শেখ রুহুল আমিনকে শ্রমীকলীগ থেকে বহিষ্কার

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী গাজী এম এ সালাম এর বিরোধিতা করায় বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ রুহুল আমিনকে মদনপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ৯ টার দিকে মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গাজী এম এ সালাম এর নির্বাচনী প্রধান ক্যাম্প এ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ রুহুল আমিন এর বহিষ্কার’র ঘোষণা দেন। এ আদেশের পরেও বিদ্রোহী প্রার্থী তার নির্বাচনী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এসময় জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুঃখী মানুষের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কা দিয়ে। সেখানে একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী কি করে থাকে? আজ এখানে এসে এই পথ সভায় জনগণের দাবী ছিলো আমার কাছে বিদ্রোহ করে নৌকার বিরোধিতা করে কিভাবে আওয়ামী লীগের পদ অক্ষুন্ন থাকে তাকে কেন আওয়ামী লীগ থেকে চিরস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না। তার জবাবে আমি আমার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নেতার সাথে আলোচনা করি তিনি আমাকে এই মাত্র মুঠোফোনে সরাসরি বলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়কে অপেক্ষা করে বিদ্রোহী করবে তার সাথে কোন আপোষ নেই তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী লীগ এর সকল অঙ্গ সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তার স্থায়ী বহিষ্কারের কাগজ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ রুহুল আমিনের সমর্থকরা আজানের সময় সহ ২৪ঘন্টা মাইকে অশ্লীল গান বাজিয়ে এলাকায় শব্দ দূষণ সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় বিঘœ ঘটাচ্ছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ ব্যপারে শেখ রুহুল আমিন বলেন, আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে এমন কথা শুনলেও আমি কোন কাগজ পাইনি। আমার নির্বাচন নৌকার বিরুদ্ধে নয়। আমার নির্বাচন সালামের বিরুদ্ধে। আমি প্রমাণ করে দিব আমি নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনার সুনাম বৃদ্ধি করে তার উন্নয়নের প্রচার চালিয়ে যাব। আমি আওয়ামীলীগে আছি এবং থাকব। আমাকে বহিস্কার করলেও আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসাবে আজীবন থাকব।
Leave a Reply