সোনারগাঁ ইউএনও’র বিরুদ্ধে দুদুকে অভিযোগ

ডান্ডিবার্তা | জুন ২৫, ২০২০ ১:৩৪

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালামাল নিলাম প্রক্রিয়ায় লাগামছাড়া অনিয়ম আর দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম হাই চ্যানেলের নাম ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন এক ঠিকাদার। অভিযোগে জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলার চারটি সরকারি প্রাথিমিক বিদ্যালয়ের মালামাল নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সিডিউল ক্রয় করে দরপত্র কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন মোরশেদ। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ^াস পরস্পর যোগমাজশে আর্থিক সুবিধা নিয়ে শহিদুল ইসলাম নামে ব্যক্তির নামে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদুক) দেয়া অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, প্রকাশিত নিলাম বিঞ্জপ্তির শর্তাবলী ও নিয়মাবলী যথাযথ অনুসরণ না করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ^াস সরকারি অর্থ লুটপাটের উদ্দেশ্যে অনৈতিক ও সরকারি স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার “উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র” এবং ‘ভিশন ২০২১ এর সুষ্ঠ ও পরির্পর্ণ বাস্তবায়ন তথা সোনার বাংলঅ বিনির্মাণে’ সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরনে জননিরিাপত্তা বিধান ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় কার্যক্রম চরমভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে এ দরপত্র বাতিল করে নতুন দরপত্র আহ্বানের অনুরোধ জানিয়েছেন মো. মোরশেদ। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করবেন। এরই মধ্যে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন মোরশেদ। অভিযোগের বিষয়ে মো. মোরশেদ বলেন, সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে শহিদুল ইসলামকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়ে। তার কার্যাদেশ বাতিলের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। সোনারগাঁ উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ^াস বলেন, অভিযোগ যে কেউই করতে পারে। সরকারি নিয়ম মেনেই কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।