আজ মঙ্গলবার | ১ এপ্রিল ২০২৫ | ১৮ চৈত্র ১৪৩১ | ২ শাওয়াল ১৪৪৬ | রাত ৩:১৬
শিরোনাম:
নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে প্রথম জামাতটি হবে সকাল ৮ টায়    ♦     ঈদের ছুটিতে ২ দিনে ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় ৪১ লাখ সিমধারী    ♦     ঈদ মোবারক    ♦     রূপগঞ্জের রিয়াজ বাহিনীর গুলিবিদ্ধ পথচারীর মৃত্যু    ♦     সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে ফতুল্লায় ঈদ উদযাপন    ♦     আড়াইহাজারে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা    ♦     নারায়ণগঞ্জ শহরে বেপরোয়া পরিবহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান    ♦     নারায়ণগঞ্জ শহরে বেপরোয়া পরিবহন গুলির  বিরুদ্ধে  অভিযান    ♦     সোনারগাঁয়ে ডিবির অভিযানে ফেনসিডিল-গাঁজা উদ্ধার    ♦     ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের আহ্বান মাওলানা মঈনুদ্দিনের    ♦    

আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিচ্ছে

ডান্ডিবার্তা | ২২ মার্চ, ২০২৫ | ১:০৮ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নাসিকে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী সাবেক কাউন্সিলদের অপকর্ম আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আলোচনার বাহিরে থাকায় প্রশাসনের মাথা ব্যাথা তেমন ছিল না। কিন্তু অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে প্রশাসন তাদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে তৎপরতা চালালেও এরমধ্যে অনেকেই দেশের বাহিরে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন এবং দু’একজন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় আওয়ামীলীগের কাউন্সিলররা গ্রেফতার হলেও এরমধ্যে অনেকেই আবার নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার ডেভিল কাউন্সিলরা হচ্ছেন- ১৮নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম মুন্না, ১৭নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ১০নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর ইফতাখারুল আলম খোকন, ৭নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর রিপন, ৮নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিন, ২৪নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ১নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, ৪নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর নুরুউদ্দিন। ১৮নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম মুন্না- মুন্না ওসমানদের মাফিয়াতন্ত্রের অন্যতম দায়িত্বরত কাউন্সিলর ছিলেন। সেলিম ওসমানের সাথে সর্বদা পাশে থাকতে দেখা যেত এবং সেলিম ওসমানের বিভিন্ন অপরাধের জগৎ কুকর্মের দায়িত্বেও ছিলেন মুন্না। ১৭নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু- জুলাইয়ের আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে হোন্ডা মহরা দিয়ে গুলি করে বাবু ওরফে ডিস বাবু। এছাড়া আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর হওয়ার প্রভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে ডিস ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ অস্ত্রের হুমকিতে জিম্মি করে নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকতেন বাবু। নিজ অপকর্মের ভয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন বাবু। ১০নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর ইফতাখারুল আলম খোকন- সে ছিলেন দাড়ি টুপি পরিহিত বেশে ১০নং ওয়ার্ডে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ গড়ে তুলেন। আর এই নিয়ন্ত্রণের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে নানা অপরাধ অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন খোকন। ৭নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর রিপন- আওয়ামীলীগের শাসন আমলে আদমজী ইপিজেড বিভিন্ন ব্যবসায়ীক মহলে আওয়ামীলীগ কাউন্সিলর প্রভাবে কালো থাবা ছিল রিপনের। রিপনের বড় ভাই সাবেক কাউন্সিলর আলার মৃত্যুর পর রিপন কাউন্সিলর হয়েই প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন ৭নং ওয়ার্ড এলাকায়। ৮নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিন- কাউন্সিলর পদের প্রভাবে ভূমিদস্যুতা, মাদক কারবারসহ হামলা মামলা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নানা অভিযোগে ভরপুর ছিল আওয়ামীলীগ শাসন আমলেই তার বিরুদ্ধে। এত অপকর্ম থাকা সত্তে¡ও রুহুল আমিন প্রশানের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের বাহিরে অবস্থান নিয়েছেন এলাকাবাসীর ধারণা। ২৪নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আফজাল হোসেন- ২৪নং ওয়ার্ড এলাকায় কাউন্সিলর হয়েছেন ওসমানদের আর্শীবাদে। এছাড়া ওসমানদের ছত্রছায়ায় বন্দর ২৪নং ওয়ার্ডের ঘাট হাট মাদক ব্যবসা ভূমিদস্যুতা সিএনপি স্ট্যান্ডে বৈধ চাঁদা বাহিরে গিয়ে অবৈধ চাঁদাবাজিও কায়েম করতেন আফজাল। আওয়ামীলীগ পতনের পর প্রশাসনের ভয়ে গাঁ ডাকা দিয়েছেন। ১নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন- আওয়ামীলীগের হয়ে নানা অপকর্ম করে সেই অপকর্ম ডাকতে এবং ছাত্র জনতার উপর হামলা করে হত্যা এবং হত্যা চেষ্টার মামলা থেকে বাঁচতে বিএনপির এক বহিষ্কৃত নেতাকে ম্যানেজ করেছিলেন ব্যাপক অর্থের বিনিময়ে যেটা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সকল এলাকায় বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। এখনো আনোয়ার হোসেন সেই সাবেক বিএনপি নেতার প্রভাবে আত্মগোপন থেকে তার ওয়ার্ডে বিভিন্ন ব্যবসা এখনো নিয়ন্ত্রণ করছেন। ৩নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল এবং ৪নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর নুরুউদ্দিন- সম্পর্কে তারা চাচা ভাতিজা হলেও তাদের সবচেয়ে পরিচয় হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের অন্যতম আলোচিত ৭ খুনের আসামী নুর হোসেনের ভাই এবং ভাতিজা। এছাড়া তারা নুর হোসেন থাকাকালীন সময় থেকেই দুধর্ষ ছিলেন নানা অপকর্ম ছিল তাদের বিরুদ্ধে। কাউন্সিলর হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ তুলা ছিল দুষ্কর। তবে তারা ছিলেন ওসমানদের অপরাধ জগৎতের ৩-৪নং ওয়ার্ডে অন্যতম নিয়ন্ত্রক। এখনো আত্মগোপন থেকে বিভিন্ন ভাবে ৩-৪নং ওয়ার্ডে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন নুরুউদ্দিন-বাদল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা