ধর্মের দোহাই দিয়ে ভোট চাচ্ছেন লিটন সাহা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের কাছে গিয়ে ধর্মের দোহাই দিয়ে ভোট প্রার্থনা করে বেড়াচ্ছেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ভোট পেতে ভোটারদের টাকাও দিচ্ছেন লিটন সাহা। গত ২-৩ দিন ধরেই এই কার্যক্রম চালাচ্ছেন তিনি। তবে এই বিষয়ে কথা বলতে সুতা ব্যবসায়ীদের সংগঠন নারায়ণগঞ্জ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। এদিকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুতারপাড়া বংশাল রোডে কার্তিক নামে এক ব্যক্তির কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন ব্যবসায়ী নেতা লিটন সাহা। এই সময় কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদ হাসান রকি ও শারমিন হাবীব বিন্নিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কার্তিক নামে ওই ব্যক্তিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবতা ‘মহাদেব’ এর শপথ করিয়ে রকি ও বিন্নিকে ভোট দিতে বলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, লিটন সাহার গলায় থাকা ‘মহাদেব’ এর ছবি সম্বলিত লকেট কার্তিক নামে ওই ব্যক্তির মাথাও ছোয়ান। লিটন সাহার জোরাজুরিতে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কার্তিক দুই প্রার্থীর মাথায় হাত দিয়ে ভোট দিবেন বলে জানান। একই সময়ে কার্তিক নামে ওই ব্যক্তিকে টাকাও দেন লিটন সাহা। জানা যায়, ভিডিওটি গত বুধবার রাতে ধারণ করা। এই বিষয়ে রাতেই ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসদের সমন্বয়কারী নিখিল দাস। নিখিল দাস স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ইয়ার্ণ মার্চেন্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি লিটন সাহা নির্বাচনের আচরণবিধি লংঘন করে ১৫নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় নগদ টাকা দিয়ে প্রার্থীর ভোট কিনছেন। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ ‘গীতা’ ছুঁয়ে ভোট নিশ্চিত করছেন। এছাড়াও লিটন সাহা প্রতিনিয়ত হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা তার দ্রুত গ্রেফতার দাবি করছি।’ নিখিল দাস বলেন, হিন্দু ভোটারদের ভোট আদায় করতে ধর্মের দোহাই দিচ্ছেন লিটন সাহা। গীতা ছুঁইয়ে শপথ করানো হচ্ছে। একই সাথে টাকাও দিচ্ছেন লিটন সাহা। এইভাবে কেউ ভোট চাইতে পারেন না। লিটন সাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও বাসদ নেতা অসিত বরণ বিশ্বাস বলেন, এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আশা করি নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply