বিএনপির বিরোধ মিটাবে কে?
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিরোধ, বিভাজনে ব্যস্ত সময় পার করছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা। জেলা কমিটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে নেতৃত্ব, আধিপত্য আর কমিটিতে স্থান না পাওয়া এবং যথাযথ মূল্যান না হওয়া নিয়ে। এই বিরোধ সংঘাত, সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে রাজপথে সংঘর্ষে জড়িয়ে রাজপথ রক্তে রঞ্জত করেছে। কিন্তু, বিরোধ মিটানের উদ্যোগ কেউ নেয়নি। উল্টো বিরোধের আগুনে ঘি ঢালছেন অনেক নেতা এমন অভিযোগ বিএনপির একাধিক সূত্রের। এই বিরোধের প্রভাব দলীয় কর্মকান্ডে পরতে শুরু করেছে। জেলা বিএনপির আহবানে দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নারায়ণগঞ্জে আসলেও সেসব নেতারাও দলীয় বিরোধ মিটানোর কোন উদ্যোগ নেয়নি। এ নিয়েও দলের তৃনমূলে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জেলা বিএনপির বিরোধ যখন তুঙ্গ, ঠিক তখনই ঘোষণা করা হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি। এই কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে বিরোধের নতুন মাত্রা যোগ হয়। নানা অভিযোগে অস্থির হয়ে উঠেছে মহানগর বিএনপির নেতারা। ইতোমধ্যে কমিটি থেকে ১৫জন নেতা পদত্যাগ করে আহবায়ক কমিটিকে পাল্টা চ্যালেজ ছুঁড়ে দিয়েছেন। কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েন মহানগরের নেতারা। তবে নারায়নগঞ্জে বিএনপির বিরোধ মিটানো না হলে আগামী দিনগুলোতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে এর প্রভাব পরবে এমন দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের। বিএনপির রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতা জানান, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে বিভাজন বেড়েই চলেছে। দিনে দিনে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েক দফা সংঘর্ষের কারণে দলের ভেতরে বিভাজন বৃদ্ধি পায়। দলের প্রতিপক্ষের হামলায় দলের একাধিক নেতা রক্তাক্ত হয়েছে। মামলায় গড়িয়েছে এসব ঘটনা। দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক, সদস্য সচিবসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী। এছাড়া বিভিন্ন সভা-সমাবেশে হাতাহাতির ঘটনা নিয়মিত রুটিনে পরিনত হয়েছে। নেতাকর্মীদের অনেককেই কারো কমান্ড মানছে না। অনেক সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই বিরোধে জড়িয়ে পরেছে। ফলে স্থানীয় নেতারা বিব্রতকর অবস্থায় পরছে। সূত্র জানায়, বর্তমানে যারা জেলা বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছে তাঁরা সঠিক নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ। কমিটি গঠন থেকে শুরু নানা কর্মকান্ড নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পরেছে। এছাড়া দলীয় কর্মসূচিতে প্রায় সময়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেছে। সংঘর্ষের কারণে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়। এরপর থেকেই জেলা বিএনপির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঝে। দাবি উঠেছে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ভেঙে দেয়ারও। মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনের পর থেকেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বর্তমান নেতৃত্ব বৃদাঙ্গুলী দিয়েছেন কমিটির ১৫জন নেতা। পদত্যাগ করে নানা সমালোচনায় লিপ্ত হয়েছে। ফলে মহানগর বিএনপির বিরোধ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যদি হস্তক্ষেপ না করলে এই বিরোধ মিটানোর বিকল্প কোন পথ নেই এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল।
Leave a Reply