আজ শুক্রবার | ১৪ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১ | ১৩ রমজান ১৪৪৬ | রাত ১১:৩৯
শিরোনাম:
বিএনপির শেল্টারে আওয়ামী দোসর জহির মোল্লা এখন বেপরোয়া    ♦     ফুটপাত দখল করে ইফতার বাজার    ♦     শিশু সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণচেষ্টা    ♦     থামছেনা ফতুল্লা বিএনপির উত্তেজনা    ♦     ব্যস্ততম সড়কে সংস্কার কাজের ধীর গতিতে বাড়ছে জনভোগান্তি    ♦     গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কার্যক্রমে না’গঞ্জে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ    ♦     না.গঞ্জে আ.লীগ নেতাসহ ৪৭ জন গ্রেপ্তার    ♦     মাগুরার সেই শিশুটি কী বলে গেল    ♦     মাগুরায় ধর্ষিতা শিশুর মৃত্যুতে দায়িদের শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে কাফন মিছিল    ♦     নাসিক এলাকায় ১৩৩৯৮২ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল    ♦    

ছাত্রদল ও যুবদলের সংঘাতে বিএনপিকে মাসুল দিতে হবে!

ডান্ডিবার্তা | ১৩ মার্চ, ২০২৫ | ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিএনপির সহযোগি সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েই চলছে। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সহযোগি সংগঠন ছাত্রদল ও যুবদলের মধ্যে এবার ব্যাপক সংঘর্ষে সাধারণ নেতা কর্মীরা বিপাকে পড়েছেন। দলীয় স্বার্থকে পদধুলিত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। এজন্য বিএনপিকে কড়া মাসুল দিতে হবে। এমনই ঘটনা ঘটে আড়াইহাজার এলাকায়। তারা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রæপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলেও এই সংঘর্ষের ঘটনায় দুপ্তারা ইউনিয়নের পাঁচগাও দেওয়ানপাড়া এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাতে পাঁচগাও দেওয়ানপাড়া এলাকায় দুপ্তারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহন মিয়া ও একই ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুম্মন খানের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শেষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, আড়াইহাজারের পাঁচগাও মোল্লাপাড়া এলাকায় ছাত্রদল নেতা মোহন মিয়া ও দেওয়ানপাড়া এলাকায় যুবদল নেতা জুম্মন খান নিয়ন্ত্রন করে থাকে। পাঁচগাও গোলাপবাগ বাজারটি বড় একটি ব্যবসাকেন্দ্র হওয়ায় বাজারের নিয়ন্ত্রন নিয়ে উভয় নেতার অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকে। সেই সাথে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও জুয়ার আসর থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক লেনদেন হয়ে থাকে। এ এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য ও আধিপত্য নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার ছাত্রদল নেতা মোহন মিয়া ও যুবদল নেতা জুম্মন খানের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষ হয়েছে। গত সোমবার রাতে মাদক ও জুয়ার আসর জমানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতা মোহন মিয়া ও যুবদল নেতা জুম্মন খানের অনুসারীদের মধ্যে বাকবিতÐার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয় পক্ষের অনুসারীরা দেশিয় ধারালো অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে মোহন মিয়া (২০), তারা মিয়া (৫৫), খাইরুল ইসলাম (৩৫), জুম্মন খান (৩৫), মুন্না মিয়া (২৬), জামান মিয়া (৪০), ফালান মিয়া (৩৫), ইয়াকুব মিয়া (৩৭), ইয়াছিন ভ‚ইয়া (৪০), আবুল কাসেম ভ’ইয়া (৪২), সোলেমান মিয়াসহ (৩৮), পারভেজ মিয়া (২৪) সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আবুল কাসেম, খাইরুল ইসলাম ও মোহন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফর করা হয়েছে। বাকিদের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ব্যপারে দুপ্তারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহন মিয়া বলেন, দেওয়ান পাড়া এলাকার জুম্মন খানের নেতৃত্বে একটি গ্রæপ গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে মিলে মিশে এলাকায় বেশ দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করে। শেখ হাসিনার পতনের পর তারা রাতারাতি বোল্ট পাল্টে যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বনে গিয়ে এলাকায় তাÐব শুরু করে। দেওয়াপাড়া এলাকার তাদের প্রতিপক্ষের বেশকয়েকটি বাড়িঘররে চাঁদার জন্য ভাংচুর করে লুটপাত চালায়। স্থানীয় ক্ষুদ্র কারবারিদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। তিনি আরও বলেন, চাঁদা না দিলে তাদের মামলা হামলা ও নানা হুমকী দমকী দিতে থাকে। শুরু করে পুরনো ব্যবসা মাদক কারবার ও জুয়ার আসর। স্থানীয়রা সেনাক্যাম্পে জুম্মন খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলে গত ২০ অক্টোবর সেনাবাহিনীর তাকে আটক করে। সেখার থেকে এসে সে তার লোকজনকে নিয়ে এলাকায় মাদক কারবারের বিস্তার করতে থাকে। সাথে টাকার বিনিময়ে জুয়ার আসর জমায়। এতে স্থানীয় লোকজনের সাথে আমি এর প্রতিবাদ করলে জুম্মন খানের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় এতে আমাদের লোকজন মারাত্মক জখম হয়। এদিকে দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুম্মন খান মাদক, চাঁদাবাজি ও জুয়ার আসর বসানো জন্য ছাত্রদল নেতা মোহন মিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, আমি ও আমার অনুসারীরা এসব অপকর্ম বাঁধা দিলে মোহন মিয়ার নেতৃত্বে তার লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। এদিকে সেনাবাহিনী তাকে আটকের ঘটনাটি স্বীকার করলেও মিথ্যা অভিযোগের কারণে এ আটকের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবী করেন। তিনি এলাকায় কোন ধরনের মাদকের কারবারের সাথে জড়িত নন। জুয়ার আসর বন্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার থাকেন। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রæত পুলিশ ফোর্স প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোন পক্ষ মামলা করেনি। এলাকা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষের ঘটনা বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থল ও এর আশপাশে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। মামলা দায়ের করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা