আজ মঙ্গলবার | ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ | ৩ রমজান ১৪৪৬ | দুপুর ১২:৫৩

শক্তিশালী হচ্ছে মান্নানবিরোধী জোট

ডান্ডিবার্তা | ০৩ মার্চ, ২০২৫ | ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গত ৫ আগস্টের পর থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমের নেতৃত্বে সোনারগাঁ আসনকে সামনে রেখে একজোট হয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান বিরোধী নেতারা। বিগত সাড়ে ১৫ বছর রাজপথে নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন মান্নান। যারা বিগত সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন না, সেইসব বিএনপির নেতারা নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হয়েছেন। ৫ আগস্টের পর সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন বৈধ অবৈধ সকল সেক্টর মান্নান অনুগামীদের একক নিয়ন্ত্রণে থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে কর্মীদের মাঝেও। স্থানীয়রা জানান, রেজাউল করিম ও তার সঙ্গে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ঐক্যবদ্ধ হয়ে মান্নানবিরোধী শক্তিশালী বলয় তৈরি করার চেষ্টা করছেন। দিনকে দিন মান্নানের বলয় থেকে নেতাকর্মীরা সটকে পড়ছেন নানা আশঙ্কায়। রেজাউল করিমও আগের চেয়ে শারীরিকভাবে একটু বেশিই সুস্থবোধ করছেন মনে হচ্ছে। এদিকে নতুন করে আবারো নির্বাচনী মাঠে এসেছেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওয়ালিউর রহমান আপেল। মূলত যারা আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বের বাহিরে ছিলেন সেইসব নেতাকর্মীরা এখন রেজাউল করিম ও খন্দকার আবু জাফরের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় আছেন বেশ। এরি মাঝে গুঞ্জন রয়েছে যে কোনো সময় মান্নানকে পল্টি দিতে পারেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনও। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক রুমী ও সহ-সভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক আগে থেকেই মান্নানের বলয়ের বাহিরে গিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে আসছিলেন। স্থানীয়রা আরো জানান, ৫ আগস্টের পর হটাত করে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে সরব হোন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, এসএম ওয়ালিউর রহমান আপেল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহআলম মুকুল। বিগত সাড়ে ১৫ বছর রাজপথের রাজনীতিতে তাদের সেভাবে ভুমিকা ছিল না। এদের অনেকেই আওয়ামী লীগ ও জাতীয়পার্টির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে রাজনীতিতে টিকে ছিলেন মামলা মোকদ্দমা থেকে বাঁচার চেষ্টায়। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে নেমেই মান্নান বিরোধী বলয় সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তারা। জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে সরব ছিলেন না কখনই। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের রাজনীতিতে সরব। যদিও তিনিও মান্নানবিরোধী জোটের নেতাদের একজন। অন্যদিকে ৫ আগস্টের পর সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন বৈধ অবৈধ সেক্টর আজহারুল ইসলাম মান্নান অনুগামী নেতাকর্মী ও তার ছেলে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজীবের একক নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে মান্নানবিরোধীরা সুযোগ নিয়েছেন। সোনারগাঁয়ে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে মান্নানবিরোধীরা বেশি প্রচারণায় আছেন মান্নান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে প্রচারণায়। রেজাউল করিম ও ওয়ালিউর রহমান আপেল এলাকায় লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে মান্নান ও তার লোকজনকে ইঙ্গিত করে দখলবাজি চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। একই কাজ করছেন ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল সহ মান্নান বিরোধী নেতারা। এভাবে সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে মান্নান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে মান্নান বিরোধী নেতারা একজোট হচ্ছেন সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা