না’গঞ্জে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান অবশেষে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মনের কথাই যেন প্রকাশ্যে বললেন। গতকাল রবিবার বন্দরে সিএসডি’র অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান বলেন নারায়ণগঞ্জ অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। তবে এইসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তিনি তার বক্তব্যে প্রকাশ না করলেও উপস্থিত বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা নারায়ণগঞ্জের ক্ষমতাসীন দলের নেতার নাম উল্লেখ করে এদেরকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আখ্যায়িত করে অনেকটা ক্ষোভের সংগে বলেন, এরা যদি কোন অনুষ্ঠানে থাকে তবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হবে। তারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহিৃত করে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে আহবান জানান। এই অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান আরো বলেন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেয়া হচ্ছে। ৭৫ এর পর যারা জীবন দিয়েছেন নূর হোসেনরা তাদেরকে অনুদান না দেয়া হলেও তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা উচিত নয়তো কোন একদিন দেখা যাবে তাদের নাম সন্ত্রাসীদের তালিকায় চলে এসেছে। শামীম ওসমান বলেন, ১৯৮১ সালে যেদিন জাতির পিতার কন্যা ৩১ বছর বয়সে দেশে ফিরে এসেছিলেন এত মানুষ সেদিন কোথায় ছিল। নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ৮১ থেকে ৯৬ পর্যন্ত ৪৯ টা ছেলের লাশ মাটিতে দাফন করেছি। ৯৫ থেকে ৯৬ ১ বছরে ১২ জনকে জীবন দিতে হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য। স্লোগান দিয়েছিল শুধু একটা জয় বাংলা। আমার ছোট ভাই মনির ২১ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল তার বুকের মধ্যে গুলি করা হয়েছিল। পাপ্পুকে হত্যা করা হয়েছিল চাষাঢ়ার রাস্তার মোড়ে। সেদিন পুলিশ আমাদের উপর গুলি চালিয়েছিল। আমরা রাজপথে ছিলাম। আমরা কারো বিরুদ্ধে স্লোগান দেইনি। সেই লাশ নিয়ে যাবার সময় লাশের উপর গুলি করা হয়েছিল। সেই লাশ নামিয়ে ৭৫ টা ছিটা গুলি আমরা বের করেছিলাম। দাফন দিতে পারিনি কবরস্থানে। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের মসজিদের পাশে গিয়ে দাফন দিতে হয়েছিল। শামীম ওসমান বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের কথা মনে পড়ে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সেদিন কাউকে মারেনি, মেরেছে মোস্তাক বাহিনী। মোস্তাকরা এখনো ভেতরে বাইরে খুব সক্রিয়।
Leave a Reply