্টার দিচ্ছে বলে ফতুল্লার একাধিক সূত্রে জানাগেছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে সিদ্ধিরগঞ্জের পদ্মা ডিপোতেও। এখানেও সিন্ডিকেট করে তেল পাচার করছে একাধিক চক্র এমন অভিযোগ গোদনাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার একাধিক সূত্রের। তবে জ্বালানী তেল পাচার বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছে সচেতন মহল।
Leave a Reply