আজ শনিবার | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২২ শাবান ১৪৪৬ | বিকাল ৪:১৩
শিরোনাম:
রানার হাতে যে ভাবে মিলে যাদুর চেরাগ    ♦     ডেভিল হান্ট আতঙ্কে আ’লীগ    ♦     ২১’শের রক্তাক্ত পথ ধরেই দেশের জনগণ শৃঙ্খলমুক্ত হয়    ♦     জাতিকে অস্থিরতায় না রেখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন    ♦     বন্দরে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ    ♦     অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতো চুনা কারখানা    ♦     অনন্ত অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের অসন্তুষ এখনো থামেনি    ♦     অর্থের বিনিময়ে তাঁতীলীগ নেতা এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি!    ♦     বন্দরে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা    ♦     বন্দরে হাজী সিরাজ উদ্দিন স্কুলে চুরি চোর সিন্ডিকেটের ৯জন আটক    ♦    

নেতাদের বির্তকে বিপাকে তৃনমূল

ডান্ডিবার্তা | ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে নিয়ে যেনো বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকান্ডের কারণে তারা খবরের শিরোনাম হচ্ছেন। এ কারণে মহানগর বিএনপির ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিএনপি সম্পর্কে খারাপ মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যেও দ্ব›দ্ব বাড়ছেই। যে দুজন এগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন তাদের বিরুদ্ধেই রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। সর্বশেষ গত ১৩ জানুয়ারি চানমারী এলাকায় সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে মাসুদ নামের এক সাংবাদিককে মারধর করে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই সাংবাদিককে মাদকাসক্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন টিপু। এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক মো. মাসুদুর রহমান তালুকদার ওইদিন সন্ধ্যায় ফতুল্লা থানায় টিপুকে প্রধান আসামি করে দুইজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আর রূপগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে শুনানীকে কেন্দ্র করে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সাথে বিএনপিপন্থি সকল আইনজীবীদের মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। বিএনপিপন্থি প্রায় সকল আইনজীবীরা একপক্ষ থাকলেও শুধুমাত্র সাখাওয়াত হোসেন একাই ওই আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে শুনানী করেছেন। আর এ নিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খানকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে মহানগরের এই দুই নেতাকে অধিকাংশ নেতাকর্মীরাই মানেন না। সেজন্য কিছুদিন পর র‌্যালি চলাকালে কিংবা সামনে দাঁড়ানো নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটছে। তা আবার তাদের উপস্থিতিতেই। তারা ধমক দিয়েও বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এর আগে দীর্ঘ দুই বছর ধরে আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যক্রম। যে কমিটিতে আহবায়ক করা হয় অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে এবং অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গঠিত ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট এই আহবায়ক কমিটির বিরোধীতা করে ছয় দিনের মাথায় ৪ যুগ্ম আহবায়কসহ ১৫ নেতা পদত্যাগ করেন। এর ফলে শুরুতেই এই কমিটিকে বেকায়দায় পড়তে হয়। পরবর্তীতে অর্ন্তকোন্দলের জের ধরে এই কমিটি গত দুই বছরেও সম্মেলন করতে না পেরে ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা আত্মগোপনে চলে যান। তাদের আত্মগোপনে চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতির একক নেতৃত্বে চলে আসেন বিএনপির আইনজীবীরা। এরপর থেকেই নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার বিএনপির রাজনীতির সমীকরণ পরিবর্তন হতে থাকে। সেই সাথে আদালতপাড়ায় অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের বাইরে গিয়ে একটি বলয় গড়ে উঠে। যারা সাখাওয়াত হোসেনের বিপরীতে গিয়ে শুনানীতে অংশ নেন। ফলে সরাসরি একে অপরের প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে আবির্ভাব হয়ে থাকেন। অনেক সময় শুনানী করতে গিয়ে একে অপরকে তিরস্কার কিংবা উচ্চ বাক্য বিনিময়ও হয়ে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার তোপের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মহানগরের অন্তত ৫টি স্থানে বিশৃঙ্খলা ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির র‌্যালিতে যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। গত ২৮ অক্টোবর তারেক রহমানের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বক্তব্য দেওয়া কে কেন্দ্র করে তর্কে জড়াতে দেখা গেছে মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের। বিশেষ করে মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবুল আল ইউসুফ খান টিপু ও মহানগর বিএনপি নেতা রেজা রিপনকে বারবার মেজাজ হারাতে দেখা যায়। বক্তব্য দেওয়া ও মিছিলে সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে তারা একে অপরের উপর চড়াও হয়েছেন। গত ২৭ অক্টোবর বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণকে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। এদিন একদল যুবক মাজহারুল ইসলাম হিরণের উপর হামলা করে। হিরণের সাথে থাকা লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আতাউর রহমান মুকুল ও মদনপুরের সুরুজ মিয়ার অনুসারী কাবিলা ও তার সাথে লোকজন হঠাৎ করেই মাজহারুল ইসলাম হিরণের উপর হামলা করেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে বন্ধন পরিবহনের কয়েক বাস থেকে সিটি বন্ধন এর নাম পরিবর্তন করে শুধু বন্ধন পরিবহন লিখে দেয় তপনের ভাগ্নে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন রানাসহ অনুসারী পরিবহন নেতারা। পরে দুপুর ২টায় জাকির খান অনুসারী মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে বাস কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়। সেখানে আগে থেকেই থাকা রানার অনুসারীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর হামলা হয়। এ ঘটনায় পরদিন তিনি নিজেই বাদী হয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশাসহ ২০৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে টিপুর উপর হামলার ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির বিবদমান দু’টি পক্ষ। সকালে কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার নেতৃত্বে ও বিকেলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে টিপুর মামলা জামিন পান আশা, মুকুলরা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা