আ’লীগ ও সহযোগীদের তালিকা হচ্ছে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
এলাকার আধিপত্য প্রভাব বিস্তার করার লক্ষ্যে এবার ডেভিল হান্ট অভিযানের সুবিধা নিতে চায় সুযোগ সন্ধানীরা। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের কাছে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা ও সমর্থকদের নামের তালিকা পৌঁছে দিয়েছেন। কেউ বা নিজের এলাকার প্রভাব ধরে রাখার জন্য নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌছানো আভাস পাওয়া গেছে। জানা যায়, টানা আওয়ামী লীগ চারবার সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের কারণে গত ১৫ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেননি এমন অভিযোগ কেন্দ্রীয় নেতাদের। তারা আরও বলেন, একেকজন নেতাকর্মীর নামে শত শত মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা এই দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন। ১৫ বছর ধরে ভারতের সহায়তায় আওয়ামী লীগ এই দেশে অত্যাচার ও গুম-খুন করেছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে এই দেশের ছাত্র-জনতা। আর নেপথ্য ভূমিকা রেখেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এখন সময় এসেছে দেশের জন্য ধানের শীষকে বিজয়ী করার। এর জের ধরে চলতি মাসে আওয়ামী লীগের একাধিক কর্মসূচীতে নেতাকর্মীরা আলোচনা উঠে আসে। এর ফলে লিফলেট বিতরণ ও মশাল মিছিলে কর্মসূচীগুলো দলীয় ফেসবুকে প্রকাশিত হচ্ছে। এমন অবস্থায় আবারো ওয়ার্ড ভিত্তিক আওয়ামীলীগ গর্জে উঠতে না পারে বিএনপি ওয়ার্ডের নেতারা তাদের নামের তালিকা গড়েন করেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নামের তালিকা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বছর ৭ আগষ্ট থেকে নারায়ণগঞ্জের সাতটি থানায় আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি মন্ত্রী হুইপ মেয়র সহ জেলা মহানগর নেতাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হতাহত ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের গা-ঢাকা ও আত্মগোপনে চলে যান। কেউ পালানো সময়ে আটক হয়ে একাধিক মামলা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এরই মধ্যে একাধিক মামলা কারাগারে রয়েছেন। বুধবার বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর টিটুর ক্যাশিয়ার এস এম রানা। ইদানিং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনে প্রবেশ করেছে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতারা। স্বেচ্ছাসেবক দল ও তাতীঁদল সহ একাধিক সংগঠনের আওয়ামীলীগের নেতাদের বড় বড় ফেস্টুন দেখা গেছে। বিএনপি একাধিক নেতারা জানিয়েছেন, আওয়ামীলীগ থেকে অনেক সুবিধাভোগী এখন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যোগ দিচ্ছেন। এগুলো ঠেকানো যাবে না, তারা কারো না কারো সহযোগিতায় আসবেই। একমাত্র সম্ভব যদি, জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতাদের সুপারিশে অঙ্গসংগঠনের কমিটিগুলো দেয়া হয় তাহলে।