আজ শুক্রবার | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২১ শাবান ১৪৪৬ | দুপুর ১২:২৪
শিরোনাম:
রানার হাতে যে ভাবে মিলে যাদুর চেরাগ    ♦     ডেভিল হান্ট আতঙ্কে আ’লীগ    ♦     ২১’শের রক্তাক্ত পথ ধরেই দেশের জনগণ শৃঙ্খলমুক্ত হয়    ♦     জাতিকে অস্থিরতায় না রেখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন    ♦     বন্দরে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ    ♦     অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতো চুনা কারখানা    ♦     অনন্ত অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের অসন্তুষ এখনো থামেনি    ♦     অর্থের বিনিময়ে তাঁতীলীগ নেতা এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি!    ♦     বন্দরে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা    ♦     বন্দরে হাজী সিরাজ উদ্দিন স্কুলে চুরি চোর সিন্ডিকেটের ৯জন আটক    ♦    

নারীরাও আওয়ামী দমননীতির শিকার

ডান্ডিবার্তা | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় নগরীর আলী আহম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রুপন্তী আজমলের সঞ্চালনায় এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী বিষয়ক সেলের সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন তার বক্তব্যে বলেন, “শেখ হাসিনা নারী নেতৃত্বের নামে নারীদের পিছিয়ে রাখার অপকৌশল নিয়েছে। সংরক্ষিত আসনের নামে নারী নেতৃত্ব তৈরিতে বাধা দিয়েছে এবং দলীয় প্রয়োজনে কিছু নারীকে শুধু দেখানোর জন্য সামনে এনেছে।” তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ শুধু পুরুষদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়নি, নারীদেরও এই দমননীতির শিকার হতে হয়েছে। যেসব পুরুষ আন্দোলনে ছিল, তাদের পরিবারের নারীরাও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই দমননীতির বিচার আমাদের চাইতে হবে। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচার করতে হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “উপদেষ্টা পরিষদে পর্যাপ্ত নারীর উপস্থিতি নেই। কিভাবে নারীদের এই সেক্টরে যুক্ত করতে হবে, সেটি আমাদেরই বের করতে হবে। আমরা শুধু বিচার চাইছি না, বরং সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। একের পর এক প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হতে পারে না। গণপরিষদ নির্বাচন অবশ্যই আগে হতে হবে এবং সংবিধান পুনরায় লিখতে হবে।” সামান্তা শারমিন আরও বলেন, “ক্যাম্পাসে নতুন রাজনীতি গড়ে উঠছে। আমরা চাই নারীরা এখানে সক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুক। নতুন রাজনৈতিক দলে নারীদের অবস্থান রাখতে হবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় আনতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগামী। তারা কোটার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বলেছে, ‘আমাদের কোটা প্রয়োজন নেই, মেধার ভিত্তিতে বণ্টন নিশ্চিত করুন।’ তারা আওয়ামী লীগের বয়ান ভেঙে হল থেকে বেরিয়ে এসে প্রমাণ করেছে যে, তারা নিজেদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন।” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নারীরা ভালো-মন্দের বোধ বেশি রাখেন, কারণ তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা দিতে হয়। নারী ও পুরুষের ভোট সমান ক্ষমতা বহন করে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের নতুন রাজনৈতিক দলে জনমত সংগ্রহের সময় নারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা চাই, বিচার ও সংস্কারের দাবি অব্যাহত থাকুক। একজন নারী যখন বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার বিচার চাই’, তখন সেটি অনেক বেশি শক্তিশালী বার্তা বহন করে।” জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী বিষয়ক সেলের সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনা বলেন, “আমরা মেয়েরা সকল কিছুর বিচার চাই। আন্দোলনের সময় আমরা সম্মুখ সারিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছি। আমরা চাই এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাতে নারীরা কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। আমরা নারীদের বিচরণের ক্ষেত্র তৈরি করে দেবো সংস্কার ও দেশ গঠনের মাধ্যমে।” জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য নাহিদা সারোয়ার নিভা বলেন, “একটি রাষ্ট্রের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রেখে কখনো উন্নতি করা সম্ভব নয়। নারীদের বোঝানো হয় যে, তারা কিছু করতে পারবে না, কিন্তু আমরা বলতে চাই, নারীদের নিয়েও পরিবর্তন সম্ভব। আমরা নারীদের রাজনৈতিক সক্ষমতা দেখিয়ে দিতে চাই।” সমাবেশে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আন্দোলনে দুই চোখ হারানো শিক্ষার্থী মাহবুবের মা বলেন, “আমার ছেলে আন্দোলনে গিয়ে দুটি চোখ হারিয়েছে। এখন সে ঘরে বন্দি। আমাদের পুরো পরিবার এখন অন্ধকারে। আমরা দোষীদের বিচার চাই, শেখ হাসিনার বিচার চাই।” আড়াইহাজারের ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মুনিয়া ইসলাম বলেন, “দেশ গড়ার জন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে পুনর্গঠন করা।” রূপন্তী আজমলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি সেলের সম্পাদক তাজনুভা জাবীন, শহীদ ও আহত সেলের সম্পাদক ডা. মাহমুদা মিতু, কেন্দ্রীয় সদস্য নাহিদা সারোয়ার নিভা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আল-আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আহŸায়ক কমিটির সংগঠক আহমেদুর রহমান তনু, লুবনা রহমান, নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের নারী সদস্যরা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা