আজ শুক্রবার | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২১ শাবান ১৪৪৬ | দুপুর ১২:২৪
শিরোনাম:
রানার হাতে যে ভাবে মিলে যাদুর চেরাগ    ♦     ডেভিল হান্ট আতঙ্কে আ’লীগ    ♦     ২১’শের রক্তাক্ত পথ ধরেই দেশের জনগণ শৃঙ্খলমুক্ত হয়    ♦     জাতিকে অস্থিরতায় না রেখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন    ♦     বন্দরে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ    ♦     অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতো চুনা কারখানা    ♦     অনন্ত অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের অসন্তুষ এখনো থামেনি    ♦     অর্থের বিনিময়ে তাঁতীলীগ নেতা এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি!    ♦     বন্দরে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা    ♦     বন্দরে হাজী সিরাজ উদ্দিন স্কুলে চুরি চোর সিন্ডিকেটের ৯জন আটক    ♦    

অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতো চুনা কারখানা

ডান্ডিবার্তা | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লায় চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ও সোনারগাঁয়ে চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। একই সাথে এসব কারখানা কারখানা মালিককে সাত লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে ওয়াহিদ এর নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার চারটি স্থানে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় অবৈধ সংযোগ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে সস্তাপুর এলাকায় ওশান প্রিন্টার্স নামে একটি ওয়াশিং কারখানাকে ১ লাখ টাকা ও আব্দুল্লাহ স্পেশাল সন পাপড়ি নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। একই সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করা হয় প্রতিষ্ঠান দুটির অবৈধ গ্যাসের সংযোগ। পরে ওয়াপদার পুল এলাকায় ফ্রেন্ডস ডাইং এন্ড ফিনিশিং লিমিং ও থ্রেড প্লাস লিমিং নামে দুটি ওয়াশিং কারখানার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ তিন লক্ষ টাকা করে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া চারটি কারখানা থেকে জব্দ করা হয় অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান পাইপ, রাইজার ও বার্ণার। পরে অবৈধ সংযোগ স্থাপন বন্ধে তিতাসের মূল বিতরণ লাইনের অবৈধ অংশগুলো স্থায়ীভাবে সীলগালা ও অপসারণ করে তিতাস কর্তৃপক্ষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত দিনব্যাপী এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন তিতাসের ফতুল্লা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান এবং নারায়ণগঞ্জ জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোস্তাক মাসুদ মো. ইমরানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা। এছাড়া সোনারগাঁয়ে চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সোনারগাঁ পৌরসভার অর্জুন্দী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোরশেদ। তিতাস গ্যাস মেঘনাঘাট অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সুরজিত কুমার সাহা জানান, পৌর এলাকার অর্জুন্দী এলাকায় অবস্থিত চুনা কারখানাটিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানাটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অপর দিকে সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের নকল সিল ব্যবহার করে অবৈধ চুন কারখানা পরিচালনা করার অভিযোগে ১২টি কারখানার গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কম্পানি নারায়ণগঞ্জ শাখা। এ কারখানাগুলোর অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এলাকাবাসীরা জানায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই প্রায় ৯ বছর ধরে এই কারখানাগুলো চলছে। পরিবেশদূষণ রক্ষার্থে আবাসিক এলাকা থেকে কারখানাগুলো সরিয়ে নিতে পরিবেশ অধিদপ্তর একাধিকবার নোটিশ দিলেও তা কোনোভাবেই মানছেন না চুনা কারখানার অসাধু মালিকরা। তবে বারবার অভিযান পরিচালনার পরেও সংশ্লিষ্ট দফতরকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন চুন কারখানার মালিকরা। পরিবেশ নীতিমালা ও তিতাস গ্যাস চুরি করে সিদ্ধিরগঞ্জের ঘনবসতি বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় চলছে এসব চুন কারখানা। পাথর পুড়িয়ে চুনা তৈরি করতে এসব কারখানায় সারাক্ষণ দাউ দাউ করে জ্বলে আগুন। ফলে কালো ধোয়ায় বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। ইতিমধ্যে এসব চুন কারখানাগুলোকে অবৈধ গ্যাস সংযোগের দায়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে চুন কারখানার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ার আবারো তারা কারখানায় গ্যাস সংযোগ দিতে বিভিন্ন দফতরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের সিআইখোলা এলাকায় জাজিরা লাইমস, হীরাঝিল আবাসিক এলাকায় সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুকের মদিনা লাইমস, চাঁন মিয়ার রনি লাইমস, জালাল মিয়ার সুরমা লাইমস, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে বাবুল মিয়ার ফয়সাল লাইমস, মিজমিজি সিআই খোলা এলাকায় খোরশেদ মিয়ার ঢাকা লাইমস ও যমুনা লাইমস, সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় প্রয়াত আবু তালেবের ভাই ভাই লাইমস, প্রয়াত সুন্দর আলীর শরীফ লাইমস, আটি এলাকায় আরাফাত লাইমস-এর মালিক হযরত আলী, আশরাফ আলী লাইমস-এর মালিক জালাল মিয়া, মেঘনা লাইমস-এর মালিক আব্দুল হাই, হারুন লাইমস-এর মালিক সাদেক মিয়া। এছাড়াও চুনা ফাঁকি করে পরিবেশ বিপন্ন করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি নিয়ম ও পরিবেশ দূষণ রক্ষার্থে আবাসিক এলাকা থেকে এসব কারখানা সরিয়ে নিতে গত ৫ বছর আগে নোটিশ করেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর। নির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়ে কয়েক দফা নোটিশ করলেও অদৃশ্য কারণে অদ্যাবধি পর্যন্ত এসব কারখানা সরানো হচ্ছে না। প্রায় ৯ বছর ধরে কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন করছেন না। অপরদিকে ট্টেড লাইসেন্স নবায়ন করছেন না নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। ফলে কারখানাগুলো বৈধতা হারালেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করেই কারখানাগুলো চালাচ্ছে অসাধু চুনা কারখানার মালিকরা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা