আজ মঙ্গলবার | ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ | ৩ রমজান ১৪৪৬ | দুপুর ২:১৮
শিরোনাম:
গিয়াসের বক্তব্যে বিএনপিতে তোলপাড়    ♦     তিতাসের ফতুল্লা কার্যালয়েঘুষের টাকা ভাগাভাগির ভিডিও ভাইরাল!    ♦     সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাসী দেলু আতংকে এলাকাবাসী    ♦     আওয়ামী দোসর হত্যা মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে    ♦     আ’লীগ নেতাসহ ৩৪ জন গ্রেপ্তার    ♦     সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে ৮জন দগ্ধ    ♦     সোনারগাঁয়ে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম    ♦     পরিবেশবান্ধব ভেগান লেদার উদ্ভাবন করে সাড়া জাগালেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়া    ♦     পবিত্র মাহে রমজানে এতিমদের নিয়ে মহানগর বিএনপির ইফতার    ♦     রূপগঞ্জে ২ কর্মচারীকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ    ♦    

ডেভিলহান্ট আতঙ্কে স্বৈরাচারের দোসররা

ডান্ডিবার্তা | ০৪ মার্চ, ২০২৫ | ১:৪০ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে সর্বত্র চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান ডেভিলহার্ট। এ অভিযানে আওয়ামী দোসররা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এদিকে সন্ত্রাসীদের তালিকা হাতে নিয়ে চলছে অভিযান। ইতিমধ্যে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের তালিকাভূক্র সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িতসহ স্বৈরাচারী দোসরদের একাধিক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনকি, ফুরফুরে মেজাজে থাকা বিএনপির বিতর্কিতদের মধ্যেও ডেভিলহান্ট অভিযানকে ঘিরে চলছে আতংক। সূত্রমতে, ৫ আগষ্টের পর থেকে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির একাধিক প্রভাবশালী নেতা বিভিন্ন সেক্টর দখলে নিয়েছে। এমনকি সেক্টর দখল নিয়ে নিজেরাই সংঘর্ষে জড়ানোসহ প্রদর্শিত করেছেন আগ্নেয়াস্ত্র। ফলে সাধারন মানুষের মাঝে বেড়েছে আতংক। এমনবস্থায় নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হার্ডলাইনে নেমেছেন যৌথ বাহিনী। এমনকি যৌথ বাহিনীর ডেভিলহান্ট অভিযানকে ঘিরে অনেক সন্ত্রাসী এবং নামধারী বিতর্কিত বিএনপি নেতৃবৃন্দের মাঝে বিরাজ করছে আতংক। এরই প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ দলের বিতর্কিত নেতাদের তালিকা প্রনয়নসহ দলের সুনাম রক্ষার্থে হার্ডলাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নৈরাজ্য, হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, দখল, চাঁদাবাজির ঘটনা থেকে দলকে দূরে রাখতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এমনকি যে সকল নেতৃবৃন্দ দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিতর্কিত কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ তালিকা করা হচ্ছে। একদিকে নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স; অন্যদিকে জেলাব্যাপি থানা-উপজেলা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রাতদিন বসিয়েছেন পাহারা। যারাই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হবেন, তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দলের নেতাকর্মীর বিষয়ে রয়েছে আরও সতর্কবার্তা। ন্যূনতম সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেছে দলটি। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহŸায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বতীকালীন সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল-নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। জনরোষে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান স¤প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়কে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। সা¤প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এ মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। তবে তারা এ বিষয়ে সজাগ রয়েছেন। ইতোমধ্যে সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিএনপি। দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি এ ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়ে, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাÐে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে আরো কয়েকজনকে। বিএনপির এ কঠোর বার্তা দলের তৃণমূলের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন নেতারা। নৈরাজ্য প্রতিহত করতে জনসচেতনতার উদ্দেশে এলাকায় এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে দুষ্কৃতকারীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। বেশ কিছু এলাকায় নেতাদের মোবাইল ফোন নম্বরসহ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। দলের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‌‘দলমত, ধর্ম-বর্ণ, পেশা-নির্বিশেষে যে কোনো বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা করা, সংখ্যালঘু স¤প্রদায় এবং তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো নিরাপদ রাখার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নিজ নিজ পাড়া-মহল্লায় দলীয় নেতাকর্মী ও ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের নৈরাজ্য প্রতিহত করুন। কেউ দয়া করে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। প্রতিহিংসা, প্রতিশোধে লিপ্ত হবেন না। কোনো পরাজিত শক্তি কিংবা কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করতে চাইলে, তাদের আইনের হাতে তুলে দিন। যদি কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি গুজব-গুঞ্জন সৃষ্টি করা হচ্ছে ছাত্র-জনতার বিজয়কে বিতর্কিত করার জন্য। আগের মতো বিএনপির বিরুদ্ধে এ দোষারোপ করে দেশ-বিদেশে সা¤প্রদায়িক দল বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর একই ধরনের কাজ করেছিল একটি মহল। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে এবার শুরু থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। তবুও ওই মহলটি একইভাবে মিথ্যা প্রচারণা শুরু করেছে। তারা একটি দেশের অনুকম্পা পেতে নানা নাটক তৈরি করছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্টের নানা গুজব সৃষ্টিতে তৎপরতা শুরু করেছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা