আত্মগোপনে থেকেও জাপার ষড়যন্ত্র

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে এবার জাতীয়পার্টিতে চলছে নানা সমিকরণ। পলাতক নেতারা এবার বিভিন্ন ভাবে নিজ দল থেকে বহিস্কার হওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের জাতীয়পার্টির শীর্ষ নেতারা এবার বাইরে চাঁদাবাজি করতে না পেরে নিজ দল থেকে অনেক আগেই বহিস্কার হওয়া নেতাদের নামে নানা কুৎসা রটিয়ে চাঁদাবাজির নতুন ফন্দি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরনর ষড়যন্ত্রের শিকার একজন রোটারিয়ার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ওসমান পরিবারের বশ্যতা স্বীকার না করায় তাকে ২০১০ সালে জাতীয়পার্টি থেকে বহিস্কার করে দেয়া হয়। তখন থেকে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে নিজ ব্যবসায় মনোযোগী হন। এ ব্যপারে গিয়াস উদ্দিন জানান, আমি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি ৫ বছর পূর্বে। আমি সেলিম ওসমানের বশ্যতা স্বীকার না করায় আমাকে দল থেকে বহিস্কার করে। সেই সাথে মিথ্যা মামলা দিয়ে তিনি ও তার অনুসারিরা আমাকে নাজেহাল করে। আমার কাছে অনুষ্ঠান করতে সুবিধা চাইলে আমি অস্বীকার করায় আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়। আমাকে অনক আর্থিক ভাবে ক্ষতি করে। সে থেকে আমি সম্পূর্ন রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে নিজ অর্থায়নে গড়া গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী স্কুল এন্ড কলেজ নিয়ে পড়ে আছি। সেই সাথে আমি ৩টি মসজিদের সভাপতি। আমি সামাজিক কাজ করছি। কোর রাজনীতি নয়। আমি রাজনীতির বাইরের লোক। কেন আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমি বুঝে উঠতে পারছি না। আমি সমাজে ভাল মানুষ গড়ার কাজ করছি। আমি আমার স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষাসহ একাডেমীক শিক্ষায় একজন ভাল মানুষ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছি। এখন আমি রাজনীতি মুক্ত। আর কখনো রাজনীতি করব না। তারপরও আমাকে নিয়ে কতিপয় জাতীয়পার্টির নেতারা আমার কাঝ থেকে কিছু হাতিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন চাপ দেয়। তাতে আমি রাজি না হলে শুরু করেছে আমাকে নিয়ে ষড়স্ত্র। শুধু ষড়যন্ত্র করে ক্ষান্ত হয়নি তারা পালিয়ে থেকে সেই আগের মত চাঁদাবাজি করতে চাচ্ছে। পট পরিবর্তনের পর তারা চাঁদাবাজিতে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীকে মিথ্যা তথ্য দিয়েও আমাকেসহ বিভিন্ন জনকে আতঙ্কের মধ্যে রাখছে। তাই আমি দাবি করব যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা যেন তাদের নিজেদের দিকে তাকায়। তাহলে অপরের প্রতি ষড়যন্ত্র করা থেকে যাবে। এদিকে পট পরিবর্তনের পর আওয়ামীলীগের দোসর জাতীয়পডার্টির কিছু নেতা পালিয়ে গেলেও এখন কিছু নেতা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাদের অনেকে বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি জাতীয়পার্টির জেলার সহ সভাপদি দেলোয়ার প্রধান চেয়ারম্যান গ্রেফতার হয়েছে। আর বাকিরা নিজেদের আড়াল করে চলছেন। যারা স্বৈারাচারী আওয়ামীলীগ আমলে নিজেরা ধরাকে সারা করতেন নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে দখলবাজি চাঁদাবাজি, বিচারের নামে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অপকর্ম করে বেড়িয়েছে। তবে এর মধ্যে কিছু নিরিহ নেতাও রয়েছে যারা দলের স্বার্থে ওসমান পরিবারের গান গাইতেন তাদের কাউকে আবার প্রকাশ্যে দেখা যায়। এর মধ্যে সম্প্রতি নাগিনা জোহা স্কুলে জাতীয়পার্টির নেতা শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করেন। মাঝে মধ্যে কিছু নেতাকে এলাকায় ঘারাফেরা করতেও দেখা যায়। কিন্তু যারা অপরাধী তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। আত্মগোপনে থেকে শুরু করেছে বিএনপি, জামায়াত ও একসময় নিজ দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবে জীবন চালাচ্ছেন ব্যবসা বানিজ্য করে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।