আজ মঙ্গলবার | ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ | ৩ রমজান ১৪৪৬ | রাত ২:২২

শামীম ওসমানের অনুসারীরা বিপাকে

ডান্ডিবার্তা | ০২ মার্চ, ২০২৫ | ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
পলাতক সাবেক এমপি শামীম ওসমানের অনুসারীরা ফেরার চেষ্টা করলেই তাদের পিটুনী দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার জামিননামা দাখিলের সময়ে জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনকে আদালতপাড়ায় হেনস্থা করা হয়েছে। তাদের চড় থাপ্পড় ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। বিএনপির নেতারা বলছেন, শামীম ওসমান ঘনিষ্ঠ কাউকেই ছাড়া হবে না। যেখানেই যে অবস্থায় থাকুক তাদের মারধর করা হবে। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা সময়ে আদালতপাড়াতেও বিএনপির আইনজীবীরা নিরাপদ ছিলেন না। সেখানেও তাদের আক্রান্ত করা হয়েছে মারধর করা হয়েছে। ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদের আদালতে ওয়াজেদ আলী খোকন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিননামা করেন। আইনজীবীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিননামা দাখিলকে কেন্দ্র করে এদিন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কার্যক্রমের শুরুতেই আসেন ওয়াজেদ আলী খোকন। সেই সাথে এজলাসের পিছনে বসে থাকেন। তার সাথে ছিলেন জুনিয়র অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল ও অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রউফ মোল্লা। সাথে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুমও ছিলেন। এসময় বিএনপিপন্থী অনেক সিনিয়র আইনজীবীদের সাথে অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনের সাথে কুশল বিনিময় হয়। সেই সাথে আদালতে তার জামিননামা দাখিল করে শুনানী করতে চাইলে আদালত আগামী ৩ মার্চ শুনানীর দিন ধার্য্য করেন। সেই সাথে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ত্যাগ করেন। এসময় সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়া সহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এসে অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনের সাথে কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এসময়ে ওয়াজেদ আলী খোকনের জুনিয়র অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল ও অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রউফ মোল্লা কথা বলতে চাইলে তাদেরকে থামিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তারা না থামলে অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রউফ মোল্লার শরীরে হাত তুলেন বিএনপির আইনজীবীরা। তাদের মাঝে কিছুক্ষণ সময় ধরে হাতাহাতি চলে। এর মধ্যে ওয়াজেদ আলী খোকন আদালত ত্যাগ সময়ে আদালত প্রাঙ্গনে তাকে আবার আটকানো হয়। পুলিশ প্রশাসনের লোকজনকে উপস্থিত করিয়ে তাকে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এসময় মাহবুবুর রহমান পাশে থাকায় পুলিশ তাকে আটক করতে পারেননি। সবশেষ পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলবেন বলে ওয়াজেদ আলী খোকনকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সাথে পরিস্থিতি শান্ত হলে তাকে নিরাপদে পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে সড়িয়ে দেয়া হয়। মাহবুবুর রহমান মাসুমের উপস্থিতিতে তাকে আর কোনো হয়রানি করা হয়নি। প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সেই সাথে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পাশাপাশি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন। সবশেষ তার এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা হওয়ায় তিনি পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব থেকে সড়ে যান।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা