নারায়ণগঞ্জে যুবককে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা

ডান্ডিবার্তা | মে ০৩, ২০২০ ১১:৫৮

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
শহরের দুইনং বাবুরাইল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে নিহত হয়েছেন চঞ্চল নামে এক যুবক। প্রায় দেড়মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউ তে মারা যান সে। নিহত চঞ্চল হোসেন একই এলাকার এলাকার আব্দুর রশিদ বেপারীর ছেলে। নিহতের স্বজনদের দাবী, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় গত ১৪ মার্চ দুই একই এলাকার ধোরাব মিয়ার ছেলে আরব ও তার দুই ভাই মিলে ইট দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দিয়েছিল চঞ্চলের। এ ঘটনায় চঞ্চলের ভাই মনির হোসেন ১৪ই মার্চ বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আরবকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা করেন। মামলায় অন্য আসামীরা হলেন আরবের দুই ভাই মিরাজ হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৮ থেকে ৯ জনকে আসামী করা হয়। নিহতের ভাই মনির হোসেন চঞ্চলের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, গত ১৪ মার্চ দুপুরের দিকে আরব তার ভাই মিরাজ ও আনোয়ার হোসেনসহ আর কয়েকজন মিলে আমার ভাইকে মারধর করে। তারা চঞ্চলের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। এরপর তাকে প্রথমে খানপুর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ১ মে দুপুরের দিকে সে মারা যায়। তিনি আরও বলেন, আরব একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এছাড়াও সে পুলিশের সোর্সের কাজ করে। যার কারণে সে মাদকের ব্যবসা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করত না কখনো। চঞ্চল তার মাদকের ব্যবসায় বাধা দিয়েছিল। এই জের ধরেই তারা চঞ্চলকে মারধর করে। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাফিউল আলম বলেন, মামলা দায়েরের পর আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করেছিলাম। সে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। এরমধ্যে করোনার ঝামেলা চলে আসায় অন্যান্যদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য হাসপাতালে চঞ্চলকে আমি নিজে যেয়ে দুই তিনবার দেখে এসেছিলাম। এছাড়া নিয়মিত মামলার বাদী মনির হোসেনের সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছে। চঞ্চল মারা যাওয়ায় মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। দ্রুততার সাথে আসামীদের গ্রেফতার করতে পারবো বলে আশা করছি।