আজ শুক্রবার | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২১ শাবান ১৪৪৬ | দুপুর ১২:০৯
শিরোনাম:
রানার হাতে যে ভাবে মিলে যাদুর চেরাগ    ♦     ডেভিল হান্ট আতঙ্কে আ’লীগ    ♦     ২১’শের রক্তাক্ত পথ ধরেই দেশের জনগণ শৃঙ্খলমুক্ত হয়    ♦     জাতিকে অস্থিরতায় না রেখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন    ♦     বন্দরে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ    ♦     অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতো চুনা কারখানা    ♦     অনন্ত অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের অসন্তুষ এখনো থামেনি    ♦     অর্থের বিনিময়ে তাঁতীলীগ নেতা এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি!    ♦     বন্দরে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা    ♦     বন্দরে হাজী সিরাজ উদ্দিন স্কুলে চুরি চোর সিন্ডিকেটের ৯জন আটক    ♦    

না’গঞ্জে নিজ ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ খুন টাকা ও গহনা লুট

ডান্ডিবার্তা | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে উৎপল রায় নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। গত সোমবার রাতে টানবাজার সাহাপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধারের কথা জানান সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল উদ্দীন। নিহত উৎপল রায় (৬৫) এ এলাকার একটি সাততলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, উৎপল রায় স্ত্রী বিয়োগের পর ওই ফ্ল্যাটে বড় ছেলের সাথে থাকতেন। তার আরেক ছেলে প্রবাসে থাকেন। গতরাতে ছেলে উজ্জ্বল রায় বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ দেখেন। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ কর্মকর্তা জামাল উদ্দীন বলেন, উৎপল রায়ের গলা ধারালো কিছুর মাধ্যমে জখম করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বাসা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে বাড়ির দারোয়ানের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের ধারণা, দারোয়ান এ লুট ও হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারেন। সবদিক বিবেচনায় পুলিশ তদন্ত করছে। নিহতের ছেলে সেভ দ্য চিলড্রেন নামে এনজিও’র একটি প্রকল্প পরিচালক ডা. উজ্জ্বল রায় বলেন, তার বাবা অবসরে যাবার আগে স্থানীয় একটি আটা-ময়দার কারখানায় চাকুরি করতেন। ছেলে প্রতি সকালে তার ঢাকার কর্মস্থলে চলে যান। সারাদিন বাবা বাড়িতে একাই থাকেন। একজন নারী আছেন যিনি গৃহকর্মীর কাজ করেন আর একজন দারোয়ান টুকটাক কাজ করে দেন। বাবা সাধারণত পরিচিত কোনো লোক ছাড়া দরজা খোলেন না। যিনি বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা বাবার পরিচিত হবার সম্ভবনাই বেশি। আর দারোয়ানকে নিয়ে দরজা ভাঙলেও এর পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। ঘরের প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ ও দেড় লাখ টাকাও নেই। জানাগেছে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার গাঙ্গেরকুট গ্রামের মৃত ইন্দ্র ভোষণ রায়ের ছেলে উৎপল রায় তার বড় ছেলে ডাক্তার উজ্জল কুমার রায়কে নিয়ে নগরীর ৫৫/১০ এস এম মালেহা রোড সাহাপাড়া এলাকার টানবাজার শংকর সাহার বাড়ির চারতলা বিল্ডিং এর একটি ফ্লাটে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করেছিলেন। নিহতের দুই ছেলের মধ্যে একজন থাকেন আমেরিকার তিনি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সে দেশে কর্মরত রয়েছে এবং বড় ছেলে ডাক্তার উজ্জল কুমার রায় কে নিয়ে ঐ ফ্লাটে একাই বসবাস করতেন। ডাক্তার উজ্জল কুমার রায় সকালে বাসা থেকে বের হলে রাতে ফিরতেন এর মধ্যে বাসায় কাজের বুয়া এসে গৃহস্থালির কাজ করে যেতেন। প্রতিদিনের মতো রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকার কর্মস্থল থেকে ফিরেন ডাক্তার উজ্জল কুমার রায়। এরপর দীর্ঘক্ষণ বেল বাজান এবং ফ্লাটের দরজা ধাক্কাধাক্কি করারপর ভিতর থেকে কোন সারা শব্দ না পেয়ে পার্শবর্তী ফ্লাটের লোকজন সহ ঐ বাড়ির দাড়োয়ান কে ডেকে এনে দীর্ঘ ক্ষণ চেষ্টারপর দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে খাবার রুমের মেঝেতে রক্তাক্তবস্থায় বাবার মৃতদেহ দেখতেপেয়ে কিং কর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়েন। এরপর সদর মডেল থানার পুলিশ কে ফোন যোগে খবরদেয়া হলে থানার এ এসপি, ওসি সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিআইডির ক্রাইমসিন টিমকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে রাত ২টা৩০ মিনিট পযর্ন্ত লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। সিআইডির ক্রাইমসিন টিম মৃতদেহের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ শেষে রাত ৩ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল থেকে করি ডোম এসে মৃহদেহটি লাশ ঘরে নিয়ে যায়। নিহত উৎপল রায় এর ছেলে ডাক্তার উজ্জল কুমার রায় জানান দরজা ভাঙ্গার আগে দারোয়ানকে কাজের বুয়ার কথা জিঙ্গাসা করা হলে উত্তরে দারোয়ান তাকে জানান বুয়া বিকেলেই চলে গেছেন। এবং দরজা ভাঙা পযর্ন্ত দারোয়ার তাদের সাথে থাকলেও ঘটনারপর থেকে বাড়ির দারোয়ান কে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না অথচ ঐ দারোয়ান পরিবারের সদস‍্যদের নিয়ে নীচ তলায় বসবাস করতেন। নিহত উৎপল রায় এর ছেলে ডাক্তার উজ্জল কুমার রায় আরও জানান তাদের বাসা থেকে প্রায়১৫ভরি স্বর্ণ সহ লক্ষাধিক টাকাও নিয়ে গেছে খুনিরা। এ স্বর্ণগুলো ছিলো তার প্রয়াত মায়ের। দুই ছেলের বউদের জন‍্য তিনি রেখে গিয়েছিলেন। পুলিশ জানান, নিহতের মাথায় বটি দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা সহ গলা শ্বাস নালী কেটে উৎপল রায় কে হত‍্যারপর উল্লেখিত স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে গেছে খুনিরা তবে দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণরপর পরিকল্পিত ভাবে এই হত‍্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে চক্রটি। এই ঘটনারপর নারায়ণগঞ্জে টানবাজারের ঐতিহ্যবাহী সাহাপাড়া এলাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা