আজ শুক্রবার | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২১ শাবান ১৪৪৬ | দুপুর ১২:২৪
শিরোনাম:
রানার হাতে যে ভাবে মিলে যাদুর চেরাগ    ♦     ডেভিল হান্ট আতঙ্কে আ’লীগ    ♦     ২১’শের রক্তাক্ত পথ ধরেই দেশের জনগণ শৃঙ্খলমুক্ত হয়    ♦     জাতিকে অস্থিরতায় না রেখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন    ♦     বন্দরে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ    ♦     অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতো চুনা কারখানা    ♦     অনন্ত অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের অসন্তুষ এখনো থামেনি    ♦     অর্থের বিনিময়ে তাঁতীলীগ নেতা এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি!    ♦     বন্দরে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা    ♦     বন্দরে হাজী সিরাজ উদ্দিন স্কুলে চুরি চোর সিন্ডিকেটের ৯জন আটক    ♦    

অর্থের বিনিময়ে তাঁতীলীগ নেতা এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি!

ডান্ডিবার্তা | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার নেতাকর্মীদের ফেলে দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকেই সারা দেশে বিএনপি ও অন্যান্য দলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। কিংবা খোলস পাল্টিয়ে নতুন রপে আত্মপ্রকাশ করেন। আর এই অনুপ্রবেশকারীদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিএনপিতে স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ জায়গা করে দিচ্ছেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে রূপগঞ্জ উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবক নেতা বানানোর অভিযোগ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধ। রাসেল নিজেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে রূপগঞ্জের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহমেদ টুটুল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের ছবির পাশে নিজের ছবি সংবলিত পোস্টার লাগিয়েছেন আওয়ামী লীগের দোসর রাসেল আহম্মেদ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রূপগঞ্জের তৎকালীন এমপি ও মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে রাজনীতি করতেন এই রাসেল আহমেদ। গাজীর পুত্র পাপ্পা গাজীর সাথেও সে সময় তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। গাজী পরিবারের আশির্বাদে রূপগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়ে যান রাসেল। তারপর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী শুরু করে পুলিশি হয়রানী তার কারনে বিএনপির লোকজন বাসাতো দূরের কথা এলাকায়ও প্রবেশ করতে পারতো না। সেই আওয়ামী লীগের দোসর রাসেল আহমেদকে দেখা যাচ্ছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের সাথে প্রতিটি সভা সমাবেশে। পাঁচ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কাজী মনিরের বলয়ে ভিড়তে চেষ্টা করছিলেন রাসেল। সেসময় দল অনুপ্রবেশে ঠেকাতে তৎপর হওয়ায় তখন দলের ঢুকতে পারেননি তিনি। পরবর্তীতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ দান করে বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছেন রাসেল। এ বিষয়ে রুপগঞ্জের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যারা দলের সাথে বেইমানি করেছিল তাদের দলে ফিরিয়ে আনলে ভবিষ্যতে এর জন্য কঠিন মাশুল গুনতে হবে। এসকল নেতারা শুধু দলের সাথে বেইমানি করেনি, বরং আওয়ামী লীগের সাথে মিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। এ ধরনের বেইমানদের দলে যায়গা দেয়া দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে বেইমানির শামিল। তাই এখনি এ ধরনের বেইমানদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সামনে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা