আজ শনিবার | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২২ শাবান ১৪৪৬ | বিকাল ৩:০৭
শিরোনাম:
রানার হাতে যে ভাবে মিলে যাদুর চেরাগ    ♦     ডেভিল হান্ট আতঙ্কে আ’লীগ    ♦     ২১’শের রক্তাক্ত পথ ধরেই দেশের জনগণ শৃঙ্খলমুক্ত হয়    ♦     জাতিকে অস্থিরতায় না রেখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন    ♦     বন্দরে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ    ♦     অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতো চুনা কারখানা    ♦     অনন্ত অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের অসন্তুষ এখনো থামেনি    ♦     অর্থের বিনিময়ে তাঁতীলীগ নেতা এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি!    ♦     বন্দরে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা    ♦     বন্দরে হাজী সিরাজ উদ্দিন স্কুলে চুরি চোর সিন্ডিকেটের ৯জন আটক    ♦    

চাষাড়া শহীদ মিনাকে অপবিত্র করছে কারা!

ডান্ডিবার্তা | ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নগরীর প্রবেশ মুখেই অবস্থিত চাষাড়া শহীদ মিনার। দুর দুরান্ত থেকে আগত বিভিন্ন বয়সী ছেলে-মেয়ে-নারী-পুরুষ তাদের স্বজনদের নিয়ে একটু সময় কাটাতে আসেন এখানে। শহীদ মিনারের পাশে থাকা চায়ের দোকানগুলো হরেক রকমের চায়ের স্বাদ নিতে আসাই মুল উদ্দ্যেশ্য। কিন্তু এ শহীদ মিনারের পবিত্রতা যেন দিনের পর দিন নষ্ট হতে চলেছে আর দুর দুরান্ত থেকে আসা সাধারন মানুষের কাছে ছাষাড়া শহীদ মিনারটি যেন এখন বিরক্তের একটি নাম। শহীদ মিনারের ভেতরে দিনের পর দিন যেভাবে দোকানীদের দখলে চলে গেছে সেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে হাটা-চলাফেরা করাটা দুস্কও হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে চাষাড়া শহীদ মিনারে রাতের দৃশ্যে দেখা যায় যে, মিনারের ভেতরের অংশে মনখুলে চলাচলের কিংবা বসারও বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। প্রায় ২৫টি ফুচকার দোন, ২/৩টি খেলনা দোকান,কয়েকটি ফাষ্টফুড ও শরবতের দোকান বসিয়ে মিনারে রক্ষিত জায়গাগুলোকে একেবারেই ছোট করে ফেলেছে। এখানে বাদ যায়নি শহীদের বেদীটিও। সেখানে ২/৩জন মহিলা খুলেছেন ফুলের দোকান। এছাড়াও শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশে বেষ্টনীর বাহিরে যে ফাষ্টফুড ও ফুচকার দোকানগুলো রয়েছে প্রতিটি দোকানীই গড়ে ১০/১২টি করে চেয়ার বসিয়েছেন শহীদ মিনারের ভেতরে। শহীদ মিনারের ভেতরে যে পরিমান জায়গা রয়েছে তা যেন পুরোটাই এখন হকারদের দখলে। সেখানে প্রবেশ করলেও হরেক রকমের দোকান ও চেয়ারের পরিপুর্ন হয়ে যাওয়ার ফলে দুর দুরান্ত থেকে আসা সাধারন মানুষগুলো সেখানে প্রবেশ করতে পারেনা। তাছাড়া শহীদ মিনারে কিশোরগ্যাং এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অনেক সময়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আসা মানুষগুলো বিপাকে পড়েন। ১২/১৬ বয়সী কিশোররা সুন্দর কোন মেয়ে দেখলেই তাদের পিছু নিয়ে ইভটিজ করছে আর প্রতিবাদ করলেই অভিভাবকদের উপর হামলা চালায়। আবার অনেক মক্ষীরানীদেরকেও দেখা যায় শহীদ মিনারে। এখান থেকে কন্ট্রাক শেষে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ারও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। হকারদের দখল, কিশোরগ্যাং এর দৌরাত্ম ও মক্ষীরানীদের আনাগোনা সবমিলিয়ে শহীদ মিনার যেন হকার ও অপরাধীদের দখলে চলে গেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ছাষাড়া শহীদ মিনারটি রক্ষনাবেক্ষনে তেমন কোন উদ্ধ্যোগ না থাকায় এবং অর্থলোভী কতিপয় সিটি কর্পোরেশনের ষ্টাফরা নিয়মিতভাবে টাকা উত্তোলনকেই শহীদ মিনারের এমন অবস্থার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন আগতরা। কারনে এখানে ফুচকাসহ অন্যান্য দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন ১২০ টাকা আদায় করছে তারা। এছাড়া রাজনৈতিক নেতারা তো রয়েছেনই। বন্দরের নবীগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে আসা আবদুল আলী বলেন, বিগত দিনের অবস্থা আর এখনকার অবস্থার মিল নেই শহীদ মিনারে। এখন এখানকার পরিবেশ এতটাই খারাপ হয়েছে যে বসা কিংবা দাড়ানোর কোন অবস্থা নেই। একটু দাড়ালে এক দোকানী বলেন, ভাই একটু দুরে গিয়ে দাঁড়ান। কাষ্টমার আসলে দেখতে পাবোনা। আবার একস্থানে বসলে অপরজন বলেন, ভাই এখানে বইসেন না। আমরা কয়েকটি চেয়ার বসাবো। তিনি বলেন, ভাই শুধু আমি নই দুর দুরান্ত থেকে যারাই বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে আসেন তাদের সকলকেই এ অবস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে বলবো যে, চাষাড়া শহীদ মিনারটি কি দোকানীদের কাছে লিজ দেয়া হয়েছে কিনা। যদি লিজ দেয়া হয়ে থাকে তাহলে তো কথা নেই। কিন্তু তা না হয়ে থাকে তাহলে এদেরকে উচ্ছেদ করতে বাধা কোথায়। তিনি আরও বলেন, বেদীর বা পাশে দেখুন একটি ফাষ্টফুডের দোকান। সেখানে একটি জলজ্যান্ত বোমা রয়েছে (এলপি গ্যাসের বোতল)। আল্লাহ না করুক যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা যারা এসেছি তাদের কি অবস্থা হবে বলুন। বন্দর কুশিয়ারা থেকে পরিবার নিয়ে আসা রকমত বলেন, ভাই এখানে এসে বসার কিংবা দাড়িয়ে থাকার কোন সুযোগই দেখছিনা। শহীদ মিনারের ভেতরে থাকা দোকানীদের ধমক শুনতে হয় দাঁড়াতে। কারন তাদের নাকি ব্যবসায় সমস্যা হয়। আবার এক কোনে দাড়ালেও ঠিকমত দাড়ানো যায়না দোকানীদের চেয়ারের কারনে। দুর থেকে এসে যদি একটু কথা না বলতে পারিনা তাহলে কেনো আসবো এখানে ? তাছাড়া আপনি দেখুন শহীদ মিনার লাগোয়া প্রতিটি ফাষ্টফুডের দোকানেই ২/১টি করে এলপি গ্যাসের বোথল রয়েছে। অসাবধানতার কারনে কখন যে কোন দূর্ঘটনা ঘটে তা কেউ বলতে পারবে কি ? আবদুল আলী ও রকমতদের মত আসা প্রতিটি মানুষের কাছে যেন চাষাড়া শহীদ মিনারটি এখন একটি মিনি বাজারে পরিনত হয়েছে। যা দেখার যেন কেউ নেই। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকি চাষাড়া শহীদ মিনারটি কারোর কাছে লিজ দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সেখানে সাময়িক সময় কাটাতে আসা প্রতিটি মানুষের কাছে। সকলের দাবী, চাষাড়া শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার জন্য অতিদ্রæত মিনারের ভেতরে থাকা প্রতিটি দোকান উচ্ছেদ করা এবং কিশোর অপরাধ দমনে এখানে এখানে ভলান্টিয়ার নিযুক্ত করা হোক।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা