শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা ভোটারদের

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনী ও আশ-পাশের এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার অভিযান চালানোর পক্ষে জোর দাবী জানিয়েছেন নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটাররা, নির্বাচনকে সুস্থ ও সন্ত্রাস মূক্ত করতে বিশেষ করে এলাকায় চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো জরুরী বলে মনে করছেন তারা। ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় অননুমোদিত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, লাইসেন্সধারী বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া এবং ভোটের আগের দিন বহিরাগতরা যাতে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান না করে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে তারা, যদি ও নারায়ণগঞ্জে বেশ কিছু ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে সাধারণ মানুষের প্রতাশ্যা ভোটকে সুস্থ ও গ্রহনযোগ্য করতে নির্বাচনের আগে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রসীদের গ্রেফতার করা। আগামী ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ভোটের লড়াই। তাই শহরে এখন সিটি নির্বাচনের উত্তাপ। মেয়রসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা পুরোদমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। পোস্টারে ছেয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা। তবে তারা কোন দলের তা দেখছেন না নারায়ণগঞ্জের মানুষ। তাদের দৃষ্টিতে ঢাকার খুব কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলের সিটি করপোরেশনের মেয়র যিনি হবেন, তার কাছে নগরবাসীর প্রত্যাশা শুধুই উন্নয়ন, নারায়ণগঞ্জ ঘুরে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এই অভিমত পাওয়া গেছে। এবারের সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী আছেন ছয় জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মো. রাশেল ফেরদৌস। নারায়ণগঞ্জ শহর ঘুরে দেখা যায়, নিম্ন-আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সব পেশাজীবীর মধ্যে সিটি নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক কৌতূহল। প্রার্থীদের প্রচারণা আর পাল্টাপাল্টি বক্তব্য আগ্রহ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন সাধারণ মানুষ। তবে ভোট দিয়েই নিজ নগরের ভাগ্য নির্ধারণ করতে চান তারা। সেই সঙ্গে আছে দীর্ঘদিনের দাবি নারায়ণগঞ্জের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পরিছন্ন নগরী। নারায়ণগঞ্জের ২নং রেল গেটে কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে কথা হয়। দিনমজুর রহিম আলীর মতে যিনিই মেয়র নির্বাচিত হোক না কেন, শহরের চেহারা যে পাল্টাতে পারবেন তিনিই আসল কারিগর। চাষাড়ার চা বিক্রেতা আলী আহম্মদ কাওসার জানান, ভোটের মাঠে কোনও কিছু আগে থেকে নির্ধারিত করা যায় না। তবে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত মেয়র শহরটাকে ঠিক করবেন এই প্রত্যাশা আছে, তবে সন্ত্রাসীরা যাতে ভোট কেন্দ্রে বিশৃংখলা করতে না পারে সেই দিকে প্রশাসনকে আগে থেকেই সজাগ দৃস্টি রাখতে হবে। মদনগঞ্জ ইসলামপুরের রফিকুল ইসলাম জানান, এখানকার মানুষ দুই পাড়ের মাঝে একটা সেতু চেয়েছিল যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে শীতলক্ষ্যার দুই পাড়ের মানুষ যাতায়াত করতে পারে সেটি নির্মান প্রায়ই শেষ পর্যায়ে রয়েছে, এছাড়া আমাদের নদীর পাড় ঘেঁষে কয়লাঘাট থেকে কাচপুর সেতু পর্যন্ত একটি রাস্তা প্রয়োজন এটা আমাদের বন্দর বাসীর দাবি, আর তাহলেই ব্যবসাবান্ধব একটি নারায়ণগঞ্জ গড়ে তোলা সহজ হবে ও দুই পারের যোগাযোগ সহজ হবে। একই এলাকার হারুনুর রশীদ জানান, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় সেই কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের উচিত এখনই সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রোবাজদের গেফতার করা। একজন গার্মেন্টস কর্মী খালেদা আক্তার জানান, নারী ও শিশুবান্ধব নগরী ও নারীদের নিরাপত্তার দিকে জোর দেওয়ার দাবি জানান তিনি, তার কথায়, ‘নারী হিসেবে আমি চাই শহরের নিরাপত্তা বাড়ুক। আমাদের এখানে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা অনেক। নারীরা নিরাপদে কাজে গিয়ে দিন শেষে বাসায় ফিরে আসুক, এটাই একজন নারী হিসেবে আমার চাওয়া। তাই যিনি মেয়র হবেন তার কাছে প্রত্যাশা, তিনি যেন নারীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেন।
Leave a Reply