না’গঞ্জ জাপায় বিভক্তি শুরু

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির ও জেলা জাতীয়পার্টির মধ্যে বিভক্তি শুরু হয়েছে। জেলা জাতীয়পার্টর আহবায়ক সানাউল্লাহ সানুর এক বক্তব্যে ফুঁসে উঠছে নেতাকর্মীরা। মহানগর আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী’র বিরুদ্ধে জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু গণমাধ্যমে যে মতামত দিয়েছেন তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নেতাকর্মীরা বলেন সানুর বক্তব্য সঠিক নয়। গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীই মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক। আর নাসিক ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন সদস্য সচিব। কারণ গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী মহানগরের দায়িত্ব নিয়ে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে আনেক রাজনৈতিক কর্মকান্ড করেছেন। কেন্দ্রীয় সম্মেলনগুলোতেও অংশগ্রহণ করতেন। তৎসময়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ও ছবিগুলোই তার প্রমাণ। তিনি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আটক হওয়ায় সানু’র মিথ্যাচার আচরণ ঠিক হয়নি। গিয়াসউদ্দিন এখনো জাতীয় পার্টির নেতা। তাঁর নিঃশর্ত মূক্তি ও মামলাটি সঠিক তদন্ত করার আহ্বান জানান জাপার নেতৃবৃন্দ। গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে সানাউল্লাহ সানুর বিভ্রান্তিমূলক আপপ্রচারে গিয়াসউদ্দিন এর পক্ষে জেলা, মহানগর ও স্থানীয় জাপা ও অঙ্গসংগঠনের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে র্যালি ও আমিন আবাসিক এলাকাসহ সর্বত্রই রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সূত্রমতে, গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী বন্দর র্যালী আবাসিক এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও বন্দরের বিভিন্ন সংঘঠনের সাথে জড়িত। তিনি বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় ও একরামপুর ইস্পাহানি এলাকায় দু’টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার আরো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বন্দরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রাতষ্ঠান বি.এম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অতি অল্পসময়ে আর্ন্তজাতিক সংগঠন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এর মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রোটারিতে জায়গা করে সুনাম অর্জন করেছেন। তাঁর এই অর্জনকে মেনে নিতে পারছেনা আনেকেই। তাঁকে আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতি করার জন্য জেলা জাপার আহ্বায়ক সানু বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার করেছে। বিগত সময়ে দীর্ঘদিন একসাথে চলাফেরা করা রাজপথের সহযোদ্ধা ও অর্থসহ বিভিন্নভাবে ব্যাপক সহায়তা নিয়েও গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীকে অস্বীকার করেছেন সানু। সম্প্রতি রাজাকার পুত্র শহিদ রেজার সাথে মিমাংসা করার জন্য সানু বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গিয়াসউদ্দিনকে শহরে আটক রাখে। পরে তার ছেলে রিয়াজুদ্দিন চৌধুরীকে ডেকে নেয়। পিতা-পুত্রকে জিম্মি করে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকার চেক ও রিয়াজুদ্দিনের নামে থাকা ২০ শতাংশ জমি জোড় পূর্বক লিখে নেয় রাজাকার পুত্র শহিদ রেজা। পরে সানু চিকৎসার জন্য ভারত চলে যান। তৎসময়ে গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করে শহিদ রেজা। গিয়াসউদ্দিন যেমন মহানগর জাপার আহ্বায়ক (কেন্দ্রীয় অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন), ঠিক তেমনি সানু জেলা জাপার আহ্বায়ক (কেন্দ্রীয় অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন)। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির বর্তমান আহ্বায়কদ্বয়ের নিজনিজ কমিটিতে একই অবস্থান। এখানে সানাউল্লাহ সানু মহানগর জাপার আহ্বায়ক জনবান্ধব নেতা গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীকে অস্বীকার করতে পারেনা। গিয়াসউদ্দিন এর মতো নেতাই যেখানে অসহায় সেখানে সাধারণ নেতাকর্মীরাও সানুর কাছে নিরাপদ নয়। তাই জেলা জাপার সভাপতি হিসেবে সানুকে অনুমোদন না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা আরো বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে তার বিচার করবে আদালত। আদালতে দোষি সাব্যস্ত হলে তখন তাকে নিয়ে ভাবা যাবে। এখনও তিনি মহানগর জাপার আহবায়ক। আর সানুর এ বক্তেব্যের কারণে জাপায় বিভিক্তি শুরু হয়েছে।
Leave a Reply