না’গঞ্জে শুদ্ধি অভিযান এখনই সময়

হাবিবুর রহমান বাদল
প্রায় এক যুগ সময় ধরে ক্ষমতায় আসীন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি এবং বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে উঠা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। দীর্ঘ সময়কাল ক্ষমতায় থাকাকালে ব্যাপক ভাবে দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে আস্থা অর্জনে যেমন সক্ষম হয়েছে দলটি। তেমনি ভাবে দলের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে নারায়ণগঞ্জের অনেকে দলের পদ পদবী ব্যবহার করে এবং দলে অনুপ্রবেশ করে অনেকেই বিভিন্ন ধান্দা করে ইতিমধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। ফলে দল যেমন এইসব পদ পদবী ব্যবহারকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে দলের ইমেজ অনেকটাই ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করি। অথচ দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ও দলের দুঃসময়ে রাজপথে থেকে হামলা-মামলা নির্যাতন সহ্য করে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যে সকল নেতা-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছেন তারা আজকে অনেকটাই ঊপেক্ষিত! গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদে দলের ত্যাগী কর্মীরা অনেকটাই হতাশ। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তৎকালীন সরকারের পুলিশ এবং বিএনপি জামায়াত শিবির ক্যাডারদের হাতে লাঞ্চিত হন যুব মহিলালীগ নেত্রী নারায়ণগঞ্জের আয়েশা আক্তার। ঐ ঘটনার পরের দিনই দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন গনমাধ্যমে যুব মহিলালীগ নেত্রী আয়েশা আক্তারের শ্লীলতাহানির ছবিটি ফলাওভাবে প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী তৎকালীন সরকারের ভাবমূতি ক্ষুন্ন হয়। অথচ সেই নির্যাতিতা যুব মহিলালীগ নেত্রী আয়েশা আক্তার নারায়ণগঞ্জে দীর্ঘদীন ধরে মানবেতর দিননিপাত করছিল। কিডনি রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থেকে মৃত্যুর প্রহর গুনছে আয়েশা। তবে, আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা হিসেবে গুরুত্ব বহনকারী শিল্পাঞ্চল এলাকা হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত নারায়ণগঞ্জে একজনমন্ত্রী ও ৫জন এমপি এবং দেশের প্রথম মহিলা মেয়র থাকলেও কেউই খবর রাখেনি এই ত্যাগী নেত্রীর। অথচ, জেলার জনপ্রতিনিধিরা দলীয় কর্মসূচী পালনকালে ত্যাগী নেতা কর্মীদের স্বার্থের গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে বক্তৃতা প্রদান করে থাকেন। অথচ বাস্তবে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। এর প্রমান মিলেছে দীর্ঘদীন ধরে দলের নিবেদিত প্রাণ এবং বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নির্যাতিতা যুব মহিলালীগ নেত্রী আয়েশা আক্তার জেলার ফতুল্লার চাঁদমারী এলাকায় বাবাসের মাধ্যমে মানবেতর জীবন যাপন করলেও খবর নেয়নি নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রতিনিধিরা। দুঃখ হয় অতীতের সেই স্মরণীয় ঘটনাগুলো যখনই চোঁখের সামনে ভেসে উঠে। তৎকালীন সময়ে পুলিশ ও বিএনপি-জামায়াত শিবির ক্যাডারদের হাতে দফায়-দফায় হামলার পরেও দলের অস্তিত্ব রক্ষার্থে গুরুত্ব বহনকারী যুব মহিলালীগ নেত্রী আয়েশা আক্তারের মতো লাখো নির্যাতনকারী নেতৃবৃন্দ আজও অবমূল্যায়িত। বঙ্গকন্যা আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের শক্তির দল প্রায় এক যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়েও সেই ত্যাগী নেতাদের খোঁজ আজও আর কেউ রাখেনি। অথচ দল এখন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় অন্যদল থেকে আশা অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছে খোঁজ মেজাজে। বর্তমানে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে বারংবারই দলের বদনাম করে যাচ্ছে যারা। আর এ সকল অনুপ্রবেশকারীরা দলের কতিপয় সিনিয়র নেতাদের ছত্রছায়ায় এমন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ একটানা ৩বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের মত নারায়নগঞ্জেও দলের পদ পদবী দখল করে এক শ্রেণীর নেতা যেমন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন, তেমনই বিভিন্ন অপকর্মকে জায়েজ করার জন্য অন্যদল থেকে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনে যোগদানের হিড়িক পড়ে গেছে। এরা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে দলকেই শুধু বদনাম করছে না, একই সাথে সরকারকে বিতর্কিত করছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতারাও একাধিকবার বলে চলেছেন, দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানের কথা। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের তাগিদ দেয়া সত্বেও অনুপ্রবেশকারীদের রয়েছে দুর্দান্ত দাপট। বরং দলে অনুপ্রবেশকারীদের দাপটে মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা এখনও রয়েছে কোনঠাসা। নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠন এবং জামাত থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে পদপদবি বাগিয়ে নিয়েছেন অনেকে। এমনকি আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের হটিয়ে কেউ কেউ জনপ্রতিনিধিও হয়েছেন। বিএনপি ও জামাত থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া নারায়ণঞ্জ জেলার নেতাকর্মীদের ১শ’ ২ জনের এই তালিকায় এমন চিত্র পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৈরি এ তালিকা এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে দেওয়া হয়েছে। এ দুই নেতা ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন। তালিকায় থাকা অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আড়াইহাজারের হাইজাদী বিএনপির সভাপতি মোতালেব হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কালাপাহাড়িয়া বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ডালিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। মামলার আসামি হওয়ার পর এ অঞ্চলে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন সাতগ্রাম বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পনির মেম্বার, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল মেম্বার, ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রিপন মেম্বার, খাগকান্দা যুবদলের সভাপতি আল আমিন, ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য এ কে খান ও কালাপাহাড়িয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুকু মেম্বার। দলে যোগ দেওয়ার পর অনেকে আওয়ামী লীগের নেতাও হয়েছেন। আড়াইহাজার যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন খান খোকা হয়েছেন ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ব্রাহ্মন্দী যুবদলের সহ-সভাপতি ময়নুল মেম্বার হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। ব্রাহ্মন্দী যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল্লাহ হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ অহিদ হয়েছেন ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন যুবদলের আয়নুর হক হয়েছেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। খাগকান্দা বিএনপির সভাপতি মফিজুল ইসলাম হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। খাগকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির মোজাম্মেল হক তোতা হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। দুপ্তারা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। দুপ্তারা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ সুজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সাতগ্রাম যুবদলের সদস্য আবু বক্কর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন জেলা যুবদলের সহসভাপতি রুহুল আমিন মোল্লা। সিদ্ধিরগঞ্জের স্থানীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আশিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রতন মোল্লা, নাসিক নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরর ইসরাফিল প্রধান, আড়াইহাজার বিএনপির সাবেক সভাপতি সামসুল হক মোল্লা, সহসভাপতি মাইনুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সদস্য সাফি মেম্বার, নাছির মাস্টার, জাকির হোসেন, সুফিয়ান সিকদার, থানা ছাত্রদলের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বুলবুল, সহসভাপতি হারুন অর রশিদ, থানা যুবদলের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মন্দী যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ হাবিবুর রহমান, সাতগ্রাম বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ সজল, সাধারণ সম্পাদক তাজুল মেম্বার, যুগ্ম সম্পাদক মিলন, জাকির হোসেন, সদস্য মোহাম্মদ রাজু, উচিৎপুরা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, গোপালদী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি তানভীর আহম্মেদ, পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার কাসু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মেম্বার, খাগকান্দা বিএনপির সভাপতি করিম প্রধান। রূপগঞ্জ বিএনপির সাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া, মোহাম্মদ রফিক, আসাদ ভূঁইয়া, মোহাম্মদ রতন, কবির হোসেন, মোহাম্মদ মামুন, আবদুর রশিদ, মোহাম্মদ সুমন, শুক্কুর আলী ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ওয়াদুদ, এ টি এম রেজাউল করিম, মোহাম্মদ নজরুল, এ টি এম জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, নুরুজ্জামান খান, মোহাম্মদ রানু, আবদুর রাজাক সিকদার, মোহাম্মদ আরিফ, সফি উদ্দিন, মোহাম্মদ জাকারিয়া, মিঠু মিয়া, মোহাম্মদ মোস্তফা, ফটিক মিয়া, মোহাম্মদ রুবেল, আফজাল হোসেন, মোহাম্মদ মানিক, আবুল ফজল, মোহাম্মদ ইসমাইল, জাকির হোসেন, মোহাম্মদ হামিদ, সিরাজুল্লাহ, মোহাম্মদ সিরাজুল, ফয়েজ মাস্টার, মোহাম্মদ শামীম, আবদুর রহমান, জামাল উদ্দিন, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান পারভেজ, মতিউর রহমান, আবুল বাশার, আমির হোসেন মোল্লা, প্রদীপ কুমার দাস ও বিজয় কুমাার দাস। এ ছাড়া রূপগঞ্জ জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদ ইসমাইল, আরমান শিকদার, মোহাম্মদ আজহার, আল আমিন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ ইয়াকুব, মহিউদ্দিন রুমী, মোহাম্মদ শাহীন, মহিবুর কমিশনার, মোহাম্মদ বিল্লাল, আবদুল মালেক, মোহাম্মদ ভুট্রো, জাহাঙ্গীর মোল্লা এবং মোহাম্মদ শামীম আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নেতা বনেছেন। ফতুল্লায় হাইব্রীড নেতাদের তালিকায় যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে বিএনপির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত ফতুল্লা পোষ্ট অফিস রোড এলাকার রফিকুল ইসলাম টিপু ওরফে বরিশাইল্যা টিপু, ফতুল্লার পঞ্চবটি চাঁদনী হাউজিং এলাকার এক সময়কার ভূইফোড় সংগঠনের নেতা পুলিশ সোর্স হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ, রামারবাগ এলাকার মোস্তফা কামাল ও আবদুর রাজ্জাক, লালখাঁ এলাকার তৈয়বুর রহমান ওরফে বরিশাইল্যা তৈয়ব, কোতালেরবাগ এলাকার আলাউদ্দিন হাজীর পুত্র আক্তার ও সুমন, দাপা শৈলকুড়া এলাকার জামাত নেতা জলিল মাদবর অন্যতম। বিগত নির্বাচনের আগের এসব নব্যরা ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তবে জামাত নেতা জলিল মাদবর জামাতের সাথে সম্পৃক্ততার কথা আওয়ামীলীগের অনেক নেতা জানলেও এখনও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তবে ওই তালিকায় নাম নেই ফতুল্লায় অনুপ্রবেশকারী এমন কয়েক জন। ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড করছে মীর হোসেন মীরু। তাছাড়া দলের পদ পদবী ব্যবহার করে কিংবা ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার জন্য যারা জামাত শিবির ও বিএনপির সাথেও আতাঁত করতে কুণ্ঠাবোধ করেন না তাদের বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা উচিৎ বলে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা মনে করেন। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতারাও ক্ষমতাসীন দলকে রাহুমুক্ত করতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কারনা করে একাধিক বার বক্তব্য দেয়ার পরও রাজধানীর লাগোয়া এই ধনী শহরে এখনো দলে শুদ্ধি অভিযান শুরু না হওয়ায় সাধারণ নেতাকর্মীরা হতাশ।
Leave a Reply