মাসদাইরের ঘটনা সাজানো

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, এখন গাছের পাতায় পাতায় আওয়ামী লীগ। সব স্থানে আওয়ামী লীগ ও সরকারী দল। সব সেক্টর আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে আমার, চন্দন, খোকন সাহাদের মনে হয় আমরা বোধহয় বিএনপি জামায়াত করি। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে কিছু কিছু পত্রিকা মানুষের চরিত্র হনন করেছে পয়সার বিনিময়ে। অনেক নেতা চেয়ারম্যানদের চরিত্র হনন করেছে। কুত্তা হাড্ডি চায় এমন কিছু হাড্ডি পাড্ডি পায়। আমি এসব দেখিও না পড়িও না। দেশের বড় বড় পত্রিকা অনেক কিছু করেও আমার কিছু পায়নি। গতকাল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের রাইফেল ক্লাবে সদর, বন্দর ও সোনারগাঁয়ের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, সদ্য অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ অনেক সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচনের আগে আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আমি অনেকের খবর নিতে পারি নাই। এছাড়া আমি নির্বাচনে কোন হস্তক্ষেপও করি নাই। আমরা তো হাইব্রিড রাজনীতিবিদ না। তাই আমরা মাটির গন্ধ বুঝতে পারি। যখন দেশে আসলাম তখন জানতে পারলাম যে আমার ও বন্দর এলাকাতে নির্বাচনী এলাকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। তারা চেয়েছিল কোন লাশ ফেলে বিশৃঙ্খলা করবে। এটা চেয়েছিল তৃতীয় কোন পক্ষ। বিষয়টি আমি সাংবাদিকদের জানিয়েছি। এবং সেটা প্রতিহত করা হয়েছে। এবং আমি খুশী যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই নির্বাচন হয়েছে। তিনি বলেন, আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। আমার ১০ নভেম্বর আমার জন্য শারীরিক সমস্যার জন্য মেডিক্যাল টিম বসেছিল। দেশের সেরা ১১ জন ডাক্তারের মেডিক্যাল টিম আমাকে পিজি হাসপাতালে দেখেছে। অনেক টেস্ট দিয়েছে। কিন্তু রোগ চিহ্নিত করতে পারেনি। আল হামদুলিল্লাহ আল্লাহ মানুষের রোগ দেন পাপ মোছনের জন্য। আমাদের নবীজীরও রোগ দিয়েছিল আল্লাহ। শামীম ওসমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমি এনায়েতনগর ইউনিয়নে আমি ভোট দিতে যাওয়ার সময়ে পুলিশ লাইন এলাকাতে যাওয়ার পরে শুনলাম র্যাব মাসদাইর প্রাথমিক স্কুলে গেছেন। নারায়ণগঞ্জের ছাত্রলীগ অনেক সভ্য। তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রশ্ন কেউ তুলতে পারেন না। কোন ভুল বুঝাবুঝি হোক যেভাবেই হোক সেখানে আওয়ামী লীগের সভাপতি কামালের সামনে একটি ঘটনা সাজানো হয়। আমি সেখানে গিয়ে র্যাবের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পর অফিসাররাও বুঝেছে এটা সাজানো। সেখানে কিছু অনিবন্ধিত পত্রিকার গাড়িও সেখানে দেখেছি। সবকিছু ছিল ফিটফাট। সেখানে ভুল বুঝাবুঝির কারণে ছাত্রলীগ সভাপতির পায়ে ফ্যাকচার হয়ে গেছে। যেখানে যা জানানোর প্রয়োজন সেখানে আমরা জানাবো।
Leave a Reply