Home » প্রথম পাতা » সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়

মিস্টার ওসমানের ব্যখ্যা দিলেন আইভী

২২ নভেম্বর, ২০২১ | ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ | ডান্ডিবার্তা | 261 Views

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট

বন্দরের একটি সভায় সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে ‘মি. ওসমান’ বলে সম্বোধন করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। যা ভাইরাল হয়েছিল নেট দুনিয়ায়। কেন ‘মি. ওসমান’ বলেছেন তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মেয়র আইভী। একটি টকশোতে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আইভী বলেন, ‘উনি আমাদের সদর-বন্দর আসনের এমপি এবং শামীম ওসমান সাহেবের বড় ভাই। সাম্প্রতিক সময়ে উনি (সেলিম ওসমান) বিভিন্ন কথা বলেছিলেন, যা একদমই মিথ্যা। উনি একটি অভিযোগ করেছেন আমি বিকেএমইএ’র জায়গা দখল করেছি, যে কারণে তারা সিটি করপোরেশন ঘেরাও করবে। তারপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উনি আমাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। অনেকগুলো অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি এ কথাটা বলেছি।’ মেয়র বলেন, ‘সেলিম ওসমান বলেছেন বিকেএমইএ’র জায়গা এনসিসি দখল করে আছে। এনসিসি দখল করে নাই এনসিসির নিজস্ব জায়গা ওটা। কিন্তু সাম্প্রতি জানতে পারলাম, উনি যে জায়গাটার জন্যে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে সিটি করপোরেশন ঘেরাও করতে চেষ্টা করলো, সে জায়গাটির জাল দলিল করে কে বা কারা যেন বিক্রি করে দিয়েছে। যারা বিক্রি করেছে এবং যারা ক্রেতা তারা উভয়ই ওই পরিবারের লোক।’ রাজউকের জমি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালে রাজউকের অনেকগুলো জায়গা বিক্রি করার চেষ্টা করা হলো পত্রিকায় টেন্ডারের বিজ্ঞাপন দেয়া হলো। আমরা সেই সময়ে নারায়ণগঞ্জবাসী টেন্ডার যাতে না হয় সে জন্যে আন্দোলন করলাম ওই টেন্ডার স্থগিত হলো। এবং হাইকোর্টের মাধ্যমে মামলা করে স্থগিত করালাম। আমাদের দাবি ছিল, ওই জায়গাগুলোতে পার্ক করা হোক, খেলার মাঠ করা হোক এবং মানুষের কাজে যেগুলো দরকার সেটা করা হোক। পরবর্তীতে এ নিয়ে বহু মন্ত্রণালয়ে আমি লেখালেখি করেছি। তৎকালীন পৌরসভা থাকা অবস্থায় আমরা সে জায়গাগুলো ফেরত পাই নাই। এছাড়াও সিটি করপোরেশন হওয়ার পরও আমি বারবার লেখালেখি করেছি মন্ত্রণালয়ে এবং চেষ্টা করেছি জায়গা ফিরে পেতে। শুধু তাই না ২০০৫ সালে এই জায়াগা ফেরত চেয়ে আমাদের মামলাও হয়েছে কিন্তু দেখেন জায়গাগুলো ফেরত তো দিলোই না উল্টো ২০১৬-১৭ সালে আন্ডার টেবিলে এ জায়গাগুলো বিক্রি করে দিলো। এবং বিক্রি করলো কার কাছে? শামীম ওসমান সাহেবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু খালেদ হায়দার খান কাজলের কাছে একটা প্লট, আরেকটা প্লট বিক্রি করলো শামীম ওসমান সাহেবের ঘনিষ্ঠ নুপুর নামে একজনের কাছে, আরেকটা বিক্রি করা হলো মহিউদ্দিন তোরানের কাছে। এই ৩-৪ জনের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার জায়গা হাত বদল হয়ে গেল তাও মামলা থাকা অবস্থায়। কাজল ৭ কোটি টাকায় কিনেছেন ওই জমি। রাতারাতি সেই জমি ১৪ কোটি টাকায় হাত বদল করে দিয়েছেন। আরেকজন ১৭ কোটি টাকা দিয়ে কিনে ২৭ কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। যেহেতু আমি এ জায়গাগুলো ফেরত চাইছি এখন তারা আমাকেই ভূমিদস্যু বানানোর জন্যে পরিকল্পিতভাবে অভিযোগ করছে।’ তিনি বলেন, ‘আজকে অন্য সব জায়গায় মডেল মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে। শুধুমাত্র এই মিস্টার ওসমানদ্বয়ের মামলার জন্যে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে আছে। উল্টো তারা বলছে আমি এই মসজিদের ৩০ কোটি টাকার জায়গা দখল করে আছি। উনি কীভাবে একটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রজেক্ট বন্ধ করে রাখে? ওনারা কি পরিমাণ প্রভাবশালী এবং কিভাবে প্রশাসন ওনাদের কথা শুনে তা বুঝতেই পারছেন।’ ত্বকী হত্যাকান্ড বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ত্বকী হত্যা নিয়ে ত্বকী মঞ্চের মাধ্যমে আন্দোলন করেছি, এখনো করছি। যতদিন এর বিচার না পাবো প্রতিবাদ করে যাবো। আমরা এই হত্যাকান্ডের জন্যে সরাসরি কিছু লোককে দায়ী করেছি এবং তাদের নামও বলেছি। র‌্যাবের তদন্ত থেকেও বেরিয়ে এসেছে এটার সাথে ওসমান পরিবার জড়িত এবং তারা দায়ী। এর বিচার কেনো হচ্ছে না তা আমি বলতে পারবো না। অনেক স্পর্শকাতর বিষয়ের বিচারগুলোতে একটু দেরি হয়। তবে বিচার হবে না যে তা না। তদন্ত হয়েছে এবং অনেক কিছু প্রমাণিত হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। গ্রেফতারের পর তারা হয়তো জামিনে আছে কিন্তু বিচার কাজ চলছে। এরকম একটি হত্যাকান্ডে আরও দ্রুত বিচার হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু যেকোনো কারণে এটি একটু ধীরগতিতে হচ্ছে। কিন্তু এটার বিচার হবে ইনশাল্লাহ।

Comment Heare

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *