আজ শুক্রবার | ১৪ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১ | ১৩ রমজান ১৪৪৬ | সকাল ১১:৩৮
শিরোনাম:
বিএনপির শেল্টারে আওয়ামী দোসর জহির মোল্লা এখন বেপরোয়া    ♦     ফুটপাত দখল করে ইফতার বাজার    ♦     শিশু সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণচেষ্টা    ♦     থামছেনা ফতুল্লা বিএনপির উত্তেজনা    ♦     ব্যস্ততম সড়কে সংস্কার কাজের ধীর গতিতে বাড়ছে জনভোগান্তি    ♦     গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কার্যক্রমে না’গঞ্জে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ    ♦     না.গঞ্জে আ.লীগ নেতাসহ ৪৭ জন গ্রেপ্তার    ♦     মাগুরার সেই শিশুটি কী বলে গেল    ♦     মাগুরায় ধর্ষিতা শিশুর মৃত্যুতে দায়িদের শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে কাফন মিছিল    ♦     নাসিক এলাকায় ১৩৩৯৮২ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল    ♦    

থামছেনা ফতুল্লা বিএনপির উত্তেজনা

ডান্ডিবার্তা | ১৪ মার্চ, ২০২৫ | ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে নিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপিতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে প্রবলভাবে। তথ্য মতে, ফতুল্লা থানা বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। সুযোগ পেলেই এক গ্রæপ আরেক গ্রæপকে কটাক্ষ করতে ছাড় দেয়না একবিন্দুও। এরই ধারাবাহিকতায় পূনরায় এক গ্রæপ অন্য গ্রæপকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। তবে এবারের উপাদান হচ্ছে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। তথ্যমতে, চলতি মাসের ৮ মার্চ একটি অনলাইন পোর্টালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রথমে বক্তব্য রেখে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি হাজী শহিদুল্লাহ চেয়ারম্যান সেন্টুর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।তিনি সেন্টুর বিএনপিতে অবদানের কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও বলেন, সেন্টু চেয়ারম্যান হওয়াতেই এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, মাদকের প্রভাব কমে গিয়েছিলো। একই অনুষ্ঠানে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু হাজী শহিদুল্লার বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, সেন্টু চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তবে শেষতক শামীম ওসমানের চাপে সে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে বাধ্য হয়। এই বক্তব্যের পরপরই চারদিকে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে ফতুল্লা থানা বিএনপির একাংশ ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বারী ভূইয়া ও সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লার নেতৃত্বে একটি সংবাদ সম্মেলন করে নৌকার চেয়ারম্যান সেন্টুকে পুনর্বাসিত করার অপচেষ্টার অভিযোগ এনে শহিদুল ইসলাম টিটু ও হাজী শহিদুল্লাহর বহিষ্কারের দাবি জানান। অন্যদিকে একই দিনে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, চেয়ারম্যান সেন্টুকে নিয়ে অনেকে বক্তব্য দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমি বলেছি সেন্টু চেয়ারম্যান ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপি করেছে। কিন্তু শেষে সন্ত্রাসী শামীম ওসমানের চাপে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে বাধ্য করেছে। তবে তার দ্বারা কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। আমি একবারো বলিনি আমি সেন্টু চেয়ারম্যান এর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার চাই কিংবা তাকে চাই। কারণ দলীয় সিদ্বান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমার নেই। তবে এই কথাকে যারা বিকৃতভাবে প্রচার করছে তাদের বিগত দিনে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি। এমনকি একজন হলফনামাও দিয়েছিলো সে আর কখনও বিএনপি করবেনা। তারাই এখন আবার আমার বহিষ্কার চায়। তবে বিএনপির সাধারন নেতাকর্মীরা বলছেন সেন্টুকে বহিষ্কার করেছে দল। তাকে নিয়ে দলে বিভ্রান্তি বাড়ছে, এতে দল দূর্বল হয়ে পরবে। এসব ভূল বোঝাবুঝির অবসান করে দলকে শক্তিশালী করার আহব্বান জানান তৃনমূল কর্মীরা। ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বারী ভূইয়া বলেন, বিগত ১৭ বছর কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু আওয়ামী লীগের গডফাদার শামীম ওসমানের সাথে একসাথে রাজনীতি করেছে। শামীম ওসমানের একজন বিশ^স্ত কর্মী ছিলেন এমনকি আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছে। এই নির্বাচনে সেন্টুকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত করার লক্ষে গডফাদার শামীম ওসমানের নির্দেশনায় তারই সেকেন্ড ইন কমান্ড সন্ত্রাসী শাহ নিজামের পার্কে অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অস্ত্রের মুখে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করা হয়।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা