২১নং ওয়ার্ডে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে ৪ জন

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মহানগর আওয়ামী লীগের ১৯, ২০ ও ২১নং ওয়ার্ডের সম্মেলন। আর এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মহানগর আওয়ামী লীগের ২১নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। দিন যতই যাচ্ছে প্রার্থীদের মধ্যে ততই উৎসাহ উদ্দিপনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ওয়ার্ডে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থীরা স্ব স্ব উদ্যোগে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। ২১নং ওয়ার্ডে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ, একই পদে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মো. ছালাউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে থাকছে বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা ও একই পদে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন কাপড় ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান খোকন। জানা গেছে, মহানগর আ’লীগের ২১নং ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ। তিনি বঙ্গবন্ধু আদর্শ ধারন করে ১৯৮৬ সাল থেকে প্রথম ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন। প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেত্রী নাজমা রহমানের সময় তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সরব থেকে সম্মূখ যোদ্ধা হয়ে কাজ করেছেন। পরে তিনি দীর্ঘ রাজনীতি ও দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে সারথী হয়ে ২০০৫সালে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পান। ছাত্রলীগের সভাপতি হয়ে তিনি মেধাবী ছাত্র নেতাদের সমন্বয়ে সুচারুভাবে দল গুছিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিএনপি জামাত সরকার শাষনামলে তিনি একাধিক হামলা মামলাসহ নির্যাতনের শিকার। শত নির্যাতন ডিঙ্গিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে এগিয়ে যাচ্ছেন। মহানগর আ’লীগের ২১নং ওয়ার্ডে সভাপতি পদে তিনি আসিন হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। একই পদে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন মো. ছালাউদ্দিন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮৬ কিংবা ৮৭’ সালের দিকে তিনি বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সরব ছিলেন। বিএনপি-জামাত শাষনামলে তিনিও নির্যাতিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনিও সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। অপরদিকে মহানগর ২১নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন মনিরুজ্জামান খোকন। মুলত মনিরুজ্জামান খোকনকে নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। সে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বালুচর গ্রামের বাসিন্দা। তার শ্বশুর জামায়াত ইসলামীর রোকন সদস্য নিজাম উদ্দিন শহরের থান কাপড় ব্যবসায়ী। গত ২০জানুয়ারী সরকারের বিরোদ্ধে নাশকতা পরিকল্পনা করায় তার শ্বশুর নিজাম উদ্দিনকে সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। তার পরিবারের অনেক সদস্য বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ভোটার তালিকায় সে বালুচর গ্রামের নাগরিক। কিন্তু বর্তমানে সে ২১নং ওয়ার্ড রুপালী আবাসিক এলাকায় বাড়ি নির্মান করে বসবাস করছে। নারায়ণগঞ্জের এক শীর্ষ এক নেতার সাথে সখ্যতা থাকায় বর্তমানে সে ২১নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। মনিরুজ্জামান খোকন নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ কোন এক নেতাকে ম্যানেজ করে পদবানিজ্য করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন মূল্যে সে সাধারন সম্পাদক হওয়ার জন্য জোর তদবীর চালাচ্ছে বলে একটি সুত্র জানায়। একই পদে প্রতিদ্বন্দী সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনিও দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মসূচিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। বন্দর থানা যুবলীগকে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে উজ্জিবিত করেছেন। বিএনপি জামাত সরকার শাষনামলে অনেক নির্যাতীত হয়েছেন। হামলা মামলা শিকার হয়েছেন।
Leave a Reply