ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টির পায়তারা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘেঁষা কয়েকজনকে পৃষ্ঠপোশকতার অভিযোগ রয়েছে বিএনপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। থানা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা নিজের অবস্থান ভারী করার জন্য বিতর্কিত এসব ব্যক্তিদের মদদ দিচ্ছে। এ নিয়ে সেখানে কয়েকদিন ধরেই বিরাজ করছে উত্তেজনা। জানা গেছে, ফতুল্লার শিবু মার্কেট, লামাপাড়া, কাঠেরপুল ও আশপাশ এলাকার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাস্টমস কর্মকর্তা মারুফ প্রধান, সোহেল খন্দকার, রবিন, গুলজার সহ আরো কয়েকজন এখন নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। সবশেষ গত ২৭ ফেব্রæয়ারী মারুফের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকার একদল ব্যক্তি। তাদের অভিযোগ মারুফ মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত। তবে মারুফের অভিযোহ রবিন, সোহেল মূলত প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী। বিগত দিনে মাদক ব্যাবসায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ডিবি কর্তৃক একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন। মারুফের আরো অভিযোগ, খালিদ হোসেন রবিন ওরফে অস্ত্র রবিন স্থানীয়ভাবে অস্ত্র ও মাদক ব্যাবসায়ী হিসেবে পরিচিত। গত বছরেও ফতুল্লা থেকে বিদেশী পিস্তল, গুলি ও মাদকসহ এই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছিলো জেলা পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখা। অভিযোগ থানা আছে থানা বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা এখন এসব অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কাঠেরপুল এলাকার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ক্যাডার আজমতের ঘনিষ্ট ছিলেন সোহেল, হবুল, গোলজার হোসেন। ৫ আগস্টের পর এরা সকলেই প্রথমে মারুফের কাছে আশ্রয় নেয়। কাস্টমস অফিসার মারুফ শিক্ষিত হিসেবে এলাকার সবার অনুমতিতে একাধিক গার্মেন্ট হতে ঝুট নামায়। এতে ওই বিএনপি নেতা শুরুতে পার্টনার ছিলেন। কিন্তু সেখানে বড় অঙ্কের একটি টাকার লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর পর থেকেই বিএনপি নেতা মারুফের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। সেই সঙ্গে সোহেল সহ অন্যরাও মারুফকে ত্যাগ করেন। স্থানীয়রা বলছেন, ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলে এরই মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে একাধিক গ্রæপের মধ্যে বিগত দিনে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এবারো দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।