নাসিক নির্বাচনে তৈমূর-আইভীকে নিয়ে নানা সমিকরণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার। দু’জনই নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তাদের দু’জনকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তারা বলছেন, সেলিনা হায়াৎ আইভীকে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ দেখছেন। উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি প্রতিবাদী চরিত্রের কারণে ভোটারদের মাঝে আলাদা অবস্থান রয়েছে তার। তৈমুর আলমও পরিচিত মুখ। তবে নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। অর্ধেকেরও বেশি ওয়ার্ড ঘুরে কথা হয়েছে সাধারণ ভোটার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তাদের চাওয়া ও পাওয়ার হিসেব জানিয়েছেন। তাদের মতে, নারায়ণগঞ্জের তিনটি পৌরসভা একত্র হয়ে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যাপক কাজ হয়েছে। রাস্তাঘাট, ড্রেনসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে নগরীতে। তবে আগামীতে তারা শিশু-কিশোরদের জন্য খেলার মাঠ, বিনোদনের জন্য পার্কের দাবি জানিয়েছেন। নাগরিক সুবিধা আরও সহজতর করারও দাবি এলাকাবাসী। একই সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়েও মত দিয়েছেন ভোটাররা। নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি এলাকায় কথা হয় ট্রাকচালক আবুল হোসেন, দিনমজুর মামুনুর রশিদ ও ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফের সাথে। তারা তিনজনই স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছিলেন। তাদের মতে, এই শহরের মানুষ প্রতিবাদী কন্ঠস্বর পছন্দ করেন। সেদিক থেকে আইভীর অবস্থান ভালো। তবে তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনের এক মাস পূর্বেও কোনো সাড়াশব্দ করেননি। তার অবস্থান সাধারণ ভোটারদের কাছেও পরিষ্কার না। আবুল হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষ কারও কাছে টাকা চায় না, চায় শান্তি। আইভী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ। এলাকায় কাজও করছেন অনেক। তৈমুর আলমও ভালো লোক। তবে তারে তো গত ৫ বছরে কেউ এলাকায় দেখে নাই। হয়তো কোনো কাজে আসছেন আবার কাজ শেষে চলে গেছেন। সাধারণের সাথে তার যোগাযোগ দেখেননি তারা। মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ভোটের মাঠে আইভীই সবার মুখে। আর কেউরে তো দেখতেছি না। শুনি, তৈমুর সাবরে শামীম ওসমান দাঁড় করাইছেন। এইটা নিয়া নানান জায়গায় কথা হয়। তয় অতো হিসাব জানি না। নিজের ভোটটা ঠিক মতো দিতে পারলেই হইলো।’ নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার এনায়েতুল আমিন। পেশায় তিনি একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী। তিনি বলেন, আলাদা দুই রাজনৈতিক দল হিসেবে দুইজনই ভাগাভাগি করে ভোট পাবে। কিন্তু আইভীর পক্ষে নীরব ভোট কাজ করবে। এলাকার মানুষ তারে ভালো জানে। কাজ তো আর কম করে নাই। তারচেয়ে বড় কথা, সে কারোরটা ছিনিয়ে নেয় নাই। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তরুণ ভোটার মিঠু চন্দ্র দাস। গতবার এলাকায় না থাকায় ভোট দিতে পারেননি তিনি। এইবারই প্রথম ভোট দেবেন তিনি। মিঠু বলেন, যেই নির্বাচিত হোন না কেন যুবসমাজের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। নৌকা বা হাতি ফ্যাক্টর না, তাকেই মানুষ ভোট দেবে যিনি কাজ করেন এবং যিনি জনসম্পৃক্ত ছিলেন।
Leave a Reply