ফুরফুরা মেজাজে লাঙ্গল ও সতন্ত্র প্রার্থীরা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরের ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের অধিকাংশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে এমনটাই আশঙ্কা করছেন। তারা গতকাল মঙ্গলবার বন্দর উপজেলায় নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় ডিসি এসপির কাছে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন। এছাড়া একাধিক মেম্বার প্রার্থী নির্বাচনী সহিংসতার কথাও তুলে ধরেন। এদিকে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য সকল শক্তি প্রয়োগ করার অঙ্গিকার করেছেন ডিসি, এসপি। এছাড়া সতন্ত্র প্রার্থীও নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেন। তবে নৌকার প্রার্থীরা চাপের মধ্যে রয়েছে এমনটাই পরিলক্ষিত হয়েছে। বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নৌকার প্রার্থীদের চেয়ে লাঙ্গল আর সতন্ত্র প্রার্থীদের জোয়ার বইছে। তবে ধামগড় ইউপির চিত্র ভিন্ন। সেখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জয়জয়কার বইছে। আর মুছাপুর, বন্দর ইউনিয়নে লঙ্গলের জোয়ার জোরেসোরে বইছে। এ দুই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের কোন অবস্থানই নেই। তাই এ দুই ইউনিয়নের প্রার্থীরা আতঙ্কে রয়েছেন। তারা দলীয় প্রভাব বিস্তারেও ব্যর্থ হয়েছেন। এদিকে কলাগাছিয়া ও মদনপুরে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন ভোটাররা। এ দুই ইউনিয়নের প্রার্থীরা প্রভাবশালী হওয়ায় দুই পক্ষই শক্তি প্রয়োগ করতে পারে এমনটা আশঙ্কা ভোটারদের মাঝে বিরাজ করছে। ভোটারদের দাবি যদি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা হেরে যাবে। তাদের অবস্থান ভোটারদের কাছে ভাল নয়। ভোটাররা বলেন, মদনপুর ইউনিয়নের পশ্চিমাংশে ভোট প্রায় সাড়ে ৮ হাজার আর পূর্বাংশে ভোট সাড়ে ৬ হাজার। আঞ্চলিকতায়ও নৌকার প্রার্থী এম এ সালাম ২ হাজার ভোটে পিছিয়ে আছেন। ভোটাররা চান তারা প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে বিজিবি মোতায়েন জরুরী। কলাগাছিয়ার লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী গতকাল মঙ্গলবার ডিসির কাছে মতবিনিময় সভায় ভোট কেন্দ্র বিজিবি মোতায়েনের দাবি করেন। তিনিও নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চান। এদিকে নৌকার প্রার্থী কাজিম উদ্দিন বরাবরই লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী দেলোয়ারের বদনামসহ অভিযোগ করে বেড়ান। তিনি দলীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন বলেও একাধিক সূত্রে জানা গেছে। গতকাল প্রার্থীদের নির্বাচনী মতবিনিময় সভা শেষে উপজেলা চত্বর থেকে বেরিয়ে বাইরে বের হলে দেশ টিভির এক সাংবাদিকের কাছে তার প্রতিক্রীয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর বিষোদগারই করেন। মুছাপুরে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মাকসুদ হোসেন ও বন্দর ইউনিয়নের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এহসান উদ্দিন ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। কারণ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকার প্রার্থীরা শক্ত প্রার্থী নয়। তাদের বিপরিতে যে দুইজনকে নৌকা দেয়া হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এ সকল এলাকায় আওয়ামীলীগের তেমন অবস্থান নেই। দল যেন দায়সারা ভাবে দুই প্রার্থী মনোনিত করেছেন। কোন প্রকার অলৌকিক ঘটনা না ঘটলে এ দুই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর পাত্তাই থাকবে না। মুছাপুরে মজিবর ও বন্দরে মোক্তার তারা দুই জনেই নির্বাচনের জন্য একেবারেই নতুৃন মুখ। সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বন্দরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর চরম ভরাডুবি হবে এটা ভোটারদের দাবি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জাপা নেতা বলেন, বর্তমানে দেশের যে অবস্থা এখন নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নৌকা ও লাঙ্গলের চরম ভরাডুবি হবে। কারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মানুষ চায় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন। বর্তমানে মাঠ জরীপে দেখা যায়, ধামগড়ে মাসম নৌকা প্রতীক, মুছাপুরে মাকসুদ লাঙ্গল প্রতীক, বন্দরে এহসান উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীকে সুবিধা অবস্থা রয়েছেন। কলাগাছিয়ায় দেলোয়ার প্রধান শতভাগ আশাবাদি জয়ের আর মদনপুরে শেখ রুহুল সতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ সালামকে চ্যালেঞ্জ করেই নির্বাচনে রয়েছেন। আগামী ১১ নভেম্বরে কার গলায় জয়ের মালা এটা দেখার সময় এখন।
Leave a Reply