
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
চলমান বিশেষ যৌথ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্ট চললেও নিরাপদে রয়েছেন সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নকে বিগত ১৭ বছরে সন্ত্রাসী কর্মকাÐ থেকে শুরু করে সকল অপকর্মে গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমানের নাম বিক্রি করে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুখ্যাত ছিঁচকে সন্ত্রাস এম. সাইফুল্লাহ বাদলসহ তার ১০‘ ডেভিল’ যাদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো কাশীপুরের পুরো ৯টি ওয়ার্ড। যারা ভূমিদস্যু থেকে শুরু করে বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী থেকে মালামাল নামানো, সরকারি জমিতে কোন প্রকারের লিস ছাড়াই দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, স্কুল-মাদ্রারাসায় বানিজ্যে, বিভিন্ন টেন্ডারবাজি, ডিস ব্যবসা, ড্রেজারের ব্যবসা, মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার, চুরি, ছিনতাই সিন্ডিকেট, ইট-বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, গ্যারেজ ব্যবসা, জোরপূর্বক ভূয়া সংগঠনের নামে রিক্সার পেট ব্যবসা, ভয়ভীতি দেখিয়ে বাক মেইল করে অসহায়দের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ, বাদলের নামে চাঁদাবাজি, অন্যের জমি দখল করে জোরপূর্বকভাবে লিখে নেওয়াসহ ফতুল্লা থানার আওতাধীন বহু জায়গা থেকে বাদলের নামে ভূমিদসূতা ও চাঁদাবাজিতে পটু ছিলেন বাদলের সেই বাহিনীগুলো। সূত্র জানিয়েছে, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলা ও একাধিক মামলা থাকলেও গ্রেফতারের বাহিরে রয়েছেন বিএনপির বহু নেতাকর্মীদের মোটা অংকের টাকা ও ব্যবসার সুবিধা দিয়ে। বাদলের সেই ‘ডেভিল’ দের মধ্যে রয়েছে- কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ূব আলী, সাধারণ সম্পাদক এম. সাত্তার, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম, কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামল, সাইফুল্লাহ বাদলের ছেলে যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান সাজন, বাদলের বোন জামাতা সানাউল্লাহ, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাকাত গেসু (ওরফে গিয়াস উদ্দিন), কাশীপুর ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিএনপি নেতাকর্মীদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদ, তার ভাই ভূমিদস্যু সুমন আহম্মেদ, কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল-আমিন, যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা কাইল্লা শরীফ, ঝুট ব্যবসায়ী হাতেমের ম্যানেজারে বাদলের আরেক সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু হাসান। এরা বিগত দিনে শামীম ওসমানের নাম বিক্রি করে সাইফুল্লাহ বাদলের শেল্টারে কাশীপুরবাসীকে জিম্মি করে বিভিন্ন কায়দায় বহু অপকর্মের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এদিকে গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরে নিজেদের অপকর্মের ভারে জনতার ভয়ে পালিয়ে গেলেও আবারো কাশীপুরের কথিত কিছু বিএনপি নেতাদের শেল্টারে আবারো সাম্রাজ নিয়ে বীরদর্পে ফিরতে শুরু করেছে ফ্যাসিস্টের এই দোসররা। এদিকে বর্তমানে সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের দমনে সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ৮ ফেব্রæয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ অপারেশন যৌথভাবে পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপারেশনে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নষ্ট করতে না পারে সেই জন্য এ অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। ইংরেজি শব্দ ডেভিল অর্থ শয়তান আর হান্ট অর্থ শিকার। ফলে ডেভিল হান্ট-এর অর্থ দাঁড়ায় শয়তান শিকার করা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের বোঝানো হয়েছে। ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নাম বিক্রি করেই সাইফুল্লাহ বাদল ও তার ঘনিষ্ট লোকজন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। লুলা সাইফুল্লাহ বাদলে বছরের পর বছর ধরে কাশীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদ ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ দখলে রেখে বহু অপকর্ম পরিচালণা করে যাচ্ছেন যার মাধ্যমে বনে গেছেন শত শত কোটি টাকার মালিক এরই মাঝে অবৈধ প্রন্থায় তার নিজস্ব গোলায়ালবন্দ এলাকায় ৬ তলা করে ২টি ও ৩ তলা ১টি ভবন অবৈধভাবে নির্মাণ করেন। একই সাথে নামে বেনামে কাশীপুরের বিভিন্নস্থানে বাদল ও তার ছেলে নাজমুল হাসান সাজনের নাম করে দখল করে রেখেছে শতকে শতকে জমি। এদিকে কাশীপুরে বিভিন্ন জায়গায় শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান ওসমানসহ তাদের ঘনিষ্ট ডিস বাবু এমনকি আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাকর্মীদেরকে অন্যের জায়গায় জোরপূর্বক দখল করে বাদল বিকি করে দিতেন। এ ছাড়া ও কাশীপুরে বিভিন্ন বিচার-শালিশের ভাগ, চাঁদাবাজি, ইউনিয়ন পরিষদের নামে দূর্নীতি, স্কুল ও বিভিন্ন মাদ্রাসা, ঈদগাহয়ের দায়িত্ব নিয়ে লুটে নিচ্ছেন বহু অবৈধ অর্থ। কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী একই সাথে কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ূব আলী তিনি সাইফুল্লাহ বাদলের ১ম খলিফা হিসেবে কাজ করতেন।সে বাদলের উছিলায় শামীম ওসমানের নাম বিক্রি করে বন্ধন বাসের ২টি বাস ও চেয়ারম্যানের পদ নিয়ন্ত্রণ নেয়। এমনকি পরিবহন মাফিয়া হিসেবে আধিষ্ঠ হন। বিগত দিনে এই আইয়ূব আলী টানবাজারের পতিতাদের দালাল হিসেবে ও পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তিনি কাশীপুরের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বারের দায়িত্বে রয়েছেন সেই সুবাদে তার এলাকা নাগবাড়িতে জন্ম দিয়েছেন বহু মাদক সম্রাট যাদের তিনি শেল্টার দিয়ে যেতেন। এ ছাড়া বহু প্রন্থায় বাদলেকে ম্যানেজ করে তিনি ও বহু অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছেন। নিজের কোন সন্তান না থাকলে ও অন্যের সাথে পরকিয়া করে সন্তান জন্ম দিয়ে তাকে পালন করছেন এই আইয়ুব আলী। যিনি ছিলেন বাদলের আরেক ইনভেস্টার হিসেবে পরিচিত। কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম. সাত্তার এদিকে অন্যতম ছিলেন বাদলের সকল অপকর্মের আরেক সহযোগী ও অন্যতম ভূমিদস্যু কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ সাত্তার ওরফে (সাত্তার মেম্বার)। যিনি গত ১৬ বছরে বাদলের ছত্রছায়ায় মানুষের রক্ত চুষে বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। নামে বেনামে হয়ে গেছেন ৫টি বাড়ির মালিক, কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স বনে গেছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। নেই কোন ব্যবসা বানিজ্যে শুধু দখল দারিত্ব, বিচারের নামে প্রহসন, খাসের জমি দখল, মাদক ব্যাবসায়ীদের শেল্টারসহ ডজনখানিক অপকর্ম পরিচালনাকারী এম. এ সাত্তার এখনো বিএনপি নেতাকর্মীদের মোটা অংকের টাকার দিয়ে কাশীপুরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে তার ভূমিদস্যুতার হার এতোই উপরে চলে গিয়েছিলো যে তিনি তার আপন ভাইয়ের জমি ও খেয়ে ফেলার পায়তারা করেছিলেন। কিন্তু প্রহশন ও ভূমিদস্যুতায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলে ও ভাড়া বাসায় থেকে নিজেকে অনেকটাই অসহায় বানিয়ে রাখতেন তিনি। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম
২০১৪ সালে ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর মন্ডল বাড়ি এলাকার আব্দুল জলিলকে হত্যা করেও অর্থ ও ক্ষমতার প্রভাবে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন কাশীপুর বংলাবাজার রোড প্রেসিডেন্ট বাড়ি এলাকার মৃত মনসুর প্রেসিডেন্টের পুত্র ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম। এরপরই ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদলের সাথে আতাঁত করে ভূমিদস্যুতা থেকে শুরু করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি কৌশলে মসজিদের জমিও আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তা বিরুদ্ধে। তা ছাড়া জন্মগতভাবে নাম করা পরিবারের সন্তান থাকলে ও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে নাম লিখিয়েছেন ভূমিদস্যুতার খাতায়। তা ছাড়া কাশীপুর ঈদগাহ মহাফেজ কমিটির সভাপতি বনে গিয়ে দুই হাতে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এদিকে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আশরাফুল আলম আত্মগোপনে থাকলেও স্থানীয় বিএনপির নেতাদের সাথে আতাঁত করে ফের এলাকায় ফেরার চেষ্টা করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। ৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় ২৮নং আসামী করা হয়েছে আশরাফুলকে। ৩ সেপ্টেম্বর রাতে নিহত মিনারুলের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামল ও তার ভাই বাদলের বোন জামাতা সানাউল্লাহ বাদলের নাম বিক্রি করে কাশীপুরে এক দৃশ্যমান ভূমিদুস্য হিসেবে ছিলেন আনিসুর রহমান শ্যামল। যার নিয়ন্ত্রণে ছিলো কাশীপুরের চর নরসিংপুরের শত শত শতাংশ জমি। যিনি বাদলের ছায়াতলে থেকে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুরো কাশীপুরে ভূমিদস্যুতার একক আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন যা গত ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা ১৪ বছর লাগাতার করেন। বিভিন্ন মানুষের জমি বিক্রি করে জোর পূর্বকভাবে সেখান থেকে তিনিই মোটা অংকের টাকাসহ বিভিন্ন খাসের জমি দখলে রেখে ভূয়া দলিল বানিয়ে বিক্রি করার নজির রয়েছে এই শ্যামলের বিরুদ্ধে। বাদলের আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে তার শশুড়কে দিয়ে জোরপূর্বক ইট-বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, চোরাই গ্যাস নিয়ন্ত্রণ, খিলমার্কেট বসে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড দিয়ে চাঁদাবাজি, খিলমার্কেট এলাকায় বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি যা বর্তমানে চলমান রয়েছে যুবদল নেতা পরিচয়দান কারী খোপা ইকবালের নিয়ন্ত্রণে। তা ছাড়া শ্যামল জায়গার বিচারের নামে প্রহসন সহ এলাকায় বিভিন্ন বিচারের নামে প্রহসনের রাজনীতি করতেন। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে বহু অপকর্ম করেছেন খিলমার্কেট জুড়ে। একই সাথে তার ভাই সালাউদ্দিন ছিলেন একই সাথে শ্যামলের মতো ভূমিদস্যু যিনি তার মতো খিলমার্কেট অফিস খুলে সেখানে বিভিন্ন্ রিক্সার গ্যারেজে চাঁদাবাজির খড়গ চাপিয়ে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি তার ভাইয়ের নামে এলাকায় অপকর্মসহ বাদলের বোন জামাতা পরিচয় দিয়ে আলাদাভাবে চাঁদাবাজি করতেন এ ছাড়া তাদের থেকে ছাড় পেত না লাইলিং করার গাছের ট্রাক। যা এলাকায় আসলেই তাদের দিতে হতো ২০ হাজার টাকা। কতিথ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের শামীম ও তার বাবা গেসু ভাই সুমন কাশীপুর ইউনিয়নের নরসিংপুর এবং উত্তর নরসিংপুর এলাকায় বহু খালি জায়গা তথা নাল জমি রয়েছে। আর এসব নাল জমির নানা কায়দায় তখল করে নিচ্ছে কাশীপুরের চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ বাদলের পালিত কুখ্যাত ভমি দস্যু বাপ-বেটা তথা উত্তর নরসিংপুরের গিয়াস উদ্দিন এবং দুই ছেলে শামীম ও সুমন। এই বাপ বেটা এখন শত শত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। অথচ এক সময় ভূমিদস্যু গিয়াস ভাত খেতে ভাত পেতো না। ভাতের অভাবে সে চুরি ডাকাতি করে বেড়াতো বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। বিগত দিনে বহু পত্রপত্রিকায় এই গিয়াস উদ্দিনকে “ডাকাত গিয়াস বা ডাকাত গেসু” নামে আখ্যায়িত করে বহু রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই ‘ডাকাত গেসু’ এবং তার ছেলে ভয়ংকর ব্যাক্তি। তারা সরাসরি সাইফ উল্লা বাদলের শেল্টারে রয়েছেন। গিয়াস ও সুমনের ভূমি ব্যবসার পার্টনারও সাইফ উল্লা বাদল। শুধু তাই নয়, গিয়াস উদ্দিন সাইফ উল্লা বাদলকে বগলদাবা করার জন্য তার ছেলে সুমনের বিয়েতে উকিল দেন সাইফ উল্লা বাদলকে। সেই সুবাধে সাইফউল্লাহ বাদল সুমনের উকিল বাবা। মূলত এভাবেই নিজেরদের মাঝে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলে বেপরোয়া ভূমি সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছেন এই চক্র। শামীম ও সমুন এতত্রিত হয়ে বাদলের ছত্রছায়ায় চর নরসিংপুর এবং উত্তর নরসিংপুর এলাকাবাসীকে লুটে-পুটে খেয়ে বর্তমানে দেদারসে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তা ছাড়া বর্তমানে বিএনপি নেতাকর্মীদের মোটা অংকের অর্থ দিয়ে শামীম মেম্বার বনে গেছেন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। বাদলের ছেলে যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান সাজন ও পিএস খ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা রেহান শরীফ বিন্দু কাশীপুরে বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, লুটপাট, জমি দখল, সরকারি জমিতে কোন প্রকারের লিস ছাড়াই দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, স্কুল-মাদ্রারাসায় বানিজ্যে, বিভিন্ন টেন্ডারবাজি, অটো-রিক্সার পেট ব্যাবসা, ঝুট সন্ত্রাসী, ড্রেজার নিয়ন্ত্রণ, হাট নিয়ন্ত্রণ, ইট-বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ যাবতীয় ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন এই সাজন ও পিএস বিন্দু। এ ছাড়া একক আধিপত্যভাবে বিল্ডিং এর টেন্ডার, বাড়ি করলে জোর পূর্বক চাঁদাবাজি, ড্রেজারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ বহু অপকর্মের মাস্টার ছিলেন এরা। বাদলের নাম বিক্রি করে কাশীপুর জুড়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যে তারা করেনি। এ ছাড়া বিন্দু বিভিন্ন জায়গা থেকে বাদলের মোটা অংকের চাঁদা কালেকশন করতো। বাদলের অবৈধ অর্থের আরেক জোগান দাতা ঝুট ব্যবসায়ী হাতেমের ম্যানেজার হাসান বাদলের ছত্রছায়ায় ঝুট ব্যবসায়ী হাতেম ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল্লাহ বাদলের সিন্ডিকেট একত্রিত হয়ে বিসিক সংলগ্ন কাশিপুর ৩নং ওয়ার্ডের ‘মরা খাল’ এন-আর গ্রুপের নামে ভূমিদস্যুতায় গিলে খেয়েছেন খাস জমিসহ অসহায় বহু মানুষের জমি। তা ছাড়া আওয়ামী ক্ষমতার জোর দেখিয়ে জোরপূর্বক ড্রেজার লাগিয়ে ‘মরা খালের’ খাস জমিসহ কবরস্থানের জায়গা, অসহায় মানুষের জায়গা দখলে করেছেন এই র্দুর্ধষ সন্ত্রাসী হাতেমের ম্যানেজার হাসান। এদিকে অসহায় মানুষকে জায়গার বিনিময়ে টাকার প্রোলোভন দেখিয়ে উচ্ছেদ করে অনেকের টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যেখানে দুই জনের মাঝেই অবস্থানে ছিলেন হাসান। এ ছাড়া হাসান নরসিংপুর এলাকায় সাইফুল্লাহ বাদলের নাম বিক্রি অন্যের জমি দখল করে বহু ব্যবসায়ীদের ক্রয় করে দিতেন। যার মাধ্যমে তিনি বাদলকে একটি মোটা অংকের পার্সেন্টিজ দিতেন যাকে ঘিরে বাদল ও বহু অবৈধ কাজ হাসনকে দিয়ে করাতেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া হাসান ছিলেন আজমেরী ওসমানের অন্যতম সহযোগী রকমত এর লোক ও বটে। তিনি বিগত দিনে বাদলের পাশাপাশি এলাকায় আজমেরী ওসমানের নাম বিক্রি করেছেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসী। এমনভাবে বহু অপকর্মের সাথে জড়িয়ে থাকলে ও বর্তমানে কেউ বিএনপি ও কেউ জামায়েত নেতাদের সাথে ভালো পরিচয় ও ছবি দেখিয়ে নিজেদের অপবিত্র চরিত্র-পবিত্র দেখাতে যাচ্ছে। তাদের বিগত দিনের অপকর্মে তারা কাশীপুরের সাধারণ জনগণের কাছে বড় ‘ডেভিল’ হিসেবে আখ্যা পেয়েছিলেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯