
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির একশ্রেণীর সাদা মাটা কর্মীও বিভিন্ন এলাকায় শীর্ষ নেতা বনে গেছেন। আর এরা এমন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, কাউকেই তোয়াক্কা করছে না। অভিযোগ রয়েছে সাংগঠনিক কাজ বাদ দিয়ে অনেক নেতাকর্মী এখন দখলবাজী ও চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তাদের ভাব নমুনা দেখলে মনে হবে, যেনো বিএনপি এখনই ক্ষমতায় বসে গেছে। ঠিক তেমনি একজন নেতা হলেন কাশীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফতুল্লা থানা বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুকুল। তিনি কখনো জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের ছেলে সাদরিলের নাম আবার কখনো জেলা যুবদলের আহŸায়ক সাদেকুর রহমান সাদেকের নাম বিক্রি করে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা অপকর্ম। মানে যখন যেখানে যাকে প্রয়োজন, তার নাম ভাঙ্গিয়েই তিনি স্থানীয়দের সাথে প্রভাব খাটিয়ে চলেছেন। আর তার এসমস্ত কাজে যুক্ত রয়েছেন আরও তিনজন স্বঘোষিত বিএনপি নেতা। এরা হলেন, সানী, তানভীর ও শাহাদাৎ। স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, ৫ আগস্টের আগেও তাকে তেমন কেউ চিনতো না। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও তিনি ছিলেন গণার বাইরে। কারণ, তিনি বিএনপিতে সক্রিয় ছিলেন না। বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী কোন আন্দোলন সংগ্রামেও তার কোন ভ‚মিকা ছিলো না। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর যেন তিনি আলাউদ্দিনের চেড়াগ পেয়ে যান। যে নেতা জীবনে একটাও মিছিল করেনি, সেই নেতা আজ নিজেকে অনেক বড় নেতা হিসেবে জাহির করতে চাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে আরও জানাগেছে, ৫ আগস্টের পর ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান মুকুল এলাকাবাসীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক কোণঠাসা করে রেখেছে। কখনো গিয়াসপুত্র সাদরিল, কখনো যুবদল নেতা সাদেক আবার কখনো যুবদল নেতা রনির নাম বিক্রি করে এলাকায় ইট বালু সিমেন্টের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, দখলবাজী ও চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। আর এসবের প্রতিবাদ করলেও আওয়ামী লীগের দোসর ট্যাগ দিয়ে নিরিহ মানুষকে হয়রানি করছে মুকুল। দিন যতই বাড়ছে ততই বাড়ছে তার নানা অপকর্ম। বর্তমানে তিনি আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এদিকে এসমস্ত বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের বার বার সাবধান দিলেও সেই সমস্ত কথা কানেই নিচ্ছেন না মুকুলরা। তারা এতটাই টাকার নেশারয় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তারেক রহমানের নির্দেশনাকেও অমান্য করছে তারা। তাদেরকে যদি ঠিক এই মহুর্তে থামিয়ে দেয়া না হয়, তাহলে তাদের জন্য দলকে কড়া মাসুল দিতে হবে। এভাবে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে খাই খাই ভাব আর পাল্লা দিয়ে দখলের খেলা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বিএনপিকে। দলটির ব্যাপারে দেশে-বিদেশে মারাত্মক অভিযোগে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে ভাবর্মূতি ক্ষুণœ হচ্ছে। আর্ন্তজাতিক অঙ্গনেও মেসেজ দেয়া হচ্ছে বিএনপি সুশাসন চায় না, লুটতরাজ টিকিয়ে রাখতে ক্ষমতা চায়। তাই এই মুহূর্ত থেকে বিএনপির উচিৎ হবে, দলীয় এসমস্ত অপকর্মকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যদি তারা সেটা না করে, তাহলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে বিএনপিকে। যার থেকে উদ্ধার পাওয়া দলটির পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হয়ে উঠবে। এ বিষয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলেন, যারা নানা অপকর্মের সাথে যুক্ত হয়ে দলের বদনাম করছেন, তারেক রহমানের বদনাম করছেন তাদেরকে এখনই দল থেকে বহিস্কার করা হোক। কারণ, যারা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে তারেক রহমানের নির্দেশনাকেও অবজ্ঞা করতে পারেন, তারা এ স্বার্থের জন্যই দলের অনেক বড় ক্ষতি করতেও দ্বিধাবোধ করবেন না। তাই মুকুলদের মত নেতারা থাকলে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হবে। দলের উপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাবে। যার প্রভাব নির্বাচনেও পড়তে পারে। তাই মুকুলদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯