
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গণ অভ্যুর্থনার তোপের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের সাথে সাথেই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা আত্মগোপনে রয়েছেন। এছাড়াও মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন কর্মীরা। এদিকে, শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ডেভিলহান্ট অভিযান। ডেভিলহান্ট অভিযানে গত কয়েকদিনে নারায়ণগঞ্জে স্বেরাচারী আওয়ামী দোসররাসহ একাধিক তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হয়েছেন। অপরদিকে ডেভিলহান্ট অভিযানের পর থেকে আওয়ামীলীগসহ তাদের সহযোগী সংগঠনের অনেকেই বাড়ীঘর ছেড়ে অর্ন্যত্র আত্মগোপনে রয়েছেন। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দোসররা একচ্ছত্র দাপটে গত সতেরো বছর বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠেই দাঁড়াতে পারেননি। বিচ্ছিন্ন কিছু দলীয় কর্মসূচি ছাড়া ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে সরব ছিল বিএনপি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতাকর্মীকে দেখা যাচ্ছে না রাজনীতির মাঠ দখলে নিয়েছে বিএনপি। শুরুতেই গা-ঢাকা দেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তৃণমূলের অনেকেই এত দিন নিজ নিজ বাড়িতে ছিলেন। এসব কর্মীও এখন মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। যদিও আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীর একাংশ ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে সরব রয়েছেন। স¤প্রতি, আওয়ামী দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সরকার বৈধ দাবি করে বিভিন্ন উষ্কানিমূলক পোষ্টারিংয়ের মাধ্যমে আবারো দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা মুখী ষড়যন্ত্র করার অভিযোত উঠেছে। এমনকি সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও স্বেরাচারী দোসররা শান্ত নারায়ণগঞ্জকে আবারো অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দও এর প্রতিরোধ হিসেবে আওয়ামীলীগের বাড়ীঘরে ব্যাপক তান্ডব চালাচ্ছে। অপরদিকে, সন্ত্রাসী অভিযানের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে ডেভিলহান্ট অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এঅবস্থায় গ্রেপ্তার আতষ্কে আওয়ামী দোসররা আত্মগোপনে রয়ে গেছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানা ও আদালতে ২৭টি মামলা হয়েছে। এ প্রতিটি মামলায় নাম উল্লেখ ছাড়াও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত এসব মামলায় কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পুলিশ তা জানাতে পারেনি। গ্রেপ্তার আতঙ্ক: হত্যা, নাশকতাসহ একাধিক মামলা দায়েরের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীরা আছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কে। হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার বিষয়টি আচ করতে পেরে আগেই দেশ ছেড়ে সেফজোনে চলে যান আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান এবং সেলিম ওসমান, পতনের পর পরই সোনারগাঁয়ের সাংসদ কায়সার হাসনাত এবং নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু শেখ হাসিনার পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। মোবাইল ফোন ও সামাজিক মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাঁজী আত্মগোপনে চলে গেলেও বেশিদিন পালিয়ে থাকতে পারেননি। সাবেক মন্ত্রী গাঁজী রয়েছেন কারাগারে। নারায়নগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারাও লাপাত্তা। যারা এলাকায় অবস্থান করছেন, তারাও ‘অজ্ঞাতপরিচয় আসামি’ আতঙ্কে রয়েছেন। যে কাউকে যে কোনো সময় আটক করে যে কোনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের কর্মীরা। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা ঘরছাড়া। তারা নিজেদের গোপন রাখার চেষ্টা করছেন। তবে পরিবার-পরিজনরা দিনরাত আতঙ্কের মধ্যে থাকছেন। ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপ-জেলা, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করে এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, নিজের ঘরে থাকতে পারছেন না। একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। তিনি কাউকে কোনো দিন একটি খারাপ কথাও বলেননি। এখন তাঁর নামে হত্যা মামলা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা বেশি ভয়ে আছেন। কখন তাদেরও মামলায় জড়ানো হয়। দিন-রাত টেনশনে থাকতে হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হত্যা মামলাগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও স্থানীয় ও জেলার সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে। মামলায় যাদের নাম আছে, তারা জেনে বুঝেই আত্মগোপনে গেছেন। সতর্কভাবে থাকছেন।নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে যারা হামলা করছে, তারা ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগের সঙ্গেই ছিল। এখন দল পাল্টিয়ে নানা অঘটন ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে। ১৭-বছর ধরে নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের নগরীতে পরিনত করেছিল আওয়ামীলীগ নেতৃনৃন্দ ও তার দোসররা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপিসহ সাধারণ মানুষের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়েছে। এখন আবার অপকর্ম করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯