Home » শেষের পাতা » বাজার মনিটরিংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত

বিদ্যানিকেতনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায়: মতিয়া চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী আলোর সঞ্চার করেছেন মানুষের জীবনে

১৬ মার্চ, ২০২৩ | ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ | ডান্ডিবার্তা | 42 Views

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ১০৩তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল। গতকাল বুধবার বিকালে বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল প্রাঙ্গণে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কাশেম হুমায়ুনের সভাপত্ত্বিতে ও আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, সোনারগাঁ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। সম্মানিত অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ। এ সময় প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের নেত্রী হলেন জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন বাংলার মানুষ যেন ক্ষুধায় অন্ন পায়, পড়নে বস্ত্র পায়। একই সাথে যেন সে শিক্ষার আলোতে আলোকিত হয়। সেজন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অনেক আত্মত্যাগ করে আজকের এই জায়গায় আসতে হয়েছে। তার পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি কাজ করছেন। করোনার ফলে সারা পৃথিবী ঝাঁকি খেয়েছে। কিন্তু এই করোনায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী খাবার ও ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়েছেন। শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান নয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সহযোগীতার কারনে কোন ব্যাপ্তয় ঘটেনি। অন্ধকারে আলো নিয়ে এগিয়ে চলছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আলোর সঞ্চার করেছেন মানুষের জীবনে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, মতিয়া চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যান স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। উনি আমাদেরই একজন। বিদ্যানিকেতন স্কুলে এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোররা পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হচ্ছে। অনেক জায়গায় পড়ার চাপে বাচ্চারা নতজানু। এইক্ষেত্রে বিদ্যানিকেতন একেবারেই ব্যতিক্রম। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদেরও স্মার্ট হতে হবে। শুধুমাত্র পোশাকে স্মার্ট হলেই হবে না। আমাদের মন, মেধা, বুদ্ধি, ভালোবাসা, দেশপ্রেম, লেখাপড়ায় সততা, স্মার্টনেস থাকতে হবে। সততা আমরা ভুলেই গেছি। ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া আমাদের নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। লজ্জা-শরমও আমরা পাই না। খুবই শর্টকাটে আমরা ধনী হতে চাই। এইসব চিন্তা বাদ দিতে হবে। সৎ সঙ্গে থেকে অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই, শেখ হাসিনার উন্নয়নে সহযোগী হতে চাই। সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, আমরা মতিয়া চৌধুরী আপাকে শ্রদ্ধা করি, উনার কথাকে অনুসরণ করি। আমরা উনাকে মানি। আমি সব সময় চেষ্টা করেছি আমার এলাকার সন্তানরা যাতে সব সময় পড়াশোনা করে। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই আমি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল তৈরী করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর কথায় আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তবুও আমরা ২১ বছর জয় বাংলা বলতে পারি নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা হয়েছে। বিদ্যানিকেতন স্কুল তৈরী করার জন্য কাশেম ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি দোয়া করি তার জন্য। সোনার বাংলা গড়ার জন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরামর্শ দেয় তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসা. ইসমত আরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর প্রমুখ।

Comment Heare

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *