সিরাজউদ্দৌলা সড়কে হকারদের দাপট

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে কিছু দিন পর পরই হকার উচ্ছেদ অভিযান চালায় সদর থানা পুলিশ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সিরাজউদৌল্লা সড়কে হকার উচ্ছেদে পুলিশের পক্ষে থেকে নীরব ভূমিকা পালন করছে। যার ফলে সিরাজদৌল্লাহ সড়ক পুরোপুরি ভাবে হকারদের দখলে চলে গেছে। হকাররা দাপটের সাথে এ সড়কটি দখল করে জনগণের দুভোর্গ বাড়িয়ে তুলছে। তার মধ্যে সড়কে বন্ধন-উৎসবসহ বিভিন্ন পরিবহনের পার্কিং স্পটে পরিনত হওয়ায় সিরাজউদৌল্লা সড়ক সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পরেছে। প্রায় ৬০ ফুট চওড়া সড়কটির ৪০ ফুটই দখল করে নিয়েছে হকাররা। চলাচলের যে ২০ ফুট রাখা হয়েছে তাতে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা। কিন্তু সিটি করপোরেশন কিংবা সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেই কোন পদক্ষেপ। গতকার শনিবার বিকেলে সরেজমিনে শহরের কালীরবাজার এলাকায় নবাব সিরাজদৌল্লাহ সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটির ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সামনে থেকে ১নং রেল গেট পর্যন্ত দুই পাশেই দখল করে নিয়েছে হকাররা। এর মধ্যে কালীরবাজার অংশেই সব থেকে বেশি। এখানে এক সারিতে ফলের দোকান, এক সারিতে রিকশা, গাড়ি পার্কিং, অন্য পাশে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে রাস্তার বেশির ভাগই দখল করে নিয়েছে। যেটুকু রাস্তা ফাঁকা রয়েছে তা দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। ধীর গতিতে যানবাহন চলচল করতে হচ্ছে। এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ সড়কে দোকান প্রতি প্রতিদিন সর্বনি¤œ ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। যার একাংশ পায় সদর মডেল থানার টহল পুলিশ। এছাড়াও নতুন দোকান বসানোর জন্য এককালীন দোকান প্রতি সর্বনি¤œ ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। ফলে তাদের উচ্ছেদ করলেও পরে আবারও বসে পরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফল বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় কয়েকজন যুবক এসে ৫০/১০০ টাকা করে নিয়ে যায়। এদিকে বঙ্গবন্ধু সড়কের উভয় পাশে হকারদের উচ্ছেদে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান করা হলেও নবাব সিরাজদৌল্লাহ সড়কে অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। কেন করা হয়নি এ বিষয়ে এলাকাবাসীও কিছু বলতে পারেন না। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে সিরাজউদ্দৌলা সড়কের অবৈধ হকার উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করবো।
Leave a Reply