রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তরুনরা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির মোড় ঘুরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তরুনরা চাচ্ছে রাজনীতির হাল ধরতে। দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি একছত্র ভাব বিরাজ করলেও বলয়ের কারণে তা তেমন এগাতে পারেনি। বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন। কেন্দ্রও চাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগকে ঢেলে সাঁজাতে। সেলক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজও চলছে। কিন্তু দুই মেরুর বিরোধের কারণে তা এগিয়ে যেতে পারছেনা। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে দু’টি শক্তিশালী বলয় রয়েছে। যা উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত। কেন্দ্রীয় একটি নির্ভরসূত্র থেকে জানা গেছে এবার নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগকে নবীন প্রবীনের সমন্নয়ে সাঁজানো হবে। কারণ রাজধানীর পাশের জেলা হওয়ায় রাজনৈতিক ভাবে নারায়ণগঞ্জে অবস্থান অনেক গুরুত্বপূর্ন। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ হলো আওয়ামীলীগের জন্মস্থান। এখান থেকেই আওয়ামীলীগের সূত্রপাত ঘটে। আর এই জেলা রাজনৈতিক ভাবে অনেক গুরুত্ব বহন করে। আর সেজন্য নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ একটু গুরুত্বে সাথে বিবেচনা করছে। যেহেতু নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে সেহেতু নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে গঠনের প্রক্রীয়া চলছে। আর এবারের নতুন কমিটিতে গুরুত্তপূর্ন পদ বাগাতে অনেকে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রে। নারায়ণগঞ্জে সহযোগি সংগঠনের অনেক তরুন নেতা রয়েছে যারা এবার মূল দলে প্রবেশের জন্য ইতিমধ্যে দৌঁড়ঝাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তরুনরা কমিটি স্থান পেলে তাহলে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের গতিপথ পাল্টে যাবে এমনটাই আশা করছেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। নারায়ণগঞ্জে তরুনদের মধ্যে এগিয়ে আছেন জিএম আরাফত, আবু সুফিয়ান, জিএম আরমান, শাহ নিজাম, সাজনো, পাপ্পাগাজী, ডা. বিরু, হেলাল, হুমায়ূন মৃধা, সানি, উজ্জল, শারফুল, সায়েম, পলাশ, নিপু, জুয়েল, মহসীন, দিপু প্রমুখ। এদিকে মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বড় বাধা বলয়ভিত্তিক রাজনীতি। যার কারণে অনেকে মন খুলে রাজনীতি করতে পারেন না। আর বলয়ের কারণে মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে তোষামদকারীরা বিভিন্ন সেক্টর দখল করে দলের চরম বদনাম করে চলেছে। আর দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এ সকল অবৈধ সম্পদের মালিকদের চিহিৃত তরে তাদের দল থেকে বাহিস্কার করে নতুন ভাবে ত্যাগী নেতাকর্মীদের সুযোগ দিলে দলের যেমন সুনাম হবে তেমন নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে প্রাণ পাবে। সেলক্ষ্যে তরুণ রাজনীতিবিদের হাতে দলের দায়িত্ব পেলে তাদের উদ্দীপনায় দলের গতি বেগবান হবে। মূল্যায়ন পাবে ত্যাগী ও মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা। কারণ বর্তমান তরুন রাজনীতিবিদরা দীর্ঘ দিন সহযোগি সংগঠনের দায়িত্বে থেকে রাজনীতির অনেক কিছু শিখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন মাঠ পর্যায়ের রাজনীতির স্বাধ ও কৌশল। এ জন্য নবীন প্রবীনের সমন্নয়ে দল গঠিত হলে দলের কর্যক্রম যেমন গতিশীল হবে তেমনই সাধারণ মানুষের কাছে দলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং দলের সুনাম বয়ে আনবে। প্রবীনদের দিক নির্দেশনায় নবীনরা দ্রত এগিয়ে যেতে পারবে। তাই তরুন রাজনীতিবিদরা নতুন কমিটিতে স্থান পেতে ইতিমধ্যে লবিং শুরু করে দিয়েছে। যে কোন সময় কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষণা দিতে পারেন। কেন্দ্র এ লক্ষ্যে অনেকটা এগিয়ে আছেন বলেও সূত্র জানায়। এদিকে রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের ধারণা যদি তরুন নেতারা সুযোগ পায় তা হলে রাজনীতির গতিপথ পাল্টে যাবে।
Leave a Reply