
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছেন দীর্ঘ ১৭ বছরের স্বৈরশাসক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে পালিয়েছে সারাদেশের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের এমপি-মন্ত্রীসহ অনেক নেতা। কিন্তু এখনও রয়েছে তাদের সকল অপকর্মের সহযোগি প্রেতাত্মার দল। ফতুল্লা পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় এখনও অনেক আওয়ামী প্রেতাত্মা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে। যাদের মধ্যে অন্যতম নারায়ণগঞ্জের গডফাদার হিসেবে খ্যাত সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের ভুমিদস্যু ও ঝুট সন্ত্রাসের অন্যতম সিপাহসালা নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামের অন্যতম আস্থাভাজন যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান ওরফে বড় মিজান। শামীম ওসমান ও শাহ নিজামগংরা পালিয়ে গেলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী বড় মিজানকে এখনও প্রকাশ্যে কর্ম করার সুযোগ দিচ্ছেন তার জামাতা ইয়াসির আরাফাত। যিনি ছাত্রদলের অন্যতম একজন নেতা এবং বড় মিজানের বড় মেয়ের স্বামী। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রয়াত নেতা মোকলেসুর রহমানের তিন ছেলের মধ্যে বড় হচ্ছে ইয়াসির আরাফাত। জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির একমাত্র বোনের স্বামী ছিলেন মোকলেসুর রহমান। ঝুট সংক্রান্ত বিষয়ে বড় মিজান, গাফফার, খলিল ও মন্টুগংদের হাতে হত্যাকান্ডের শিকার হয় ইয়াসির আরাফাতের পিতা মোকলেস। যা নিয়ে মামলাও হয়েছিলো। কৌশলে মিজানুর রহমান মিজান ওরফে বড় মিজানের বড় মেয়েকে মোকলেসের ছেলে আরাফাতের সাথে বিয়ে দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশও হয়েছিলো যে পিতার হত্যাকারী এখন শশুর। জুলাই-আগষ্টে বৈষম্যবিরোধীর ছাত্র-জনতার উপর মাসদাইর কবরস্থান এলাকায় মিজান-গাফফারগং প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে একাধিক ছাত্রকে আহতের ঘটনার জন্ম দিয়েছিলো সাংসদ শামীম ওসমান ও মিজানের নেতা শাহনিজামের নির্দেশে। দেশীয় অস্ত্রে-সজ্জে সজ্জিত হয়ে জুলাই-আগষ্টে মাঠেই ছিলো মিজান-গাফফারগং। ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী দেশান্তর ও আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু জামাতা বিএনপির অন্যতম সংগঠন ছাত্রদলের নেতা হওয়ার সুবাদে শশুর মিজানসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদেরকে পালাতে হয়নি বরং এখনও পুর্বের ন্যায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা ও কাজ করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে জানান, বিগত প্রায় ১৬ বছরে মাসদাইর বাড়ৈভোগ, বিসিক, চৌধুরী কমপ্লেক্স ও টাগারপাড় এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস থেকে ঝুট নামিয়ে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনেছেন বড় মিজান। মাসদাইর চৌধুরী কমপ্লেক্সর সামনে একটি অফিস নিয়ে পুরো এলাকার ঝুট নিয়ন্ত্রন করতেন এ বড় মিজানগং। আর সে সময়ে তাকে বিভিন্ন অপরাধে সার্বিক সহযোগিতা করতেন ভুমিদস্যুদের নয়নমনি শাহ নিজাম। তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, ১৬ বছর আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে কোটি কোটি মালিক হয়েছেন আর এখনও জামাতা ইয়াসির আরাফাতের ক্ষমতায় সেই আগের মতই রয়েছেন বড় মিজান। ৫ আগষ্টের পর সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা-হামলা ও আহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে আর উক্ত মামলাগুলো হাজার হাজার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেও বিরুদ্ধে মামলা হলেও শুধুমাত্র মেয়ের জামাই বিএনপির রাজনীতি করার কারনে ছাত্র-জনতার উপর প্রকাশ্যে হামলা করলেও মামলা শূন্যভাবেই রয়েছেন শশুর মিজানুর রহমান। কি ভাগ্যবান বড় মিজান। পিতাকে হত্যা করে ছেলের সাথে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ১৬ বছর সাধারন মানুষকে হয়রানী করেও নিরাপদে জীবন-যাপন করছেন। এ যেন “শশুরের রক্ষা কবচ হিসেবে জামাতা”। তারা আরও বলেন, সারা দেশে ডেভিল হান্ট নামক অপরাধীদের গ্রেফতারের যে কর্মসুচি চলছে শুধুমাত্র জামাতা ইয়াসির আরাফতের কারনেই আওয়ামীলীগের ডেভিল বড় মিজানকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করছেনা। বিগত ১৬ বছরে ঝুট সেক্টর নিয়ে যে সংঘষের কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলো বড় মিজানগং তা বলাবাহুল্য। আগষ্টের ৪ ও ৫ তারিখেও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আন্দেলনকারী সাধারন শিক্ষার্থী ও জনতার উপর যে বর্বও হামলা করেছে মিজান-গাফফার বাহিনী তা বলে শেষ করা যাবেনা। অথচ একজন আত্মীয় বিএনপির নেতা হওয়ার সুবাদে বিগত ১৬ বছরের সকল অপরাধ যেন জলের সাথে মিশে গেছে। বিচিত্র এ ঘটনাগুলো শুধুমাত্র আমাদের দেশ তথা সমাজেই সম্ভব বলে অভিমত স্থানীয়দের। বড় মিজানের দূর্দান্ত সাহসে ছোটভাই মিন্টুও ছিলো পশ্চিম মাসদাইর এলাকার মাদক সা¤্রাজ্যের অন্যতম হোতা। মিন্টু নিজে এবং তার বাহিনীর মাধ্যমে মাসদাইর ও আশপাশ এলাকায় ফেন্সিডিলের ব্যবসা করতো বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক স্থানীয় বাসিন্দা। স্থানীয়দের দাবী, বিগত ১৬ বছরের ন্যায় বর্তমানেও প্রকাশ্যে থেকে দেশে অরাজকতা করতে বেশ সোচ্চার রয়েছে বড় মিজান-গাফফারগং বাহিনী। জামাতা ইয়াসির আরাফাতের মদদে প্রকাশ্যে থাকা শাহ নিজামের প্রেতাত্মা বড় মিজান-গাফফার বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবীও জানান তারা। অপারেশন ডেভিল হান্টের কার্যক্রমে আওয়ামী দোসর মিজান-গাফফারগং কোন না কোন বিএনপির আত্মীয় পরিচয়ে তারা প্রকাশ্যে অবস্থান করে অন্যান্য দোসরদের সাথে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে দেশ তথা এলাকায় যে কোন ধরনের নাশকতা শুরু করতে পারে বলে অভিমত আমজনতার। তাই অতিদ্রæত শাহ নিজামের প্রেতাত্মা মিজানুর রহমান মিজান ওরফে বড় মিজানসহ তার বাহিনীর সদস্যদের দ্রæত গ্রেফতারের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শান্তিপ্রিয় সাধারন মানুষ।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯